বলা হয়ে থাকে প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবেও উদ্ভিদ বা গাছ পালার ব্যবহার চলে আসছে সেই সুদূর অতীত থেকে। কিন’ আধুনিক কালের প্রভাবে পশ্চিমাভিমুখী দৃষ্টি আমাদের মনকে উদ্ভ্রান- করে রেখেছে। চটজলাদি উপশমের জন্য নির্বিকার ভাবে আমরা অনেক সিনথেটিক ওষুধ ব্যবহার করে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের শরীর ক্রিয়ার অশুভ চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কার, সেগুলোর ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের ফলে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাগুলোর জনপ্রিয়তা বর্তমানে অনেকটা নিস্প্রভ হয়ে গেছে। তবে আধুনিক চিকিৎসার অনেকটা খরচ,যন্ত্রনির্ভরতা,বিভিন্ন জটিলতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দর”ণ ইদানীং বিভিন্ন দেশে প্রাচীন চিকিৎসা প্রদ্ধতি গুলো তথা ভেষজ চিকিৎসা পুনরায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। আমাদের দেশে ভেষজ চিকিৎসা একটি সুপ্রাচীন পদ্ধতি “ভেষজ’ অর্থাৎ ভয় জয়ী। এই ভয় অবশ্য রোগের ভয়। এবং রোগনাশক উদ্ভিদমাত্রই ভেষজ। কিন্তু তিক্ত রসের ভেষজ বেশি উপকারী। ভেষজ বিজ্ঞানকে করুনাময় আলাহর সৃষ্টিজগতে এমন কোন বস্তু নেই যা ভেষজ নয়।
যা হোক সেইদিনও আমাদের দেশে ঘরোয়া চিকিৎসায় টোটকা ব্যবহারের প্রচলন ছিলো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই টোটকা ছিল অব্যর্য। সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের অসুখ, ক্রিমি বা আঘাতির জন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার তেমন প্রয়োজন ছিলো না। কিন’ আধুনিক চিকিৎসার ডামাডোলে এবং অনেকটা অজ্ঞতার কারণে হাতের কাছে ওষুধ থাকতে আমাদের প্রায় দূর্ভোগ পোহাতে গয়। বাড়ির আশেপাশে ঘরের কোণে, এমনকি রান্নাঘরে হয়তো এমন কার্যকরী ভেষজ রয়েছে যা দূঘটনা বা জরুরী অবস্থা মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাছাড়া যে কোন রোগ, এমনকি ডায়বেটিস, বাডপ্রেসার, হার্ট-ডিজিজ ইত্যাদির মতো জীবন ধ্বংসকারী রোগও আরোগ্য করতে ভেষজ সমভাবে প্রযোজ্য ও ফলপ্রসূ।
বলা বাহুল্য অনেকেই হয়েতো বিভিন্ন ভেষজের গুণ এবং তাদের নিরাময় শক্তি সম্পর্কে অবগত আছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় কয়েকটি ভেষজের নাম ও প্রয়োগপদ্ধতি এখানে লিপিবদ্ধ করা হলো।
(তথ্য সূত্র:১. গসারি অব ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল পান্টস)
১. চিরঞ্জীব বনৌষধ / শিবকালী ভট্রাচার্য)
দ্রষ্টব্য : একই রোগের জন্য একাধিক ভেষজের নাম উলেখ করা হলো। সহজলভ্য যে কোন একটি/দুটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমাশয় ঃ
২. জামগাছের কচিপাতার রস ২/৩ চামচ একটু গরম করে জ্জ ঘন্টা অন-র অন-র খেতে হয়। ২/১ দিনেই উপশম। এর সাথে ছাগদুধ মেশালে ভালো হয়।
৩. ডালিম-গাছের ছাল সিদ্ধ করে খেতে হবে সকাল/বিকাল। (রক্তামাশয়)
তেলাকুচ পাতা ও মূলের রস ও চামচ গরম করে সকালে সেব্য।
৪. কুলগাছের (বড়ই) কাচাছাল ২গ্রাম একটু দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। (রক্তামাময়)
(সংগৃহিত)
http://bd24live.com
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৯