১) তিনি কি সর্বশক্তিমান? তিনি কি একটি অমর জীব সৃষ্টি করে সেটিকে ধ্বংস করতে পারবেন? না পারলে তিনি সব করতে পারেন কিভাবে?
২) তিনি কি সর্বজ্ঞ? তবে তো তিনি আগে থেকেই জানেন যে কারা পাপ করবে আর কারা পুণ্য করবে। তবে কেন তিনি ঈমান আনার নির্দেশ দিলেন? তিনি নির্দেশ দিন বা না দিন যারা ঈমান আনার তারা তো আনবেই।
৩) তিনি মানুষকে বানিয়েছেন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে। যদি মানুষ সেই কাজ করতে অস্বীকার করে তবে তো তিনি ব্যর্থ বলেই ধরতে হয়। তাঁর হুকুম না মানার জন্য তিনি নরকে পাঠাবেন বুঝলাম। (সরকারও হুকুম না মানলে জেলে পাঠায়) কিন্তু তাঁর সৃষ্টির একটা বিরাট অংশ ডিফেক্টিভ হবার পরেও কিভাবে তিনি ত্রুটিহীন হলেন?
৪) তিনি আগে থেকেই সব জানেন মানে তো দুনিয়ার সব ঘটনা আগে থেকেই স্থির হয়ে আছে। ধরুন ঈশ্বর জানেন লাদেন কবে আর কোথায় কিভাবে মরবে। তাহলে লাদেনের পিছনে আম্রিকার ছুটোছুটি আর লাদেনের লুকোচুরির কোনো দরকার থাকে কি? লাদেনের গলায় এটম বোমা বেঁধে ফাটালেও তো ঈশ্বরের জানা দিন তারিখ ভুল হবে না। মুহম্মদকেই বা কেন মক্কা ছেড়ে পালাতে হয়? তাঁর সাথে তো আল্লার ডাইরেক্ট কন্ট্যাক্ট ছিল। তিনি কি জানতেন না যে তিনি কবে কিভাবে মরবেন?
৫) যিনি ‘হও’ বললেই সবকিছু হয়ে যায় তাঁর এত নবী/ফেরেস্তার দরকার পড়ে কেন? কেনই বা তাঁর আশমানি কিতাবের হুকুম না মেনে মানুষ বেঁচে আছে। তিনি ‘ঈমান আনো’ বলার পরেও যদি কারো ঈমান না আসে, তিনি কোনো আশমানি কিতাব 'সকল সন্দেহের উর্ধ্বে' বলার পরেও যদি লোকে সন্দেহ করে তবে কিভাবে বলা হচ্ছে যে তিনি ‘হও’ বললেই সবকিছু হয়ে যায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪১