বেশ কিছুদিন আগের কথা। জেলা শহরের এক রেস্টুরেন্টে নাস্তা করছিলাম। নির্বাচন পরবর্তী সময়। একজন বললেন, আমাদের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে এদেশের রাজনীতিবিদ, বড় বড় ব্যবসায়ী এবং সেনাবাহিনী। তাদেরই যখন স্বাধীনতা রক্ষার চিন্তা নাই, তখন আমরা এত লাফাই কেন? এর একটা জবাব এরকম করে কেউ একজন করলেন, ওদের যাওয়ার জায়গা আছে, আমাদের নাই। আরেকটা জবাব, এরকম... আমরা যারা লাফাই তারা মর্যাদা নিয়ে চলতে পছন্দ করি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা একটা নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড পেয়েছি। যদিও রাষ্ট্রের সংজ্ঞার মধ্যে আরও কিছু পড়ে। আমাদেরই মধ্যে থেকে কেউ কেউ যখন ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে জাতি হিসাবে অবমূল্যায়ণ করতে চাই, তখন আমরা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে অগ্রসর করি কিভাবে? কেউ কেউ তো আরেক কাঠি এগিয়ে বলেন, তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশ হিসাবে সেনাবাহিনীরই প্রয়োজন নেই।
শয়তান তার কাজের সমাধা করে দুধাপে। কোন জাতি বা ব্যক্তিকে ধ্বংস করতে চাইলে আগে তার মুল্যমানকে কমিয়ে দেয়। তার মধ্যে এটা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যে সে যেন নিজে থেকেই নিজেকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। অতঃপর তার উপর আধিপত্য কায়েম করে। কোরআন থেকেই আমরা জানতে পাই, ফেরাউনের কৌশল ছিল এরকম।
কোরআন এজন্য তাগিদ দেয় মানুষকে "ই'জ্জাহ" (এর কাছাকাছি ইংরাজী প্রতিশব্দ হতে পারে Dignity) সম্পন্ন হওয়ার জন্য। নিজেকে অবমূল্যায়ন করা ইসলামে হারাম।
রাষ্ট্র হিসাবে আমরা মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য কি কর্মসূচী হাতে নিয়েছি? আমাদের রেডিও টিভি কি সেই কাজটি করছে? আমরা কি একবারও ভেবে দেখি না কেন মাত্র ১৫ লাখ লোকের বসবাসস্থল গাজার মানুষকে ইসরাইলের মত ক্ষমতাধর শক্তি পরাজিত করতে পারে না? আমরা কেন আমাদের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত ও সুদুঢ় করতে পারব না? আমাদেরকে পারতেই হবে।