সেঃ তুমি মানুষকে কেন এত বিশ্বাস কর?
আমিঃ কেন করব না? শুধু শুধু ১ জন মানুষ কেন আমার কাছে মিথ্যে বলবে?
সেঃ দুনিয়াটা কে কেউ তোমার চোখে দেখেনা।
আমিঃ জানি। কিন্তু আমি মানুষকে অবিশ্বাস করতে পারিনা।
সেঃ এটা কি তোমার স্বভাব নাকি সত্যি তুমি সবাইকে বিশ্বাস কর?
আমিঃ আমি মানুষকে বিশ্বাস করতে ভালবাসি...
সেঃ এই জন্যেই জীবনে এত কষ্ট পেয়েছ আর পাচ্ছ...দোয়া করি কোন ১ দিন কেউ তোমার বিশ্বাসের মর্যাদা দিবে..
সে নিজেও বিশ্বাসের মুল্য দেয়নি। চড়া মাসুল গুনছি শুধুই আমি...
সে...।
আমার ছোটবেলার আদর্শ।
আমার স্বভাব, অভ্যাস, আচরন, নীতি, রুচির শুরু তাকে দেখে...
সে...।
যার কোলে চড়ে, হাত ধরে বড় হতে হতে হঠাৎ হারিয়ে ফেলা...
আজ যার সাথে আমার নিত্য নৈতিক যুদ্ধ চলে...
সে...।
আজ আমি যার চক্ষু-শূল, পথের কাঁটা...।
তবু ভালবাসি, আগের মত কিংবা তারচে বেশি...
সে...।
এসবের কিছুই জেনেও হয়তো জানেনা কিংবা আমার বুকের রক্ত-ক্ষরনেই তার শাস্তি দেয়ার নতুন আবিস্কারের সার্থকতা...।
সে...।
যে আমার কষ্টের দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।
অল্প দিনে যে মনের ১ টা অংশ দখল করতে পেরেছিল।
সে...।
যাকে বিশ্বাস করে অনেক কিছুই বলেছিলাম, কিন্তু বিনিময়ে জানতে পারিনি কিছুই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সে হারিয়ে গেছে অজানায়।
কেন এত কষ্ট পাই?? কেন “সে” রা বারবার কষ্ট দেয়?? তবু কেন বিশ্বাস করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারি না?
দোষ আসলে আমারই। আমার কারনেই “সে” রা আমার জীবনে মুল্যবান হয়ে উঠে, কষ্টগুলোর পাল্লায় নতুন ওজন উঠে সে আমারই কারনে। কারন আমি ক্ষমা করতে জানি। জানি সব ফেলে নতুন আশায় বুক বাঁধতে। আমি বিশ্বাস করতে জানি...। ক্ষতি কি অবুঝ হয়ে “সে” কষ্ট দিলে? জিত সেদিন আমার অশ্রুরই হবে যেদিন মনে মনে হলেও “সে” রা আমাকে বিশ্বাস করবে, ভালবাসবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩১