মহান জীব বিজ্ঞানী এ. ডিউক একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করছেন।তিনি এমন একটি এন্টি-ব্যাকটেরিয়া আবিস্কার করার চেষ্টা করছেন যা মানব দেহে কোষ ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াকে রোধ করবে। তার গবেষণা সফল হলে পৃথিবীর মানুষ হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারবে।
ডিউক আজ তার তৈরি এন্টি-ব্যাকটেরিয়া নিজের উপরই পরীক্ষা করে দেখবেন। এন্টি-ব্যাকটেরিয়া ক্যাপসুল থেকে একটি ক্ষুদ্র আকারের নল তিনি তার দেহে প্রবেশ করালেন। তিনি ভীষণ উত্তেজিত বোধ করছেন। তার মনে হচ্ছে যদি তার গবেষণা সফল না হয় ? তিনি ভয়ে ভয়ে সবুজ বোতামটা চেপে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াটা তার দেহে প্রবেশ করালেন। কয়েক মুহূর্ত পর ডিউক তার শরীরে তীক্ষ্ণ এক ধরনের যন্ত্রনা অনুভব করতে শুরু করলেন। যন্ত্রনা ক্রমেই বেড়ে চলছে। তিনি চিৎকার করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু পারলেন না। তার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। তার চারপাশ যেন সাদা আলোয় তলিয়ে গেল।
২ হাজার বছর পর
ইরনের হাতে একটি সয়ংক্রিয় অস্ত্র সে নিনিতার দিকে তাক করে রেখেছে। নিনিতা ও একটি অস্ত্র ইরনের দিকে তাক করে রেখেছে।
ইরন নিনিতার দিকে তাকিয়ে বললঃনিনিতা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।
নিনিতাঃ আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি ইরন। যদি বিজ্ঞানী ডিউক মানুষকে অমর করার এন্টি-ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার না করতো তাহলে আমাদের একে অপরকে হত্যা করতে হতো না।
ইরনঃ কি সুন্দরই না হত আমাদের জীবনটা। ধিক্কার ডিউকে ধিক্কার।
নিনিতাঃ আমি যদি অমর না হতাম তবে আদিম মানুষের মত স্বাভাবিক ভাবে সন্তান ধারণ করতে পারতাম। সাধারণ ভাবে একসময় জিবনের অবসান হত।
ইরনঃ এখন আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যু নেই, আছে শুধু বিভীষিকা ময় এ জীবন।যার কোনও শেষ নেই।
নিনিতাঃ আজ আমরা একজন অন্যজন কে মুক্তি দিব এ বিভীষিকা ময় জীবন থেকে।
ইরনঃ বিদায় প্রিয়তমা।
নিনিতাঃ বিদায় ইরন।
পরম ভালবাসা নিয়ে ইরন নিনিতা কে জরিয়ে ধরল।
এরপর দুটি অস্পষ্ট আর্তনাদ এবং চাপা ধাতব শব্দ ভেসে আসলো।শহরতলীর একটি ভবনের একটি কক্ষে পরে রইল দুটি নিথর দেহ।