ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের আরেক নাম ভালবাসা। আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী “শয়তান” আমাদেরকে অনেক যুক্তি দেখাতে পারে, বাস্তবতা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম তলোয়ারের শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বা বিস্তৃত হয় নাই, ভালবাসা দিয়েই ইসলাম ধর্ম আসন গেরেছে।
তায়েফবাসীদের পাথরের আঘাতে মুহাম্মদ(সাঃ) এর জুতা পর্যন্ত রক্তে ভিজেগিয়েছিলো, এর জবাবে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) তেয়েফবাসীদের জন্য শান্তির দোয়া করেছেন। যে বুড়ী তাঁর পথে কাঁটা দিয়ে রাখতো, তিনি সেই বুড়ীর অসুখে সেবা করেছেন। যে মক্কাবাসী তাঁর সাথীদের দুই পা দুই উটের সাথে বেঁধে টানাদিয়ে মাঝখান থেকে ছিরেফেলতো, তাদেরকে যুদ্ধলব্ধ দাস হিসাবে পাওয়ার পর নবীজী(সাঃ) তাদের সাথে নিজের ভাইয়ের মত আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে মক্কাবাসী তাঁকে বাচার জন্য ঘাস-পাতা খেতে বাধ্য করেছিলো, যারা নবীজীর হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করেছিলো, যাদের হাত থেকে শুধু প্রান বাচানোর জন্য নবীজী(সাঃ) ও তাঁর সাথীরা গোপনে মক্কা থাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন; এমনকি মক্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও যে মক্কাবাসীরা নবীজী(সাঃ) ও তাঁর সাথীদের ধংস করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। মক্কা বিজয়ের পর নবীজী(সাঃ) সেইসব অমানুষদের সবাইকেই ক্ষমা করে দিয়েছেন। শুধু তাই না, ঐসব অমানুষদের নেতার ছেলেকে গভর্নর বানিয়েছেন।
মিশর বিজয়ের পর মুসলমানরা পিরামিড-স্ফিংস ভাঙ্গেনাই, বা বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তির গায়ে মুসলিম বিজয়ীরা হাত দেয় নাই। ৪০০ বছর শাষন করার পরও ভারত হিন্দুপ্রধান দেশ। মুসলিম শাসকরা জোর খাটালে ভারত থেকে স্পেন পর্যন্ত একজন মানুষও অমুসলিম থাকতো না।
মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবি-অনুসারিরা সব সময়ই কঠোরতা, সন্ত্রাস, ঘৃণা-হত্যা ও জোর-জুলুমের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁদের মূলনীতি ছিলো “ভালবাসা”। আর এটাই ইসলাম ধর্ম।
এর পর আনেক মানুষ এসেছে, যাদের মূলনীতি ঘৃণা। তারা ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কঠোরতা, সন্ত্রাস, ঘৃণা-হত্যা ও জোর-জুলুম করেছে। এদের মুখে যাই থাকুক মূলনীতি ছিল সন্ত্রাস ও ঘৃণা। আর মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবি-অনুসারিদের মূলনীতি ছিল ভালোবাসা ও ক্ষমা।
এখন যার মূলনীতি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিদের ঠিক বিপরীত তারা কিভাবে মুসলমান হয়?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮