somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখন অব্দি বুঝে উঠতে পারছি না সত্যিই কী ঘটেছিলো, ১৫ মিনিটে!!!

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন অব্দি বুঝে উঠতে পারছি না সত্যিই কী ঘটেছিলো, ১৫ মিনিটে!!!
==========================================
বহুকাল ধরে এই একটি ছবি মনে মনে আঁকছি। আর সেই ছবিটির সাথে প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে মেলাতে চেষ্টা করেছি। কখনো সেই ছবিটির সাথে কারো কিছু মিলে যাওয়াতে আর কখনো কোন কিছুই কেনো মিলছে না সেই ভাবনাতেই অনেক সময় কেটে যেতো। কখনো কখনো একি নাটক বার বার দেখতাম। একি ছবির কিছু মুহুর্ত বার বার টেনে দেখতাম। একি বইয়ের কিছু লাইন মনে মনে সারা দিন রাত বির বির করে বলতাম। একটু অবসর সময় একাকীত্ব বা নিরবতায় আমি সেই ছবিটির মাঝে হারিয়ে যেতাম। কখনো কিডিদের চিমটি, কখনো বুয়ার বেসুরা গলায় ভাইজান, কখনো পাশের ছাদ থেকে দু'একটা ছোট পাথরের টুকরোর আঘাত আর কখনো কখনো মামা বাস এখানে থামবে নামেন... এই শুনে আবার নিজের মাঝে ফিরে আসতাম। এই অনিচ্ছাকৃত সময় অসময়ে হারিয়ে যাওয়াটা যারা জানতো তারা খুব কিছু একটা বলতো না। আর যারা এই বিষয়টি জানতো না, তারা বরাবরই একটু অন্য রকম আচরণ করতো। আর বর্তমান সময়ে করাটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছি। এই বর্তমান সময়টাকেই খুব অপছন্দ করি। মনে মনে প্রায়ই বিরক্ত হতাম। চোখ থাকতে কেনো কেউ নিজ চোখে দেখতে চায় না। কান থাকতেও কোন অন্যের কান শুনা কথা বলে। দুই হাত থাকতেও কেনো মিছেই অন্য একটি হাত যখন তখন দেখায়। এতো বিরক্তির মাঝে মনে মনে আঁকা ছবিটিই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। আর মাঝে মাঝে মনে হতো বাস্তবের এতো জটিল সমীকরণে না জড়িয়ে সেই ছবির ভাবনায় ডুবে থাকাটাই ভালো। যখন তখন এই ছবির কত কিছু পাল্টাচ্ছি। যদি বাস্তবে কাউকে নিয়ে এমন করতে যাই.. উফ! ভাবতেই তো ভয় লাগে। কিন্তু যার ছবি আঁকছি সে তো খুব জেদী হবে। এটা যে আমার কেমন চয়েজ নিজেই বুঝি না। কিন্তু তাও ঘুরে ফিরে এই রকম ছবিটাই দেখি। ধুর মাথাটাই গুলিয়ে গেলো...
>ধ্যাত...
এই বলে শুধু মাথাটা ঝুকালাম।
ঠিক ওই মুহুর্তে, পাশের কারো কথার আওয়াজ কানে আসলো

>ধ্যাত মানে। এতোক্ষণ ধরে বলছি। রুমে ঢুকেই তো ছাতাটা জানালা দিয়ে দিয়ে দিবো...
মুহুর্তের মধ্যে নিজে আবিষ্কার করলাম। আমি আমার বাসার গেইটের সামনে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি...
দশটা বেজে দশ মিনিট
আমি টানা দশ মিনিট ধরে এক জায়গায় দাঁড়ানো।
বাইরে জমিদারি বৃষ্টি দেখতে দেখতে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম।

>আবার ঘড়িতে কী দেখছেন! দেখি, ছাতা ছাড়েন। তখন থেকেই তো দেখছি মুর্তির মতো এখানে দাঁড়িয়ে আছেন। যত্ত সব। আমি জানালা দিয়ে ছাতা দিয়ে দিচ্ছি।

আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কী বলবো। মনে মনে ভাবলাম কিডিদের কাছে আমার মান ইজ্জ্বতটা বোধ হয় ডোবাবে। জানালা দিয়ে তো শুধু তানি ই ছাতা দেয় আর নেয়। অবশ্যই তানির কেউ হবে। কিন্তু এর আগে তো কখনো দেখছি বলে মনে হয় না।
আমি ঠিক একি জায়গায় দাঁড়িয়েই কথাগুলো ভাবছি। আমার সামন দিয়ে বা পেছন দিয়ে কে আসলো গেলো কিছুই মনে করতে পারছি না। হঠাৎ মনে হলো কিডি আমাকে ডাকছে। কিন্তু কোত্থেকে যে ডাকছে তা মনে করতে পারছি না।
হঠাৎ ব্যাথায় উফ করে উঠলাম...কারো চিমটি মনে হলো
এবার দেখতে পাচ্ছি, ছাতা হাতে ইরা আমাকে বলছেঃ
ওই পাজি আঙ্কলে, এতো বার ডাকছি শুনছো না, ধরো তোমার ছাতা।

কিন্তু ছাতাটা কিডিই আমার কাছ থেকে নিয়েছিলো না কি অন্য কেউ নিয়েছিলো। তাও বুঝে উঠতে পারছি না। কিডির কাছে জানতে চাওয়াটও সমস্যা। আমি ই শিওর না। আর ছাতা তো দিলো ইরা। কিছুই তো মিলছে না!!!
আবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মাত্র পাঁচ মিনিট হলো!
আমি ইরাকে বললামঃ ছাতাটা দিতে এতো সময় লাগে!
ইরাঃ আমি কী রোবট! এক মিনিট ও হয় নি, আর বলো এতো সময়, পাজি আঙ্কেল!

তারপর ছাতা নিয়ে গেইটের বাইরে বের হলাম। বাইরে যাবার উদ্দেশ্যে।
এখন অব্দি বুঝে উঠতে পারছি না সত্যিই কী ঘটেছিলো, ১৫ মিনিটে!!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×