somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অখাদ্য কবিতার জ্বালায় ব্লগে আর আসতে ইচ্ছে করেনা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে কতদিন হয়েছে জানিনা, তবে অনেক বছরতো হবেই। রেজিষ্ট্রেশনের তিন বছর লটকাইয়া থাকার পর কোন এক মডুর দয়ায় ‘মেজর জেনারেল’ হইছিলাম। সকালে বা সন্ধ্যায় দু’একবার না ঢুঁ দিলে মন ভরতনা। রাতে শোয়ার সময় মনে হত, আয় হায় আইজতো মনে হয় ফিনিশিংটা দেইনাই। আবার দুম করে উঠে টিএন্ডটির মডেমটা ক্যাঁত ক্যাঁত করে কানেকশন দিয়ে কিছু একটা পড়া শুরু করছি। এই যা কখন যেন সকালই হয়ে গেল। বউয়ের বকুনির ভয়ে দুরুদুরু বুকে আস্তে করে মশারিটা তুলে ঢুকে পড়তাম।

এরপর ব্যস্ততা বাড়লো ঠিকই কিন্তু ব্লগে আসা কোন কালেই ছাড়িনি, লগইন না করেই একবার হলেও আসি। তবে ভয়াবহ বিরক্তির শুরু বছর দু’য়েক আগে থেকে। কেউ যদি প্রশ্ন করেন কেন তাহলে সোজাসাপ্টা জবাব ‘কবিতা’। ‘কবিতা’? সেটা আবার কিভাবে। তাহলে উগড়েই দেই: ঢুকলেই শুধু কবিতা আর কবিতা, লম্বা লম্বা কবিতা। যা মন চায় তাই লিখে রেখে ‘কবিতা’। প্রথম পাতাকে একদম যাচ্ছেতাই বানিয়ে রাখে এই কবিগুলা। কি যে ভাবে কে জানে। আগেও কি লিখতনা? হ্যা লিখতো কিন্তু এরকম না। তারপরও আসতাম প্রচুর ভ্রমণ কাহিনী, বিষয়ভিত্তিক লেখা, জানা-অজানার কাহিনী, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, আসিফ মহিউদ্দিনের সাথে মন্তব্যের মারামারি, কইষ্যা প্লাস, ধইন্যা পাতা ইত্যাদি ইত্যাদির লোভে।

আজ শুধু কবিতা কবিতা কবিতা। কি সব বালছাল লিখে, মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। মাঝখানে আবার কয়েকদিন গেলো শুধু অশ্লীল ইঙ্গিতের কবিতা, নারীর দেহ নিয়ে কবিতা যা ইদানীং একটু কম দেখি। তারপরো প্রথম পাতাটার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে এরা। যাই করুক না কেন এখনো মাঝরাতে বউ ঘুমিয়ে গেলে মোবাইল থেকে লগইন না করেই একবার হলেও আসি। কিন্তু আর সহ্য হচ্ছেনা। তাই আজ পিসিতেই বসলাম। আল্লাহর ওয়াস্তে এসব বাদ দেন। আর ভালো লাগেনা। জানি আমার এ ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের কর্ণকূহরে পৌছাবেনা। তবুও বকবক করে গেলাম, বিড়বিড়ও ধরতে পারেন। যার যা ইচ্ছা হয় গালি দেন, তবুও যা সহ্য করতে পারছিনা তা বলে গেলাম।

এতো যন্ত্রণার পরও হয়তো চুপিসারেই প্রতিদিন একবার হলেও আসবো প্রিয় এ পেজে। ভালো থাকুন সবাই শুধু অখাদ্য কবিদের কলমগুলো ভেঙ্গে যাক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৮
১৫টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×