কোথায় যেন পড়েছিলাম- তিনটি জিনিস খুব কাছের দুজন মানুষকেও আলাদা করে দেয়।
১- ভয়
২ - দ্বিধা
৩ - লজ্জা ...
***দেখবেন রাতে ঘুমানোর আগে চোখ বন্ধ করে সে কী চিন্তা করছে কেউ জানে না। পাশের ঘরের মানুষটিও না। বিছানার পাশের মানুষটিও না। কেউ না..
মানুষ সত্যিকার অর্থেই একা... যদিও একা শব্দটি নিজেই একা না। ' এ ' এবং ' কা ' ... দুজনে মিলে একা !!
বছরের পর বছর কথা বলার পরেও সব কিছু বলা হয় না... কিছু বাড়িয়ে বলা হয়... কিছু লুকিয়ে রাখা হয়... কিছু কথা বলার আগ মুহূর্তে মাথায় আসে ' কথাটা বলা কী ঠিক হবে? '
**কাজেই আপনি যদি চিন্তা করেন - আপনার লাইফের সব কিছু খুব কাছের মানুষকে বলে দিবেন... সেটা সম্ভব হবে না...
যে মানুষটাকে আপনি খুব শ্রদ্ধার চোখে দেখেন একদিন হয়ত তাকে নিয়েও কুৎসিত কিছু মাথায় এসেছিল... এই তথ্য কাছের মানুষকে বলা সহজ কাজ না...
সব কিছু খুলে বলার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন অপরিচিত মানুষের কাছে যেতে হবে... যেখানে ভয় , দ্বিধা এবং লজ্জা কাজ করবে না...
***উপরের কথা গুলো বলার কারণ - এক ধরনের মানুষ আছে যারা তাদের সঞ্চিত কথা কাউকে বলতে না পারার রোগে ভোগে...
এই রোগ খুব মারাত্মক রোগ। আপনি যদি কাউক জিজ্ঞাসা করেন ' এমন কেউ কী আছে ; যাকে তুমি প্রতিটি কথা বলতে পারো ?' সে আপনাকে হয়ত জবাব দিবে... ' হ্যাঁ পারি' ... -সব কিছু ? তুমি যে বাসে ঘুমানোর ভঙ্গি করে পাশের সীটের মেয়েটির কোলে ঢুলে যেতে ... এই কথাটা বলেছিলে ? তাহলে হয়ত অপর পাশ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না.
আমাদের আশে পাশের হাস্যজ্বল মানুষ গুলো ভয়াবহ সব অসুখ নিয়ে হাসে... অফিস করে... মোভি দেখে.. সব ঠিক আছে... শুধু মাসে একবার ঘুমের ভেতরে পেটের নারিভূরি মোচর দিয়ে কান্না আসে...
....প্রায়ই মানুষকে বলতে শুনবেন - লাইফ খুব পানসে... ভাল লাগতেছে না... এই কথা গুলা তারা একদিনে শিখে না... প্রতিদিন বলতে বলতে এক সময় এরাই বলা শুরু করে ' বেঁচে থেকে কী হবে? '
কোন একটা কনসার্টে গায়ক যদি সারা রাত একি গান গায় কেমন জঘন্য ব্যাপার হত বলুনতো !! গান যত সুন্দরই হোক গানের ভেরিয়েশনের দরকার আছে...লিরিকের ভেরিয়েশনের দরকার আছে...
জীবনের কেন না !! ?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০২