-শোন তোমাকে দাওয়াত দেব।
-কিসের দাওয়াত?
-পরে বলব, এখনো ডেট ঠিক হয় নাই।
-কিসের ডেট?
-বললাম না, পরে বলব।
হঠাত আমার চোখ গেল সুমাইয়ার হাতের দিকে। ওর অনামিকায় একটা আংটি। আঙ্গুলের চেয়ে আংটির সাইজ বড় হওয়ায় সুতা পেঁচিয়ে আংটিটাকে ছোট করা হয়েছে। আচ্ছা, এখনকার ছেলে মেয়েদের এঙ্গেজম্যান্ট এর জন্য কেনা হাতের আংটিও কি এমন বড় ছোট হয়?
স্বামীসহ সুমাইয়া এখন ইংল্যান্ড এ থাকে। ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে, একদিন ও আমাকে একটা গিফটের প্যাকেট ধরিয়ে দিল। না, না। গিফট আমার জন্য না। গিফটটা আমার গার্লফ্রেন্ডের জন্য। পরে অবশ্য শুনেছি, সেসময় আমাদের ক্লাসের যাদেরই গার্লফেন্ড ছিল সবাইকে সে একই গিফট দিয়েছে। এরকম গিফটের কথা চিন্তা করা শুধু সুমাইয়ার পক্ষেই সম্ভব।
সুমাইয়ার মত সহজ, সরল আর ভাল মানুষ আমি আমার জীবনে খুব কমই দেখেছি। সুমাইয়ার সরলতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে একটা একটা গল্প লিখেছিলাম। গল্পটা প্রথম আলোর ছুটির দিনেতে ছাপাও হয়েছিল। (আগের গল্পের লিঙ্ক এখানে)
গল্পটায় বলছিলাম, আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই একজন না একজন সুমাইয়া আছে, বোন হিসেবে, মা হিসেবে, ভাল বন্ধু হিসেবে। এই সুমাইয়ার কথা ভেবেও কি অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসা যায় না।
গল্পের পেছনের গল্পঃ ফেসবুকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের গ্রুপে সুমাইয়া একটা ছবি পোস্ট করেছে। নিচে ক্যাপশনে লেখা, আমাদের দুইটা ছোট্ট সুমাইয়া। পরীর মত এই দুইটা সুমাইয়ার জন্য অনেক অনেক দোয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪