সিনেমা মুক্তির আগে সিনেমা নিয়ে মাতামাতি, ইউটিউবে সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ, মিডিয়াতে অতিরঞ্জিত লেখালেখি। আরো কতকি ! এসব আমাদের ঢালিউডি সংস্কৃতিতে নেই। থাকলে ভাল হতো ।আমরা একটা আনন্দের মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে পারতাম।
মাসে আনন্দ হলের গলি দিয়ে যে ডজন খানেক মুভি আসে যায় তার নাম আমাদের মত ছুটুমুটু তো দূরের কথা সেন্সর বোর্ডও জানে কিনা সন্দেহ। আর সিনেমার পরিচালকের নামতো স্বয়ং কিং খান নিজেও বলতে পারবেন বলে মনে হয়না।
আর এ ক্ষেত্রে একেবারেই ভিন্ন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।অনেকেই বলে থাকেন তিনি মুভির নাম করে নাটকের মত টেলিফিল্ম বানিয়ে চালিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রে অতীতে বানানো মুভিগুলো নাকি সে দোষেই দুষ্ঠ। অবশ্য থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার এবং টেলিভিষন দেখে আমারও তাই মনে হয়েছে । কিন্তু পিঁপড়া বিদ্যার এই প্রধান কারিগর যে প্রতি বছরই একটা চমক নিয়ে আসেন সেটা বলার উপেক্ষা রাখেনা। আব্বাস কিয়ারোস্তামিদের আরশীবাদ পাওয়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গল্পের একটা নতুন মাত্রা নিয়েই হাজির হোন তার ভক্ত আর অভক্তদের মাঝে। যেন পুরো শহরবাসীকে তূরী মেরেই হলমুখী করে দেন। আড্ডাতেও তুমুলভাবে আলোচিত সমালোচিত হতে থাকে তার সিনেমার এপিঠ-ওপিঠ। কেন যেন মনে হয় তার সিনেমাগুলোর মধ্যে কোন একটা ব্যাপার থাকে যা দর্শকদের কোন কারন ছাড়াই আকৃষ্ট করে ফেলে।
অপেক্ষায় আছি পিঁপড়া বিদ্যার রিভিউ লিখবো বলে।