somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দহন

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহান জীব বিজ্ঞানী এ. ডিউক একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করছেন।তিনি এমন একটি এন্টি-ব্যাকটেরিয়া আবিস্কার করার চেষ্টা করছেন যা মানব দেহে কোষ ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াকে রোধ করবে। তার গবেষণা সফল হলে পৃথিবীর মানুষ হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারবে।

ডিউক আজ তার তৈরি এন্টি-ব্যাকটেরিয়া নিজের উপরই পরীক্ষা করে দেখবেন। এন্টি-ব্যাকটেরিয়া ক্যাপসুল থেকে একটি ক্ষুদ্র আকারের নল তিনি তার দেহে প্রবেশ করালেন। তিনি ভীষণ উত্তেজিত বোধ করছেন। তার মনে হচ্ছে যদি তার গবেষণা সফল না হয় ? তিনি ভয়ে ভয়ে সবুজ বোতামটা চেপে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াটা তার দেহে প্রবেশ করালেন। কয়েক মুহূর্ত পর ডিউক তার শরীরে তীক্ষ্ণ এক ধরনের যন্ত্রনা অনুভব করতে শুরু করলেন। যন্ত্রনা ক্রমেই বেড়ে চলছে। তিনি চিৎকার করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু পারলেন না। তার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। তার চারপাশ যেন সাদা আলোয় তলিয়ে গেল।


২ হাজার বছর পর

ইরনের হাতে একটি সয়ংক্রিয় অস্ত্র সে নিনিতার দিকে তাক করে রেখেছে। নিনিতা ও একটি অস্ত্র ইরনের দিকে তাক করে রেখেছে।
ইরন নিনিতার দিকে তাকিয়ে বললঃনিনিতা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।
নিনিতাঃ আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি ইরন। যদি বিজ্ঞানী ডিউক মানুষকে অমর করার এন্টি-ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার না করতো তাহলে আমাদের একে অপরকে হত্যা করতে হতো না।
ইরনঃ কি সুন্দরই না হত আমাদের জীবনটা। ধিক্কার ডিউকে ধিক্কার।
নিনিতাঃ আমি যদি অমর না হতাম তবে আদিম মানুষের মত স্বাভাবিক ভাবে সন্তান ধারণ করতে পারতাম। সাধারণ ভাবে একসময় জিবনের অবসান হত।
ইরনঃ এখন আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যু নেই, আছে শুধু বিভীষিকা ময় এ জীবন।যার কোনও শেষ নেই।
নিনিতাঃ আজ আমরা একজন অন্যজন কে মুক্তি দিব এ বিভীষিকা ময় জীবন থেকে।
ইরনঃ বিদায় প্রিয়তমা।
নিনিতাঃ বিদায় ইরন।
পরম ভালবাসা নিয়ে ইরন নিনিতা কে জরিয়ে ধরল।
এরপর দুটি অস্পষ্ট আর্তনাদ এবং চাপা ধাতব শব্দ ভেসে আসলো।শহরতলীর একটি ভবনের একটি কক্ষে পরে রইল দুটি নিথর দেহ।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×