somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাহায্যের আবেদন: অরণ্যকে বাঁচাতে পারি আমরা

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হয়তো লেখা হতে পারত, এক যে ‘ছিল’ শিশু। শিশুটির বয়স চার, নাম ফাহিম হাসান অরণ্য। তার মায়ের নাম সুবর্ণা, আর আব্বু এ এইচ এম সলিমুল্লাহ সেলিম। মা সামারফিল্ড স্কুলে শিক্ষকতা করেন; আর আব্বু সংযুক্ত ছোটখাটো একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে প্রতিবেদনটি সেভাবে শুরু করার প্রয়োজনীয়তা ঠিক এ মুহূর্তে দেখা দেয়নি। তবে, দিতে আর কত দূর? উত্তর নির্ভর করছে আমাদের ওপর।
শিশুটির মা ও আব্বাকে আমি ভালোভাবে চিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অতি পুরাতন বসবাসকারীদের একজন হওয়ায় জনাব সলিমুল্লাহ সেলিমের প্রয়াত পিতা ছিলেন আমার প্রতিবেশী। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক। আর শিশুটির মা আমার সাক্ষাৎ ছাত্রী।
সদাচঞ্চল অরণ্য হঠাৎ মাসখানেক আগ থেকে নির্জীব হয়ে পড়তে শুরু করে। মাঝেমধ্যে স্তব্ধ হয়ে পড়ে কথা বলার স্পৃহা। ব্যথায় কুঁকড়ে যায় মুখমণ্ডল। তখন অবশ হয়ে যায় সমস্ত শরীর। আতঙ্কিত মা-বাবা শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। তার চিকিৎসা শুরু হয়, ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইন সার্জন, নিউরোসার্জারি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মইনুল হক সরকারের তত্ত্বাবধানে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নির্ধারিত হয় শিশুটির অসুস্থতার প্রকৃত পরিচয়। চিকিৎসক রায় দেন, এ অসুস্থতার নাম, থ্যালামিক গ্লিওমা (right thalamic glioma)। এ রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। চিকিৎসার কোনো সুযোগই নেই বাংলাদেশে। তাকে অতি দ্রুত নিয়ে যেতে হবে ব্যাংককের বামরুগ্রাদের হাসপাতালে বা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথে। অসহায় শিশুটি এখন দিন গুনছে ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখার ২০৪ নম্বর কেবিনে কয়েক সপ্তাহ ধরে।


আজকের দিনেও, বিনা চিকিৎসায় নয়, সুচিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে অসহায় শিশু। হয়তো এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের করার কিছু থাকে না। দুঃখ পাই, নীরব দর্শক হয়ে থাকি। কিন্তু আমার মনে হয়, এই শিশুটির ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে আসতে পারি। কিছু করণীয় আছে আমাদের। তার ব্যাংকক কিংবা সিঙ্গাপুরের চিকিৎসার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা, যা কোনোভাবেই তার নিম্নমধ্যবিত্ত বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজনের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে চিকিৎসা বাবদ ধারদেনা করতে হয়েছে প্রচুর, ছয় লাখ টাকার মতো। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব বাড়িয়ে দিতে পারি সাহায্যের হাত।
বিবেকের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, অরণ্যকে কি এইভাবে আমাদের ছেড়ে যেতে দিতে পারি? আসুন, আমরা সবাই মিলে দ্রুত সাড়া দিই শিশুটির আর্ত আহ্বানে। সময় বড়ই মূল্যবান, দ্রুত গড়িয়ে যেতে দিলে, হয়তো নাগালের বাইরে চলে যাবে সব প্রয়াস। তখন আর কে কাকে দুষব আমরা। তাই বলি, সময় থাকতে এগিয়ে আসুন। চোখভার জল নিয়ে আপনাদের দিকে তাকিয়ে অরণ্যর মা-বাবা সুবর্ণা ও সেলিম।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সুবর্ণা সেলিম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ১৩৮২১০২০০০২৭৬৯, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, আসাদ গেট শাখা, ঢাকা। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য: ০১৭১৭১৬৩৩১৬ অথবা ০১১৯০৩৪৬২০৫।
মোহাম্মদ রফিক: কবি। অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্য সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×