জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন “নৌকায় (আওয়ামী লীগ) তো আমিও ছিলাম। ড. কামাল নৌকা থেকে নেমেছেন, সেই নৌকায় আমিও চরেছি। বেকুব না হলে করে এরকম।” তার এই উপলব্ধি হতে নাকি বেশি সময় লাগেনি। তবু বেকুবি চালিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? কিছু পাওয়ার আশায়? যদি কিছু হয়? নাকি তার আশা ছিল আওয়ামী লীগ পুরো দল তার মনের মত হয়ে উঠবে, সেই আশায় বসে ছিলেন। আমাদের দেশের মেয়েরা যদি স্বামীর ঘর করতে না চায় অথচ স্বামীর কোনও দোষ খুঁজে না পায়, তখন এরা বলে স্বামীর ইয়ে বলশালী নয়! মাহমুদুর রহমান মান্নার কথা শুনে তেমনি মনে হল। তার এই বেকুবি কেবল আওয়ামী লীগে যোগ দেয়াই না সারা জীবনটাই বেকুবিতে পরিপূর্ণ!
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের বিরোধী হয়ে জন্ম নেওয়া জাসদে ছিলেন মান্না। জাসদ ভাঙার পর বাসদে যোগ দেন তিনি। নব্বইয়ের পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন মান্না, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকও হন তিনি। কিছু দিন পর পর মনে হয় বেকুবি করে ফেলেছেন তাই দল বদল করেন। একজন জীবনে কতবার বেকুবি করে? জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের পদ হারান মান্না। তারপর গড়ে তোলেন নাগরিক ঐক্য। তার টেলিফোন সংলাপ যেটি ভাইরাল হয়েছিল তাতে তিনি দু-একটি লাশ ফেলার কথা বলছিলেন, সেটিও যে বেকুবি ছিল তা কি স্বীকার করবেন গণতন্ত্রের সবকদাতা জনাব মান্না!
এরা আর কত ভণ্ডামি করবে? এরা কি জনগণকে বেকুব মনে করে? নানা ছুতোয় বেকুবি (দল থেকে বেরিয়ে) করবে আর সাংবাদিক বেষ্টিত হয়ে গলা ফুলিয়ে নির্লজ্জের মত বড় বড় কথা বলবে! ছোট বেলায় রেডিওতে শোনা রাজা কনডমের বিজ্ঞাপনের মত “ছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান।” মনে পড়ছে এসব কথা শুনে। এমন কী স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ খেলেন মান্না সাহেব, যে তিনি ভবিষ্যতে আর বেকুবি করবেন না? কেন আমরা তার ওপর সেই ভরসা রাখতে পারি, তার নিশ্চয়তা কি পেতে পারি? দুই দিন পর পর ডিগবাজি দেবেন আর একটা করে তত্ত্ব নিয়ে আসবেন। হঠাৎ কী এমন ঘটল, কী করে খুব বুদ্ধিমান হয়ে উঠলেন, সেটা একটু খোলাসা করা দরকার জনাব মান্না!
আমারা আপনাদের বেকুবি দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দয়া করে এবার আপনার বিদায় হোন।
ছবিঃ বিডি নিউজ ২৪ ডট কম