somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিউটের ডিব্বার মামার বাড়ি ভ্রমনঃ পর্ব-২

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিউটের ডিব্বার মামার বাড়ি ভ্রমনঃ পর্ব-২
=================================
আমি উনাকে নিয়ে কিছুটা পথ হেঁটে সিএনজিতে উঠলাম। উনাকে পাশে বসালাম।
সিএনজির গতিতে একটু পর পর সামনের দিকে আর পিছনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

উনি আমাকে বললেনঃ কোলে নাও।
আমি বললামঃ কোলে নিবো কেনো ? তুমি না বড় হয়ে গেছো।

উনিঃ ধুর বোকা আঙ্কেল। আমি এতো বড় হই নি তো। দেখো না বার বার পড়ে যাচ্ছি।
আমি কোলে নিলাম। এবার উনি আমাকে একটু পটানোর চেষ্টা করছে।

উনিঃ আঙ্কেল বলো তো, কে তোমাকে বেশি পছন্দ করে?
আমিঃ জানি না। আমি তো বোকা আমাকে আবার কে পছন্দ করবে!

উনি একটা পাপ্পি দিয়ে বললোঃ কে বলছে আমার আঙ্কেল বোকা!
আমি বললামঃ তুমি ই তো বলো।

উনিঃ আমি তো মজা করে বলি। আমি তোমাকে বেশি আদর করি তো তাই বলি
দেখো না আব্বু আমাকে কতো আদর করে তাই তো বেশি বেশি বকে।

আমি বললামঃ এই জন্যই তো তোমাকে হাতির ডিম ডাকি।
উনিঃ না তুমি হাতির ডিম...
আমিঃ না তুমি...
উনিঃ না তুমি তুমি তুমি ... তুমি ইয়া বড় একটা হাতির ডিম। আমি তো ছোট।
তুমি বড় তুমি ইয়া বড় একটা হাতির ডিম.. ;)
সিএনজির মধ্যে আমাদের দু'জনের কিছুক্ষণ মারা মারি চললো।

ড্রাইভার মামা মাঝে মাঝে হাসছে। এক বার বললোঃ
ভাইজান ওটা কী আপনার ভাইয়ের মেয়ে?
আমি বললামঃ না আমার শত্রু...

বেছ আবার শুরু। এবার ডিসুম ডিসুম... অনেকক্ষণ চললো...

সিএনজিতে থেকে নামলাম। সিএনজির ড্রাইভার জানতে চাইলো কিডির কাছে
কোথায় যাচ্ছেন?

উনিঃ মামার বাড়িতে।
আসার সময় সে সিএনজির ড্রাইভার কে টাটা দিলো।

আমি অবাক হলাম। এর আগে ও সে আমার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরেছে।
কিন্তু কোন ড্রাইভার কে কখনো টাটা দেয় নি। কিন্তু আজ দিয়েছে।
মনে মনে ভেবে দেখলাম। ওর ব্রেইন এখনি অনেক কিছু বিচার করতে পারে।
কারন অন্যান্য ড্রাইভার কোন দিন তার কাছে জানতে চায় নি কোথায় যাচ্ছে... বা...

মামার বাসার গেইটের ভেতর ঢুকলাম।
দাড়োয়ান কে সে খুব ভালো করেই চেনে। দাড়ানোয়ান তাকে কোলে নিতে চাইলো
সেও দাড়োয়ানের কোলে উঠে গেলো। আমি মনে মনে ভেবেছিলাম হয় তো না করবে।

মামা মামি সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত। ও মামা মামি কে নানা রকম প্রশ্ন করছে...
আমি ভাবলাম এই ফাঁকে একটু বিড়ি ফুকে আসি। কিন্তু তার ও সুযোগ নাই।

কিডি তার মামাকে বলে দিলো।...
মামা আঙ্কলে কোথায়?
মামঃ বাইরে গিয়েছে বোধ হয়।

কিডিঃ না না, বাইরে যায় নি তো...
মামাঃ তাহলে কোথায় গিয়েছে?

কিডিঃ ছাদে। ছাদে গিয়ে কাগজের আগরবাতি খাচ্ছে...
মামা অনেকটা বেকুব হয়ে গেলো। জিজ্ঞেস করলোঃ
মামনি কাগজের আগরবাতি দেখতে কেমন তুমি দেখেছো?

কিডিঃ হ্যাঁ, দেখেছি তো। তুমি কাগজের আগরবাতি দেখো নি!

মামা আর মামি কিডির কথা শুনে হাসতে হাসতেই শেষ।
হাসি শুনে আমি পাশের রুমের বারান্দা থেকে আসলাম।

এবার কিডি একটু মন খারাপ করেছে। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম
আম্মু কী হয়েছে? মন খারাপ কেনো?

কিডিঃ এমনিতেই। বলো তো তুমি কাগজের আগরবাতি খাও না।
আমি হাসি পেচে রেখে বললামঃ হ্যাঁ খাই তো।

কিডিঃ আমি তো এটাই মামা আর মামিকে বলেছি।
তহালে মামা মামি খিল খিল করে হাসছে কেনো!
আমি কী হাসির কথা বলেছি...

আমরা সবাই হাসি বন্ধ করে ওকে সাথে করে বাগানে গেলাম।
বাগানে ঢুকেই সে টুনটুনি পাতা খুঁজে খুঁজে অস্থির।

মামা বললোঃ আম্মু তুমি কী খুঁজ?
কিডিঃ টুনটুনি পাতা

আমি মামাকে চিমটি কেটে চোখ মারলাম। তারপর মামা বললোঃ
তুমি খুঁজে না পেলে চলে আসো। তোমার আঙ্কেলের কফি খাওয়া হয়ে গেলে
তোমাকে টুনটুনি পাতা খুঁজে বের করে দিবে।

কিডিঃ আঙ্কলে তো কফি খায় না পিকে...
মামাঃ ও আচ্ছা, তোমার আঙ্কলের কফি পিকা শেষ হলে খুঁজে দেবে
তুমি আমাদের সাথে বসে খাও...

কিডিঃ না আমি খাবো না।.. টুনটুনি পাতা না নিয়ে আসবো না
আমিঃ ঠিক আছে তুমি টুনটুনি পাতা খুঁজতে থাকো। আমি আসছি...

মামাকে কানে কানে বললাম। ও থানকুনি পাতাকে টুনটুনি পাতা বলে।

কিডিঃ এই, কী কানাকানি করছো....
আমিঃ কিছু না আম্মু...

কিডিঃ না, বলো আমাকে....
বেছ যুদ্ধ শুরু.............................................. (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×