বাংলাদেশে গ্যাস বা কয়লার মতো খনিজ সম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধ করাসহ সাতটি দাবি নিয়ে রাজধানীর মুক্তাঙ্গন থেকে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই লং মার্চ শুরু হয়েছে।জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবি আদায়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেছে এসব দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।কমিটির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ লংমার্চ শুরুর ঘোষণা দেন।উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ, বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাসক্ষেত্র ও কয়লা খনি ইজারা না দেয়া,দেশের জাতীয় সম্পদ রফতানি না করে দেশের কাজে ব্যবহার এবং গ্যাস,বিদ্যুত্ সঙ্কট নিরসনসহ ৭ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি।
পথে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করা হবে।লংমার্চে তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতাকর্মী ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি,জাতীয় সাম্যবাদী দল,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাসদসহ ৮টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।লংমার্চের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাবেক বিচারপতি গোলাম রব্বানী।লংমার্চটি আজ টঙ্গী ও গাজীপুরে সমাবেশ করেছে।সেখানে রাত যাপনের পর সকালে আবারও যাত্রা শুরু করবে।পথে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে সমাবেশ করবে।২৬ অক্টোবর বগুড়ায় সমাবেশ করে ২৭ অক্টোবর গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অবস্থান করবে।সেখানে সমাবেশের পর লংমার্চ ২৮ অক্টোবর রংপুরে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।রংপুর থেকে সৈয়দপুর হয়ে পরদিন দিনাজপুর শহরে সমাবেশ করবে জাতীয় কমিটি।এভাবে লংমার্চের শেষদিন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেলা ২টায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ৭ দিনব্যাপী এ কর্মসূচির শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বাধীনতা কি জিনিস?কেবলই কি একটা নির্দিষ্ট ভুখন্ড? একটা মানচিত্র?একটা রাষ্ট্র?একটা সরকার? সার্বভৌমত্ব? স্বাধীনতা আসলে কি?একাত্তরে যারা যুদ্ধে গিয়েছিলো,কেনো গিয়েছিলো?কিসের টানে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলো? জীবন দিয়ে ছিলো?অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধাই কি প্রশিক্ষিত ছিলো?তাদের কি ক্ষমতার লোভ ছিলো?কেনো তারা যুদ্ধে গিয়েছিলো?মা-বোনেরা কেনো তাদের জীবন ও ইজ্জত দিয়েছিলো? স্বাধীনতা আসলে কি?আমরা কি স্বাধীনতা পেয়েছি?আমরা কি ধরে রাখতে পেরেছি?
আর কত সয়ে যাবে বাঙ্গালী, আর কত!!! আর কিছুদিন পরে নিজ দেশে পরবাসি হয়ে থাকতে হয় কিনা কে জানে!!! তাই বলি, জাগো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হও,আর কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আওয়াজ তোলে,তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাথে সংহতি জানাই।এতেও যদি এই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়।
বিঃ দ্রঃ তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে,বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাসক্ষেত্র ও কয়লা খনি ইজারা না দেয়া,দেশের জাতীয় সম্পদ রফতানি না করে দেশের কাজে ব্যবহার এবং গ্যাস,বিদ্যুত্ সঙ্কট নিরসন,রপ্তানিমুখী মডেল পিএসসি-২০০৮ বাতিল, কয়লা উত্তোলনের উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭