ঃ এখনো ঘুমাচ্ছিস?
ঃ হুম।
ঃ আজ না আমার সাথে বাইরে যাবার কথা?
ঃ দেখ তৃণা আমি আর তোর বয়ফ্রন্ড হবার ভান করতে পারব না। অনেক হয়েছে। এবার বাদ দে।
ঃ কেন কি হয়েছে? o_O
ঃ তুই বুঝতে পারছিস না?
ঃ কি বুঝব?
ঃ এভাবে আরো কয়েক দিন চললে আমি আর নিজের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।
ঃ মনে কি?
আমি ফোন কেটে দিলাম। আর কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। মনে হচ্ছে নিজের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। আমি আজ বের হব না। সারাদিন বাসায় থাকবো। নিজের সাথে অনেক বোঝাপড়া আছে।
তৃণা আমার ছোট বেলার বন্ধু। সেই ক্লাস এইট থেকে ওকে আমি চিনি। এখনো আগের মতোই আছে। আমার উপর খবরদারী সব সময় করেছে এখন ও করছে। আমি ও কেন জানি সব সময় তা মেনে নিয়েছি।
দুই সপ্তাহ হল আমি তার বয়ফ্রেন্ড। আসল না নকল। ঘটনাটা হয়েছে কি বলি। কয়েক দিন আগে আমি আর রাব্বি জামতলায় বসে আয়েস করে বেন্সন অ্যান্ড হ্যজেস খাচ্ছিলাম। কোথা থেকে যেন তৃণা এসে হঠাৎ করে বেন্সনটা আমার হাত থেকে নিয়ে ফেলে দিল। আমি মেজাজ খারাপ করে তাকিয়ে রইলাম। রাগে গিজগিজ করতে করতে বললাম, এটা ফেললি কেন? টাকা দিয়ে কিনছি না???
তৃণা মিষ্টি হেসে বললঃ আমার বয়ফেন্ডের এসব খাওয়া চলবে না।
আমি এতটাই অবাক হলাম যে কিচ্ছুক্ষণের জন্য রাগ করাও ভুলে গেলাম। নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম
ঃ মানে কি??? =-O
ঃ আচ্ছা বাবা সত্যি সত্যি হতে বলছি না। একটু একটিং করবি আরকি।
আমি এবার আরও অবাক হয়ে বললাম
ঃ কেন করতে হবে??
ঃ বাবা পাত্র দেখেছে তাই।
আমি হাসতে হাসতে বললাম
ঃ আরে এটা ভালো খবর। পোলা কি করে? টাকা পয়সা কেমন আছে? কালা না ধলা?
রাব্বি বললঃ আরে দোস্ত পার্টি দিবি কবে?
ঃ তোরা মজা করতেছিস?? আমার জীবন মরণ সমস্য। আমার আসল বয়ফেন্ডের কি হবে?
আমি বললামঃ সারাদিন বয়ফেন্ড বয়ফেন্ড করস। জীবনে তো দেখাইলি না পোলাডা কেডা? আচ্ছা বাদ দে। কি করেতে হবে বল।
ঃ কেন ভাবে আম্মু কে দেখাতে হবে যে তুই আমার বয়ফেন্ড। তাহলেই হল।
রাব্বি বললঃ কাজ শেষ হলে পার্টি দিবি তো।
ঃ আচ্ছা দিমু যা।
আমি বললামঃ ঠিক আছে যা হইলাম তোর নকল বয়ফেন্ড। কিন্তু আমার লগে ঢং কইরা কথা কইতে পারবি না। এডি আমার একদম বিরক্ত লাগে।
সেদিন থেকে কাল পর্যন্ত সব ভালোই চলছিল। সমস্যাটা বেধেছে কাল থেকে। কাল তৃণা এসেছিল একটা নীল শাড়ি পরে। প্রথম বারের মত লক্ষ করলাম তৃণাকে স্রষ্টা কতটা রূপ দিয়ে তৈরি করেছেন। সন্ধ্যায় ওকে বাসায় দিয়ে আসতে গেলাম। তখন ও একটা কাজ করে
বসল, যা আমার পৃথিবীটাকে পাল্টে দিল।
তৃণা রিক্সা থেকে নামার সময় আমার গালে আলতো করে চুমু খেল। আমি জানি না কি হল। কিন্তু আমার পৃথিবী পাল্টে গেল। আমি কাল থেকে সেই মুহূর্তটাকে মাথা থেকে কিছুতেই সরাতে পারলাম না। রাতে ঘুম ও এল না। আমি বুঝতে পারলাম আমি ওকে একটা চুমুর বিনিময়ে আমার পৃথিবীটা দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি জানি সে অন্য কারো। আমার না। হয়তো হবেও না কখনো।
কে যেন অবিরাম কলিং বেল চেপে যাচ্ছে। মা বললঃ দেখতো কে এসেছে?
ঘুম নিয়ে আমি দরজা খুললাম। তৃণা দাঁড়িয়ে আছে। আজ সে একটা হলুদ শাড়ী পরে এসেছে। আমার দেখে বলতে ইচ্ছা করছে, এই মেয়ে তুই এতো সুন্দর কেন?
কিন্তু আমি বললাম না। কেনইবা বলব সে তো আমার নয়।
আমাকে সরিয়ে ঘরে ঢুকল। মায়ের ঘরে গেল। কিছুক্ষণ পর আমার ঘরে আসলো।
গম্ভীর হয়ে বলল, ফোন কাটলি কেন?
ঃ এমনি।
ঃ এমনি মানে? কবে থেকে?
ঃ কি কবে থেকে?
ঃ এই যে আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস।
ঃ যে দিন তুই চুমু দিয়েছিলি।
ঃ কেন? তুই জানিস না আমার বয়ফেন্ড আছে?
ঃ জানি কিন্তু তোর দোষ। তুই চুমু দিলি কেন?
ঃ তো কি হয়েছে আমি চুমু দিব। তাই তুই প্রেমে পরবি?
ঃ জানি না। ঠিক আছে আমি আর তোকে ফোন দিব না। তোর সামনে ও যাব না।
তার পর তৃণা এমন কিছু করে বসলো যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমাকে জরিয়ে ধরে আমার ঠোটে আলতে করে চুমু খেল। আর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললঃ এবার আসবি সামনে?
আমি অবাক হয়ে বললামঃ কিন্তু তোর বয়ফেন্ড?
ঃ আরে গাধা সেটাতো সবসময় তুই ই ছিল।
ঃ তাহলে তুই ইচ্ছা করে এগুলো করেছিস?
ঃ হমম কি করব বল। তুই তো আর নিজে বলবি না। গাধা কোথাকার.... বলেই আবার আমাকে জড়িয়ে ধরল।।।
আমি মনে মনে বললাম,
মেয়ে তোমার জন্য আমি একটু গাধা তো হতেই পারি।।।
বি দ্রঃ এই গল্পের #লেখক গল্প লিখতে পারে না। লিখতে পারার ভান করে মাত্র...
১. এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক(#কাল্পনিক হওয়াটাই সাভাবিক, কারণ লেখক #কল্পানার_রাজত্ব)।
#বাস্তবের সাথে মিলে গেলে লেখক কেন ক্রমেই দায়ী নয়।
২. এই #গল্প পড়ে #সময় #নষ্ট হলে লেখক দায়ী নয়।
#কিছু_কথাঃ (পড়ার দরকার নাই):p
#আমি #অনুগল্প খুব বেশি লেখি না। এটা কেন লিখলাম জানি না। আসলে সব কিছু জানতে হবে এটাও বা কে বলছে??? o_O
#মন খারাপ থাকলে আমার #ভালোবাসার গল্প লিখতে #ইচ্ছা করে। এটা হল সেরকমই একটা #গল্প।
#দাগ থেকে দারুণ কিছু। সেরকমই #মন খারাপ থেকে #ভালবাসার #গল্প।
#বানানে ভুল থাকতে পারে। #সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই। কারণ আমি বানানে #দুর্বল...
#গল্পটা সামান্য ২১+.....
#সুতরাং বাচ্চারা দূরে থাকো।