জি আর বি ০৯০৪২৩ গ্রহটির জীব বিজ্ঞানীরা এবার প্রায় ১৪ আলোক বর্ষ দূরের একটি গ্রহ থেকে জীব বৈচিত্রের নমুনা সংগ্রহ করে এনেছে পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য। তাদের সবচে বড় জীব বিজ্ঞান ল্যাবটির অন্যতম কাজ হল বিভিন্ন গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষন করা। বিজ্ঞানী টাইপু তার শিক্ষানবীশকে পর্যবেক্ষণের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছিল। প্রথমেই বাহ্যিক গঠনের বর্ণনা ও মন্তব্য…
সংগ্রহ করা প্রাণিটিকে এনেস্থেশিয়া দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষনের ভেতরই জ্ঞান ফেরার কথা। এর প্রতিটি মুহুর্তের রেকর্ড রাখতে হবে। কারণ বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন এটি যথেষ্ঠ উন্নত, গঠন ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে।
প্রাণিটি অনেকটা নিউরোন এর মত দেখতে, ডেনড্রাইট এবং এক্সন এর মত এর দেহকে ২ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। মূল দেহ এবং অনুষংগ। মুল-দেহের প্রথমেই ১টি গোলাকার বস্তু যা এদিক-সেদিক নাড়ানো যায়। বেশ কিছু ফুটো আছে গোল বস্তুটায়। কোনটা জোড়াকারে, কোনটা একই রকম ২ পাশে। কোনটা ছোট, কোনটা আবার বেশ বড়। তার ভেতর আবার ছোট ছোট কিছু শক্ত অনড় বস্তু আর ১টি নরম কিন্তু নড়তে সক্ষম বস্তুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তারপর প্রায় আয়তাকার একটি অংশ যেখান থেকে ২ পাশে ২ টি বর্ধিতাংশ বেড়িয়েছে যা দেখতে অনেকটা ডেনড্রাইটের মত। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক এলভিওলাই সদৃশ প্রত্যংগ দেখা যাচ্ছে যা সঞ্চালনক্ষম। এই প্রায় আয়তাকার অংশটি কিছুটা চেপে ধরলে এক ধরনের বিট পাওয়া যায়।!
এর ঠিক নিচেই দেহটি পূনরায় ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখানেও শেষে গিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক এলভিওলাই সদৃশ বস্তু বিদ্যমান। বর্ধিত অংশগুলো যে কোন দিকে নাড়ানো যায়। পুরো দেহটিই সুক্ষ্ম কিছু ফাইবারে আবৃত। কোথাও কোথাও বেশ ঘন আর বড়। বিশেষ করে গোলাকার অংশটায় ফাইবারের দৈর্ঘ্য অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি।
প্রাণিটির জ্ঞান ফিরছে বলে মনে হচ্ছে। এলভিওলাই গুলো নড়াচড়া শুরু করেছে। উফ কি জঘন্য!! দেখতে লাগছে ঠিক কিলবিলে পোকার মত!! যেন প্রতিটি অংশ আলাদা জীবন পেয়ে গেছে!! গোলাকার অংশটি থেকে ১ জোড়া ঢাকনা সরে গেল বলে মনে হচ্ছে!! প্রাণিটি চোখ খুলে তাকাল! কি অদ্ভুত!! অক্ষিগোলকের ভেতর মাত্র ১ টি করে লেন্স!! কিভাবে এত ক্ষুদ্রাকৃতির আর সীমিত লেন্সের চোখ দিয়ে প্রাণিটি দেখে সেটা ভেবে পর্যবেক্ষকের খানিকটা করুনা হয়…।
প্রাণিটির চোখে এক ধরনের বিস্ময় আর আতঙ্ক ফুটে উঠেছে। তবু সেখানে কোথায় যেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার ছাপ স্পষ্ট!!! পর্যবেক্ষক তার নোটে সব শেষে লিখল “যদিও প্রাণীটি দেখতে কদাকার, কিলবিল করে নড়তে থাকা অংগগুলো দেখলে প্রথমেই পোকার কথা মনে আসে, বাহ্যিকভাবে কোন শক্তিশালী গঠন বৈশিষ্ট্যও লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা, তার পরও কেন যেন শুধুমাত্র অপরিনত চোখের দিকে তাকালেই প্রাণিটিকে অত্যন্ত বুদ্ধিমান বলে মনে হয়। এর উপর আরো সময় নিয়ে গবেষনা চালাতে হবে। প্রাণিটির বৈজ্ঞানিক নাম হোমো সেপিয়েন্স”…
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৬