তিনি বলেন, জীবনের সবচেয়ে বড় ফরজ হচ্ছে কোরআন জানা। আর কোরআন জানার জন্য চাই মুক্ত মন। কারণ মুক্ত বিশ্বাস মানুষকে মুক্তি দেয়, আর গোঁড়ামি মানুষকে শৄঙ্খলিত করে। কোনকিছু সত্যিকার ভাবে বুঝতে হলে চাই গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া। কোরআন নাজিলের প্রথম সময়ে অধিকাংশ সাহাবী নিরক্ষর ছিলেন। কিন্তু আন্তরিক আগ্রহ তাদেরকে কোরআনের জ্ঞানে জ্ঞানী করেছে।
তিনি বলেন, কোরআন হচ্ছে সুখি জীবনের ম্যানুয়াল, মানুষকে ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে উৎসাহিত করে। দিয়েছে এক সুখি সফল প্রাচুর্যময় জীবনের সন্ধান। নবীজী সাঃ ও সাহাবীদের জীবনই তার প্রমান। যখন তাঁরা কোরআনের শিক্ষাকে জীবনে ধারণ করলেন, তখন পৃথিবী জয় করলেন। আর উত্তর প্রজন্মে কোরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় তাঁরা অধপাতে নিমজ্জিত হলেন।
তিনি আরও বলেন, কোরআনের জ্ঞান অর্জন করুন। যে কোরআনের জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ-তায়ালা তাকে দুঃখ থেকে রক্ষা করেন। কারণ সবচেয়ে বড় জ্ঞান হচ্ছে সুন্দর জীবনযাপনের জ্ঞান, কোরআনে তাই রয়েছে। জীবনে যত ধরনের সমস্যা রয়েছে তার সমাধান রয়েছে কোরআনে। এ কারনে কোরআনের জ্ঞান সবসময়ই প্রাসঙ্গিক ও সর্বজনীন, সব ধর্মের সকল স্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর মায়ের ভাষায় পাঠ করলেই আমরা তা ভালভাবে বুঝতে ও অনুধাবন করতে পারব। আমাদের জীবনও ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে সমৄদ্ধ হবে।
কোরআন মানুষের নৈতিক শক্তি জাগ্রত করে। আর নৈতিক শক্তি মানুষকে সতকর্মপরায়ন বা পরহেজগার করে।
আল্লাহ-প্রেম মানুষের আত্মিক শক্তি জাগ্রত করে। আত্মিক-শক্তি/আল্লাহ-প্রেম মানুষকে অমর করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০০