কী বোর্ডের তিনটি বাটন সবার উপর কিডি সত্য তাহার উপর :p
--------------------------------------------------------------------
কিডিঃ আঙ্কেল রিপন আঙ্কেল না কী তোমাকে কম্পিউটার চালানো শিখিয়েছে :o
আমিঃ কেনো আম্মু?
কিডিঃ বলো না?
আমিঃ না আগে বলো কেন?
কিডিঃ আমি তো সেদিন ও দেখলাম রিপন আঙ্কেল তোমার পাশে বসে খালি কী কী করে?
আমিঃ না বুঝলে তো কী কী করবেই
কিডি এই বিষয়টা জানে কারো কম্পিউারে কোন সমস্যা থাকলে প্রথমে আমাকে খুঁজে।
কারন এ পর্যন্ত সে যে ক'জনের ল্যাপটপ বা ডেস্কপটের বারোটা বাজিয়েছে। তার সবগুলো সে আমাকে ডেকে নিয়ে উদ্ধার হয়েছে।
রিপন নতুন কম্পিউটার কিনেছে এবং একটু বেশেই চাপা মারছিলো।
কিন্তু রিপনের এই চাপাবাজি যে কিডির মাইন্ডে লাগছে আমিও কিন্তু ততোটা বুঝিনি।
কিডি আমাকে নিয়ে রিপনদের বাসায় গেলো।
কিডিঃ রিপন আঙ্কেল তোমার নতুন কম্পিউটারে আমাকে কার্টুন দেখাবা না?
রিপনঃ হ্যাঁ, দেখাবো তো। আসো আমি পিসি তে কার্টুন ছেড়ে দিচ্ছি...
আমি আর রিপন কথা বলছি পাশের রুমে। ওদিকে কিডি কিন্তু তার অপারেশন ও শেষ করেছে
কফি পিকার পর আমি কিডিকে সাথে নিয়ে রিপনদের বাসা থেকে বের হলাম।
কিডি আমাকে কানে কানে বললোঃ
শুনো আঙ্কেল আমি কার্টুন দেখার পর রিপন আ্ঙ্কেলের কম্পিউটার লাইজু আন্টির ল্যাপটপের মতো :p করে দিয়ে আসছি।
আমি তো পুরাই থ বলে কী!
আমিঃ কোন এমন করলে?
কিডিঃ আমি দেখবো লাইজু আন্টির মতো রিপন আঙ্কেল কী করে
আমিঃ এটা কী ঠিক হলো, আম্মু ?
কিডিঃ একশ বার ঠিক, হাজার বার ঠিক কোটি কোটি বার ঠিক, তুমি চুপ থাকো
আমিঃ তুমি কিন্তু খুব পাজি হয়ে যাচ্ছো দিন দিন
কিডিঃ আর তুমি দিন দিন বোকা হয়ে যাচ্ছো চলো আইসক্রিম খাবো
কিডিকে নিয়ে আমি বাইরে। আর ওদিকে রিপনের বাসায় তো যা তা অবস্থা। কারন কিডি রিপনের ডেস্কপটে কার্টুন দেখার পর...
ctrl+alt ধরে এ্যারোতে চাপ দিয়েছে :p হাহাহাহাহা
মিনিট তিনেক পর রিপনের ফোন। কিডি যখন কথা শুনে বুঝতে পারলো রিপন ফোন দিয়েছে। ওতো হাসতে হাসতে শেষ রিপনও কিডির হাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছে। কিডি আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে
কিডিঃ রিপন আঙ্কেল কী হইছে!
রিপনঃ পাজি মেয়ে,আমার পিছি নষ্ট করে রেখে গেছো।
কিডিঃ ধুর বোকা আঙ্কেল ওটা কিছুই হয় নি
রিপনঃ পাজি মেয়ে দাও তোমার আঙ্কেল কে দাও...
আমিঃ রিপন কিছু হয় নি। আমি বাসায় ফিরে দেখে দেবো
কিডিঃ না তুমি ওদের বাসায় যাবে না। তুমি গেলে আমি তোমার সাথে আড়ি দেবো
আমিঃ এটা কেমন কথা
কিডিঃ এটাই কথা। আমি যাবো গিয়ে ম্যাজিক দেখাবো
আমিঃ ওরে পাজি এই বুঝি অবস্থা না
আমি আর কিডি বাসায় ফিরলাম। এবং আমি অফিসে চলে গেলাম। এদিকে কিডির নামে বাসায় বিচার গেলো। কিডি ওর আম্মু কে আগেই সব খুলে বলেছিলো। তাই কিডির আম্মুও বিষয়টা নিয়ে খুব একটা বিচলিত ছিলো না। আর এটা ও মাঝে মাঝেই করে। আবার নিজেই ঠিক করতে পারে। তার আঙ্কেলের মত সেও দিন দিন পন্ডিত হয়ে যাচ্ছে।
তারপর কিডি আর তার আম্মু গেলো রিপনদের বাসায়।
কিডির আম্মুঃ রিপন তুমি ওর আঙ্কলে কে নিয়ে কী না কী বলেছো? তাই ও এমন করেছে? জানো না ও ওর আঙ্কেল কে নিয়ে কিছু উল্টা পাল্টা বললে। ও ও উল্টা পাল্টা করে। তুমি না কী বলেছো তুমি ওর আঙ্কেল কে কম্পিউটার চালানো শিখিয়েছো এইগুলো বলে তুমিও তো ওর মাথা গরম করেছো। তোমার পিসির কিছুই হয় নি...
রিপন চুপচাপ কথাগুলো শুনছিলো। রিপনের বাসার সবাই ও চুপ
কিডির আম্মুঃ যাও আম্মু আগের মতো করে দিয়ে আসো।
কিডিঃ না দিবো না =D
কিডির আম্মুঃ যাও বলছি। মারবো কিন্তু
কিডিঃ না, তাহলে আমাকে আইসক্রিম দাও
রিপনের আম্মুঃ আমি দিচ্ছি আম্মু। তুমি ঠিক করে দিয়ে আসো
কিডিঃ আ্ঙ্কেল কে পিসি অন করে দিয়ে চলে আসতে বলো আমি করে দিচ্ছি।
পিসি অন করে দিয়ে আসার পর কিডি শুধু কী বোর্ডের তিনটি বাটন চাপলো।
মিনটের মধ্যে সব ঠিক
কিডিঃ রিপন আঙ্কেল আমি তোমাকে কম্পিউটার চালানো শেখাবো
তারপর বাকীটা ইতিহাস.... সবার উপর কিডি ♥
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৪