somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''কুউউ..'' ................(গল্প)

০৯ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক,

কুউউ...!

তীক্ষ হইসেল বাজিয়ে সবেগে ছুটে চলে সবুজ ট্রেন। বাকঁ খেয়ে ছুটে চলা ট্রেনের কোচগুলোর মৃদু ঝাকি খাওয়া ধীর করে দেয় যাত্রীদের মস্তিস্কের নিউরন সেলের ছুটে চলার গতি, বিদ্যুৎতরঙ্গ।
রাতটা বড় বেশী নিঝুম। তাই আশেপাশে ট্রেনের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ স্পষ্ট হয়ে ওঠে না। জানালা দিয়ে চারিদিকে তাকালে ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখার সাধ্য নেই কারও। তবু পুর্নিমার দিনে চাঁদ সঙ্গী হয়। আজ তাও নেই। আজ তাই আলো জ্বালানো ট্রেনটার একমাত্র পথের সঙ্গী অন্ধকার। অন্ধকারের সাথে কারও সখ্যতা নেই, তাই ট্রেনের যাত্রীরা প্রায় সবাই ডুবে গেছে ঘুমের অতলে। কেউ কেউ রিডিং লাইটে বইয়ের পাতায় চোখ রাখার ব্যর্থ চেষ্টা শেষে খোলাবই সামনে রেখেই ঝিমুচ্ছে কারও কানে দুর্বলভাবে গান শোনাচ্ছে ক্ষয়ে যাওয়া ওয়াকম্যান, মিউজিকপ্লেয়ার। আবার কেউ কেউ পাশের ভদ্রলোকের নাকডাকার বিকট শব্দকে বাধ্য হয়েই সঙ্গীত ভেবে নিয়ে সেই সুরে ঘুমুচ্ছে। সবাই ঘুমে, ট্রেনের এটেনডেন্টরা তাদের নির্দিষ্ট বিছানায় হাতপা লম্বা করে, বুটপালিশওয়ালা আর হকাররা ট্রেনের টয়লেটের দরোজায় হেলান দিয়ে, র্ফাষ্টক্লাস বার্থে যাত্রীরা স্লিপিংগাউন গায়ে জড়িয়ে সটান ঘুমুচ্ছে। কেবল ট্রেনের ড্রাইভার জেগে। তার জেগে থাকাই নিশ্চিত করে অন্য সবার আরামপ্রদ ঘুম।
ট্রেনটা হয়ত এসে গেছে কোন ষ্টেশনের আশেপাশে। কমে গেল এর গতি। ঘটঘট ঘটাং শব্দটা এখন বিরক্তিকর। তবু ঘুম ভাঙল না কারও। তীক্ষ আরেকটা অপ্রয়োজনীয় হুইসেল দিল ড্রাইভার। এই ষ্টেশনে ট্রেনটা থামে না।তাই কারও মাঝে জেগে ওঠার তাড়নাও দেখা দেয় না। শুধুমাত্র একজন জেড়ে ওঠে সবদিন। এই ট্রেনের প্রায় নিয়মিত যাত্রী ভদ্রলোক। প্রত্যেক মাসেই দুতিনবার অফিস ট্যুরে এদিকে যান তিনি।রাতে। তার প্রতিনিয়তের অভ্যাস এ ষ্টেশনের সামনে এসে জেগে ওঠা। আজও উঠলেন। নেই, এই মুহুর্তে তার চোখে কোন ঘুম নেই। শোভন চেয়ারের আরামদায়ক গদি থেকে পিঠ উঠিয়ে সবেগে জানালা খুলতে চান তিনি। দেখতে চান এটাই কি সেই জায়গা, যেখানে প্রতিবার তার ঘুম ভাঙ্গে। শব্দ করে জানালা খুলে ফেলেন তিনি। পাশের যাত্রীর ঘুমন্ত চোখ আর ভুরু কুঁচকে যায় বিরক্তীতে। ঠান্ডা হাওয়াই কুঁচকে যায় ত্বক। জানালা খুলে ফেলা ভদ্রলোক গলা বাড়িয়ে দেন জানালার বাইরে, দেখতে চান কিছু একটা, যা তিনি দেখেন প্রতিবার। খুজঁতে থাকেন। খুজঁতে থাকেন। সহসা চোখে পড়ে ষ্টেশনের নাম লেখা ইট পাথরের স্তম্ভটাকে।

ষ্টেশনটার নাম এখন আর পড়া যায় না দিনের আলোতেও। দিনের আলোতে দেখলেও ষ্টেশনটার অস্তিত্বপ্রমান করাই কষ্টকর বেশ। এটি এখন পরিত্যক্ত। কিন্তু একটা সময় লোকে গমগম করত এর আশপাশ। ষ্টেশনটাকে ঘিরে জমে উঠত বাজার। মানুষের কোলাহল। আনন্দবেদনার উপাখ্যান। কত মানুষের স্মৃতিজড়ানো ষ্টেশনটাতে। প্রতিটা ট্রেন এখানে থামত কোলাহলের সঙ্গী হতে। ষ্টেশনটা মিশে যেত যেন ষ্টেশনের মানুষে। মানুষরা মিশে যেত ট্রেনে। চলে যেত দুরে, দুরান্তে। আসতও। অথচ এখন এর দীনহীন অবস্থা। কেউ ভুলেও মাড়ায় না এ পথ।
একবার এক বড়কর্তা যাচ্ছিলেন এ পথ ধরে। ষ্টেশনে থামল ট্রেন। কিভাবে জানি ঘটে গেল একটা অঘটন। দাদীনানীর মুখে শোনে আজকের বাচ্চারা, দুতিনজন লোক নিজেদের ভেতরকার মারামারি ছড়িয়ে দিয়েছিল ট্রেনেও। খুনোখুনি হয়ে যায়। এমনকি ওই বড়কর্তার উপরেও ওঠে হাত। ব্যস, ট্রেন থামা বন্ধ ষ্টেশনটাতে। ধীরে ধীরে একটা উজ্জল ষ্টেশনের মৃত্যু। তার সাথে বিলুপ্তি কোলাহলেরও। আজকাল এই অন্ধকার কোন হাতরায় না কেউ। এর ঝোপঝাড়ে সাপখোপের আস্তানা। পলেস্তারা খসা লালঘরে মানুষের পা পড়ে না। নাহ্, পড়ে। এক অদ্ভুত বুড়ি অনেকদিন ধরে আছে এখানে, নিভৃতে।

ট্রেন ছাড়িয়ে যায় ষ্টেশন। ভদ্রলোকের ভাবনা জুড়ে আসতে চায় অনেক কিছু অথচ আসে ঘুম। আবার ঘুমে তলিয়ে যান ভদ্রলোক। ঘুমায় পুরো ট্রেন। ছুটে চলে লাইন ধরে, সমান্তরাল। ছুটে চলে আরেকজন ট্রেনের পিছু পিছু। লালঘরে বাস করা লালচোখের, এলোচুলের জটপাকানো বুড়ি, এখনও কি শক্তি তার গায়ে প্রানপনে ছুটে চলে ট্রেনের পিছু পিছু। পাথরে লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার মলিন পা'জোড়া। ওদিক খেয়াল নেই বুড়ির। প্রতিদিনই ট্রেনের পিছু দৌড়ায় বুড়ি। ট্রেনের গতি বেড়ে যায়। দ্রুত অগ্রসরমান সাপের মত কিলবিল করতে করতে চোখের আড়াল হতে যায় ট্রেন। মুখ থুবরে পড়ে বুড়ি। গতদিনের অল্প শুকিয়ে আসা ক্ষতে আবারও আঘাত লেগে ছিলকে বেরোয় রক্ত। মুখটাও হয়ে যায় চোখের মত রঙীন। লাইনে পড়ে থাকে বুড়ি। পড়ে ঘুমায়। সে ঘুম আর ভাঙে না, সকাল হবার আগে।


দুই,

ভোরের সুর্য চোখে মুখে লাগতেই ঘুম টুটে যায় ছোট্টছেলের। এটা তার নিত্যদিনকার অভ্যাস। বিছানার পাশের জানালাটা ঘুম থেকে জেগেই খুলে দেন মা। ছেলের ঘুম ভাঙাতে এটাই যথেষ্ট। আজ ঘুম ছেড়ে ব্যস্ত দিন কাটবে তার। ছেলে যাবে বাবাকে খুজঁতে। নিজের স্বামীর প্রতি মহা বিরক্ত তিনি। আর বিরক্ত ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সবুজ ট্রেনগুলোর প্রতি। সেইযে মাস আগে তার স্বামী এই ট্রেনের বুকে চড়ে শহরে গেলেন আর তার ফেরার নাম নেই কেন? শহরে কি এতই চাকচিক্য, মোহ! যে তার নির্লোভ স্বচ্ছ ভালবাসা, ঘাসের কচিপাতার উপর শিশু শিশিরকনার আলোর খেলার মত তার ছোট্টছেলের হাসিও এর কাছে নিঃস্ব?
অগত্যা তাই সিদ্ধান্ত বাপতে খুজঁতে ছেলেকে যেতেই হবে শহরে। সাত থেকে আটে পড়েছে ছেলে। নিজের নামটা, ওর জন্মদাতা বাপের নামটা, ওর মাতৃভুমি গ্রামের নামটা বলতে পারে সাবলীলভাবেই। শহরে ওর বাপ যে ঠিকানায় গেছে সে ঠিকানাটা গুটগুটে হাতে লিখতেও জানে। আর শহর কি এতই জটিল যে স্পষ্ট ঠিকানা খুজে পাবে না। আর ওর সাথে তো পাশের গায়ের মন্টুর বাপ থাকবেই। মায়ের আর চিন্তা কিসের?
ওদের যাত্রার সময় হয়ে এল বলে। আকাশপাতাল চিন্তা করে আর সময় নষ্ট করেন না তিনি। তাগাদা ছেলেকে , 'ওঠ অন্তু....।'

কাপাঁ কাপাঁ পায়ে ট্রেনে চেপে বসে অন্তু। ডানহাত দিয়ে চেপে ধরে রাখে পাশের গায়ের কেরামত চাচার হাত। সেই ছাড়ে না শহরে প‌ৌছেও। শহর কি বিপুল চাকচিক্যের । ষ্টেশনে নেমেই হতবাক ছোট্ট অন্তু! এত বিশাল জংশন, এত মানুষজন, এত ব্যস্ততা, ছোটাছুটি, হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ। এই কথাটা যখন মনে আসে তখন অন্তু তার ডানহাতের শেষপ্রান্তে কেরামত চাচাকে আর পেল না। অন্তুর উজ্জল মুখে অসহায়ত্বের ছায়া আসতে সময় লাগে না একটুও। চোখ দিয়ে জল বেড়িয়ে আসার আগেই বুঝতে পারে শহরের অসহ্য ভীরে মিশে গেছে সেও। এই জনারণ্য ভীর তাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা ও জানে না।

জীবনের অনেক দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে সেদিনের সেই ছোট্ট অন্তু এখনও জানে না সে কোথায় চলেছে। বড় চাকরি এখন তার। মাসশেষে মোটা বেতন। ছিমছাম ঘরে একটা মিষ্টি বউ আর ফুটফুটে ছেলে। ছেলেটার দিকে তাকালেই হিংসে হয় তার, বাপ হয়েও। ওর তো কি সুখ! বাবামা সারাক্ষন তার পাশে পাশে থাকে। কিন্তু ওর বাবাযে নিজের বাবামাকে সেই শৈশবেই হারিয়ে বসেছে সে তো আর তার জানার কথা নয়। বাবা মা না থাকার কষ্টটা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় জুয়েলকে। তার এখনকার জীবনটা এত সুখ আর স্বাচ্ছন্দের। তবু মনে হয় ছোট্টবেলায় তার সেই উচ্ছল জীবন, মিষ্টি নাম অন্তু, সেসবই ভাল। বাবা মার চেহারাটা আর মনে আসে না। কেরামত চাচার মুখটা চোখে ভাসে। আর চোখে ভাসে সেই দিনের কথা। সেদিন ষ্টেশনে ভীরের মাঝে কিভাবে যে ছুটে গেল হাতটা। স্পষ্ট চোখে ভাসে সেসব দৃশ্য। চোখে ভাসে সবুজ গ্রামের দিগন্তবিস্তুত মাঠে নিজেরও ছুটন্ত পাজোড়ার ছবি। একটা লালঘর। তার সামনের রেললাইনে দৈত্যগাড়ির ছুটে চলা অবিরত। নিজেদের ছোট্টঘরে নির্জনে, নিঃশব্দে ঘুম। স্নিগ্ধ সকালে চোখে আলোলাগা মায়ের ডাক।
'ওঠ অন্তু...'
জোর করে মায়ের দিকে তাকতে চায় সবকটা অর্ন্তচক্ষু। কিন্তু মায়ের ছবিটা যে মনে ভাসে না। অব্যক্ত এক যন্ত্রনা ঝাপটা দিয়ে আসে মনে। কিলবিল করে বাড়ে দুঃখবোধ। উফ! গ্রামের নামটাও যদি মনে হত। সেই ষ্টেশনের ধারের ছোট্টগ্রাম। ষ্টেশনটার নাম ফলকে লেখা থাকত। কী যেন নামটা।
কি নাম? কি নাম?...কি নাম...??
চিৎকার করে ওঠে জুয়েল। ধরফর করে উঠে বসে। পাশে শোয়া স্ত্রী ও ওঠে বসে। ঘেমে একাকার বড়অন্তু। বিছানার পাশের টেবিলের উপর রাখা প্লেটেঢাকা গ্লাস থেকে একঢোকে সবটুকু পানি গটগট করে খেয়েও হাপায় অসুস্থ রোগীর মত। অসহায় চোখে তাকায় স্ত্রীর সিকে।
-'আবার দেখলে স্বপ্নটা?'কেন নিজের অতীত নিয়ে এতটা ভাব? আমি, আমরাই কি তোমার সব না?' নরম কন্ঠে বলে ওর অস্থির সময়ের বন্ধু।
নিজের স্ত্রীর কোমল কন্ঠ হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। চোখ জল আসে, আটকে রাখতে পারে না। গভীর রাতে এই ভেসে আসা জলে বাধা দেয় তারই সন্তানের মা।
'ছি: কাদোঁ কেন? এখন যদি খোকন ওটে পড়ে?' পাশে শোয়া ছোট্ট ছেলেকে দেখিয়ে বলে জুয়েলের স্ত্রী।' তবে কি লজ্জার কান্ডই না হবে। ও জিজ্ঞেস করবে, বাবা কাদেঁ কেন? বাবা কি লজেন্স খাবে?' হেসে হালকা করতে চায় স্বামীর মন।' ঘুমাও তো এখন, কাল সকালে না ট্যুর আবার।'




তিন,


অনেকদিন আগে এক বিকেলে নাম ভুলে যাওয়া গ্রামে স্নেহময়ী মায়ের কাছে হাজির হয় পাশের গাঁয়ের মন্টুর বাপ কেরামত আলী। জানায় করুন কাহিনী। কি ভাবে জানি ষ্টেশনে ভীরের মধ্যে হারিয়ে গেছে অন্তু।
ভালবাসার স্বামীর সাথে সাথে এখন সোনার টুকরাো ছেলেও হারিয়ে গেছে? মাথায় আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ভেঙে পড়ে তার উপর। চিৎকার দিয়ে ছুটতে থাকেন তিনি। ছুটতেই থাকেন বাড়ির পাশে ষ্টেশনের বারান্দা ছুয়ে রেললাইন ধরে। তার এই ছোটা আজও থামেনি। সেই ষ্টেশনে আগে ট্রেন থামলেই যাত্রীরা পাগলীর অত্যাচার সইত। ট্রেনে ওঠে ছেলেকে, স্বামীকে খুজঁত পাগলী। এখন ট্রেন থামে না। পাগলী এখন থ্থুরে বুড়ি।তবু শেষ বয়সে এসেও ছুটে চলা ট্রেনের পিছনে সমস্ত শক্তি এক করে ছুটতে থাকে বুড়ি। মুখ থুবড়ে পড়ে একসময়। পাথরে ঘসা লেগে উঠে যায় হাত পা মুখের চামড়া। তবু ক্ষান্ত দেয়না পাগলী বুড়ি। তবুও ছুটে।
এই ষ্টেশনের মৃত্যুর সাথে গ্রামের ও মৃত্যু হয়েছে। এখন এখানে কেউ থাকেনা। মৃত গাঁয়ের পাশের গাঁয়ের লোকেরা বেশ কবার এখান থেকে বুড়িকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। বুড়ি যায় নি।
বুড়ি অপেক্ষা করে আছে তার স্বামীর জন্য, ছেলের জন্য।



চার,

গভীর রাত। ট্রেনের সবাই ঘুমে নিমজ্জিত। মুল ষ্টেশন থেকে ছাড়ার পর একবারও থামেনি ট্রেন। ঘন্টা তিনেকের পথ পেরিয়ে এসেছে। চারিদিকে শুনশান পরিবেশ। শুধুই ট্রেনের ঝিকঝিকঝিক শব্দ।

এসে পড়েছে ট্রেনটা নামফলক মুছে যাওয়া মৃত ষ্টেশনের কাছাকাছি। চোখ উজ্জল হয়ে ওঠে পাগলী বুড়ির সেই শব্দ শুনে। তার স্বামী এসেছে। তার ছেলে এসেছে ট্রেনে চেপে। উঠে দাড়ায় সে। প্রতিবার ট্রেনটা চলে যায় তাকে ফেলে, ফাঁকি দিয়ে। এবার নিশ্চই থামবে। ট্রেন থামে না। ছুটে পেরিয়ে যায়। দৌড়াতে থাকেন বৃদ্ধা, সজল চোখে।

কুউউ....।

ট্রেনের হুইসেল অন্তর ভেদ করে যায় অস্থির ভদ্রলোকের। এই কি সেই জায়গা? এই্ কি সেই জায়গা...? ফিসফিস করে বলে মাত্র জেগে ওঠা বড়অন্তু জুয়েল রহমান। অস্থির হয়ে জানালা খুলে বাইরে মুখ বাড়িয়ে দেখতে চায় কিছু একটা।

বাইরে শুধুই নিকষ কালো অন্ধকার। আর কিছুই চোখে পড়ে না।


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৮:২৬
৮৩টি মন্তব্য ৮৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×