যারা আবেগীক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখাটি পড়বার ইচ্ছা বা ধৈর্য রাখেননা- তারা বিরক্ত হলে আমি দুঃখিত না।
কারন আমি কোনো বিজ্ঞ না বা কোনো সাহিত্যিক ও না।
শুধু নিজের ভেতরের কথাগুলি কোনো পরিবর্ধন বা পরিমার্জন ছারাই তুলে ধরলাম।
আমি জানতাম- শুধু জানতামই না মনে প্রাণে বিশ্বাস ও করতাম ভালোবাসা মানুষকে - সে যতটা মানুষ তার চেয়ে বেশী মানুষ করে-, সে যতটা বিশ্বাসী তার চেয়ে বেশী বিশ্বাসী করে-, সে যতটা শালীন তার চেয়েও বেশী পরিশীলিত করে--
মানুষের চেতনার উন্মেষ, মানষিকতার অভ্যন্তরীন নীতিবোধ, পাশবিকতার বিনাশ, ধৈর্যের / সহনশীলতার নতুন সূচকীয় মাত্রা অতি দ্রুত আনতে পারে যে সত্ত্বা- তার নাম ভালোবাসা--
আমি এও জানতাম --
"ভালোবাসা" এই শব্দটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- যাকে বা যাদেরকে ভালোবাসা যাবে- শুধু তার বা তাদের জন্য নিজের সবটুকু চাওয়াকে বিসর্জন দেবার ক্ষমতা-
নিজের পাওয়াকে প্রাধান্য দেবার কোনো সুযোগ সত্যিকারের ভালোবাসায় কোথাও নেই।
অথচ আজকাল যেন সব উল্টা জানছি- যদিও এখনও বিশ্বাস করতে শুরু করিনি।
এখন ভালোবাসার সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভালোবাসার মানুষকে পাওয়া (বিশেষত তথাকথিত পাওয়া- অর্থাৎ বিয়ে করে জলজ্যন্ত জীবটাকে কাছে পাওয়া) ।
আর এই পাওয়ার জন্য পাগলের মত ছুটে বেড়ানো....
এমনকি রীতিমত উত্ত্যক্ত করা, সার্বক্ষণিক বিরক্ত করা।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যপার হয় তখন- যখন এই পাওয়ার তৃষ্ণাটা নেহয়েতই একতরফা হয়।
অথচ ভালোবাসা সম্পর্কে আমার পূর্বতন জানায় বা অদ্যাবধি বিশ্বাসে তা একতরফা হলে কোনো ক্ষতি ছিলো না বা নাই। বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রেই তা মহিমান্বিত হিসেবে বিবেচিত হবার যোগ্যতা পায়।
যদি সেই ভালোবাসার মধ্যে সত্যিকার অর্থে এই আকাংখাটুকু প্রবল থাকে যে- ''আমার প্রিয় মানুষটি ভালো থাক''।
এখন প্রশ্ন হল আমার আগের জানাটাইকি ঠিক? নাকি আমার বিশ্বাসেও পরিবর্তন দরকার?
যদি আমার বিশ্বাস ঠিক থাকে -
তাহলে প্রিও পাঠক-
ভালোবাসা দিবসের এই আগ মুহুর্তে আপনাদেরকে অনুরোধ জানাই--
দয়া করে কাওকে ভালোবেসে থাকলে এই কথাটি মনের মধ্যে রাখুন-- ''আমার প্রিয় মানুষটি ভালো থাক'' ''আমার ভালোবাসার মানুষটি ভালো থাক''
আর তাকে আত্মিকভাবে পাবার চেষ্টা করুন-
বিরক্ত করে নয় শুধু ভালোবেসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




