somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশ যাচ্ছে কোন দিকে?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৯শে ডিসেম্বর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল থেকে ভোট প্রদান শুরু হয়েছে। চলছে বিকেল অবধি। বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অনেক ভোটকেন্দ্রে ঘটে গেছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। তারপরেও সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছ থেকে শুনতে পেলাম আওয়ামীলীগ জিতে যাচ্ছে। টান টান উত্তেজনা। ম্যাচ জমছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন? সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত শুরু হয়েছে আর কারো বুঝে উঠতে বাকি নাই কে জয়ের মালা পরতে যাচ্ছে। শেষ অবধি আওয়ামীলীগ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভোটের ব্যবধানে মহাবিজয় অর্জন করে। আর এই মহাবিজয় বর্তমান মানুষের জন্য কি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে? ক্ষমতা গ্রহনের সাথে সাথে দেশে শুরু হয়েছে খুন, হত্যা, ধর্ষণ। হামলা-পাল্টা হামলা, আধিপাত্য বিস্তার, হল দখল। এভাবে প্রতিনিয়ত দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। চলছে দিন বদলের নামে নামের বদল। এ এক মহা উৎসব। দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার পেটে লাথি মেরে চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতির বশে খুনের মহোৎসব। সাধারণ ছাত্র মারা গেলে সেটা হয় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর ছাত্রলীগের কোনো কর্মী মারা গেলে সেটার জন্য একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনকে দায়ি করে তাদের দেশ থেকে উৎখাত করার রাজনীতি। চলে অমানুষিক নির্যাতন, চলে বেপরোয়া ধরপাকড়। যেখানে পাবে সেখানেই ক্রস ফায়ার। যদি এটাই রাজনীতির অপর পিঠ হয় তাহলে আমাদের অতীত ইতিহাস জানা থাকা দরকার। এক মাঘে কখনো শীত যায় না। মাঘ মাস বার বার আসে। আর শীতও বার বার আসে। কোনো দল এই দেশের ইতিহাসে পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসেনি। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। সেক্ষেত্রেই আমরা বুঝতে পারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বি এন পির নেতৃত্বে ৪দলীয় জোট ক্ষমতায় আসে তখন কি বদলের রাজনীতি শুরু হবে। আওয়ামীলীগ বদলের রাজনীতি নাকি নতুন করে ইতিহাস লেখার রাজনীতি। আর যদি ইতিহাস লেখার রাজনীতি হয় তাহলে কি লেখা হবে সেই ইতহাসের পাতায় আওয়ামীলীগ কি তা জানে? অতএব বর্তমান দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে দেশের মঙ্গলের জন্য যদি কাজ করে তাহলে মনে হয় শুভ বুদ্ধির উদয় হবে বলে বিশ্বাস করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×