স্কুলের ম্যামের বারোটা বাজালো কিডি
===============================
কিডির স্কুলের ম্যামের হাতের লেখা তেমন একটা ভালো না।
আর অন্য ভাবে বললে উনি লেখার ব্যাপারে একটু শৈল্পিক।
প্রয়োজন হলে যার মাত্রা নেই তার মাথায়ও মাত্রা দেয়।
আবার কখনো কখনো যার মাথায় মাত্রা আছে তার মাথায় মাত্রা দেয় না।
উনি এটাকে উনার অভ্যাস বা শৈল্পিকতার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
স্কুলের কেউ এ বিষয়ে তেমন কিছু একটা বলে না।
সত্যি বলতে বাচ্চাদের ক্লাস নেয়, তাই কেউ এতো মাথা দেয় না।
সেদিন ম্যাম স্কুলে বোর্ডে লিখলোঃ
" ছাত্র-ছাএীরা তনং প্রশ্নের উওর লিখা শেষ হত্তয়া মাএ খাতা জমা দিবে"।
ম্যাম ইলা কে বললোঃ সবাইকে পড়ে শুনাও তো বোর্ডে কী লিখেছি।
ইলা পুরো বাক্যটা পড়া শেষ করতে না করতেই পুরো ক্লাসে হাসির রুল...
হা হা হা হিহিহি হুহুহ আরো কত রকম আওয়াজ করে সবাই হাসতে শুরু করলো
পাশের ক্লাস রুম থেকেও দু'জন ম্যাম আসলো
কয়েকজন অভিবাবক ও জানালা দিয়ে উকি দিলো
ম্যাম ইলা কে বকা ঝকা শুরু করলোঃ
এত্তো বড় মেয়ে হয়েছে আর একটা বাক্য বানান করে পড়তে পারে না।
ইলা হাউ মাউ করে কেঁদে ক্লাস রুমের বাইরে চলে এলো।
হেড স্যার ইলার কান্না শুনে দৌড়ে আসলো।
হেড স্যার জানে ইলা অনেক বুদ্ধিমতি মেয়ে, সে অত সহজে কাঁদার পাত্র নয়।
ইলাকে সাথে নিয়ে উনি ক্লাস রুমে ঢুকলেন।
ম্যাম তখনো থামেনি, বলেই যাচ্ছে...
হেড স্যার পুরো ঘটনা শুনার পর বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলো।
এবং সত্যিকার অর্থে ঘটনাটা কী ঘটেঠে বুঝতে পারলো
তারপর হেড স্যার ইলা কে সাথে নিয়ে বোর্ডের কাছে গেলো।
উনি মুখে বললো আর ইলা সেই পুরো বাক্যটি আবার লিখলো
"ছাত্র-ছাত্রীরা ৩ নং প্রশ্নের উত্তর লিখা শেষ হওয়া মাত্র খাতা জমা দিবে"
এবার হেড স্যার ম্যামের পুরো বাক্যটি ইলাকে বানান করে পড়তে বললো।
ইলা বানান করে পড়তে শুরু করলোঃ
ছ আকার ছা ত-রফলা ত্র ছাত্র, ছ আকার ছা এ দীর্ঘ ঈ কার র ছাএীর....
আবার পুরো ক্লাসে হাসির রুল পড়লো
কিন্তু এবার অন্য ম্যামরা মৃদু হাসছে আর সেই ম্যাম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে
তারপর হেড স্যার পুরো বাক্যটির "এ" ত্র" "ত" "৩" "ও" "ত্ত" বর্ণগুলো
আলাদা করে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিলো সব বাচ্চাদের।
পরের ঘটনাগুলো থাক, সেই ম্যামের কথাও থাক... :p :p :p
বেচারী না কী এখন আর লিখতে গেলে শৈল্পিকতা খুঁজে না
বাচ্চাদের মতো মুখে বলে আর বানান করে লিখে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৪