আপনারা হয়ত বিভিন্নভাবে গল্পটি পড়ে কিংবা শুনে থাকবেন। আমি গল্পটি পড়েছিলাম Bertolt Brecht এর বই এ। গল্পটি খুব সংেেপ বলতে গেলে এরকম-
৩০ বছর ধরে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আউসবুর্গ নামক এক শহরে চিলিং নামে প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মাবলম্বী এক মুচী পরিবার বাস করছিল। একদিন হঠাৎ করে ক্যাথলিক রাজসৈন্যরা শহরে ঢুকে শুরু করে লুটতরাজ, অগ্নি সংযোগ......। বাড়ীর ভেতর ঢুকে হত্যা করে চিলিংকে। প্রাণ ভয়ে বাড়ীর খিড়কী দুয়ার দিয়ে পালিয়ে যায় মিসেস চিলিং। অথচ তার একমাত্র ফুটফুটে বাচ্চাটি দোলনায় শায়িত। তাকে তুলে নেয়ার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করেনি। বাড়ীর সবকিছু ভাঙচুর, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হলেও কি করে জানি গৃহপরিচীকা অ্যানি ও ছোট্ট শিশুটি দস্যুদের চু আড়ালে অুন্ন রয়ে যায়। অ্যানি নিজেকে জিবীত অবস্থাায় দেখে যখন বাইরে তাকায়, দেখে মনিবের লাশ পড়ে আছে উঠানে আর বারান্দায় দোল খাচ্ছে তার-ই অবুঝ সন্তান। তার এখন কি করা উচিৎ কিছুই বুঝে উঠতে পারে না সে। এই প্রোটেস্ট্যান্ট শিশুটিকে নিয়ে বাইরে বের হওয়া আর মৃত্যুর মুখে দুইটি জীবনকে ঠেলে দেওয়া একই কথা। ভাবে শিশুটি এখানেই রেখে বরং তার মাকে খুঁজে বের করা যায় কি না কিংবা এই সংবাদটি তার কাছে পৌঁছানো যায় কি না। এই শহরে মহিলার এ ক্যাথলিাক চাচা থাকে এরং সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী ভেবে অ্যানি তার দুলাভাইকে নিয়ে সেখানে যায় এবং বিশদভাবে ঘটনা নর্ণনা করে এবং ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু লোকটি সাফ জানিয়ে দেয় তার ভাতিজি এখানে নেই এবং ঐ শিশুর প্রতিও তাদের কোন আগ্রহ নেই। হতাশ চোখে অ্যানি যখন উপরের দিকে তাকায় দেখতে পায় এ কটি মুখ জানলা থেকে সরে গেলো , যে এতণ তাদের কথা-ই শুনছিল এবং নিশ্চিতভাবেই সে ঐ শিশুটির মা। অ্যানি বাচ্চাটিকে নেওয়ার জন্য ঐ বাড়ীতে আবার ফিরতে চাইলে তার দুলাভাই তাকে নিষেধ করে বলে , যার সন্তান তারই যখন আগ্রহ নাই তখন তোর এই মৃত্যুকে সাথে করে নিয়ে বেড়নার কোন মানে হয় না। কিন্তু কারো কোন কথা না শুনে সে অবুঝ শিশুটি কে বুকে নিয়ে শহর ছেড়ে পাড়ি জমায় এক গ্রামে যেখানে তার ভাই ঘর জামায় থাকে এবং তার বউয়ের কাছে তার কোন মতামতেরই গুরুত্ব নাই। যায় হোক সেখানে সে শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে আশ্রয় নেয় এবং তার ভাই কে খুলে বলে সব কথা। ভায়ের প্রচেষ্টায় এবং প্রতিদিন তার সমস্ত কাজ করে দেওয়ার শর্তে সেখানে কয়েকদিন সেখানে থাকার সুযোগ পায় অ্যানি। কিন্তু সমস্যা বাধে এলাকার লোকে কথা কানা-কানি নিয়ে। সত্যিকার অথের্ শিশুটির পিতা কে? অ্যানির ভাবি সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছে তার বাবাকে খবর পাঠাতে। এই বিপদসংকুল অবস্থায় দূরগ্রামে এক হতদরিদ্র শয্যাশয়ী রুগীর সাথে বিয়ের প্র¯তাব নিয়ে আসে অ্যানির ভাই যে ছেলেটি কিনা এক আধ সপ্তাহের মাঝেই মারা যেতে পারে।সবকিছু জেনে শুনে শুধু শিশুটির পিতৃপরিচয় দেওয়ার শর্তে বিয়েতে রাজি হয় অ্যানি এবং বিয়ে শেষে লোকটির মৃত্যুর জন্য অপোয় থাকে । কিন্ত কাহিনী উল্টো দিকে ঘুরে যায়। লোকটি হঠাৎ করেই সুস্থ্য হতে থাকে এবং অ্যানিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করে যেখানে অ্যানির কিছুই করার থাকে না। লোকটির সাথে যাওয়ার পরেই ঘটে আর এক বিপত্তি। শিশুটি যখন রাস্তার ধারে খেলছিল তখন এক ঘোড়া সারওয়ার এসে হঠাৎ করেই তুলে নিয়ে যায় নিয়ে যায় যে কিনা শিশুটির সত্যিকার মায়ের লোক। যে শিশুর জন্য অ্যানির জীবনবাজী সংগ্রাম, যাকে রা করতে আজ সে শহরছাড়া, ভাবীর অমানবিক পরিশ্রম সহ্য, কুৎসিত মৃত্যশয্যার রুগীকে বিয়ে করা সেই শিশুকে কিনা হারাতে হচ্ছে তাকে- পাগলপ্রায় হয়ে সন্তানের পিছু পিছু ছুটে সে। কাজীর কাছে বিচার দেয়। এক সন্তানের দাবী দুই জন মায়ের। কাজী বিব্রত। চিলিং এর বউয়ের দাবী এ সন্তান তার এবং ঘটনাক্রমে অ্যানি তাকে চুরি করে নিয়ে গেছে। অ্যানির দাবী এ সন্তান তার এবং একে ছেড়ে দিলেই এ শিশু তার কাছে ফিরে আসবে। অনেক যুক্তি তর্কের পর কাজী বিচণতার সাথে মাটিতে একটি বৃত্ত আঁকলেন। শিশুটিকে বৃত্তের মাঝে রেখে দুই মাকে শিশুটির দুই হাত ধরতে বললেন। এরপর বললেন , আমি বলামাত্র শিশুটিকে হাত ধরে টেনে নিজের দিকে বৃত্তের বাইরে যে নিতে পারবে সেই এই শিশুর আসল মা। প্রতিযোগীতা শুরু হলে চিলিং এর বউ একটানে শিশুটিকে তারদিকে নিয়ে নেয় আর অ্যানি আলতো করে ধরেই ছেড়ে দেয় শিশুটির হাত; এই ভেবে যে টানাটানিতে হয়ত ভেঙ্গে যাবে তার আদরের ধনের হাত। বিচারক রায় দেন এই শিশুটি অ্যানির অধিকারেই যাবে, অ্যানিই এর সত্যিকারের মা হওায়ার যোগ্য।
আমাদের দেশটাকে নিয়ে দুইটি দল টানাটানি করছে। দেশ নামক শিশুটির হাত ছিঁড়ে যাচেছ কিন্তু টানাটানি থামছে না। বলতে পারেন এই দেশের মা হওয়ার যোগ্যতা কার? ঐ কাজী বেঁচে থাকলে তিনি এর কি রায় দিতেন?
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।