দ্য লস্ট ট্রেজার অফ এল ডে রাডো-- অনেকেই হয়ত এই খেলাটা পিসি তে খেলেছেন ।একবারও কি ভেবেছেন এর সত্যতা সম্পর্কে? হ্যা এই স্বর্নে মোড়া শহর টা হাড়িয়ে গেছে দক্ষিন আমেরিকার কোন এক গহীন জন্গলে।ইনকা সভ্যতার এই এলডেরাডো র অধিবাসী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজেদের স্বর্নের গুড়ো দিয়ে মুড়ে ফেলত।এই শহরের নাম ছিল পেতিতি।স্প্যানিসদের সাথে ১৫০০ শতাব্দী তে পেরূর ইনকান দের ৪০ বছরের ভয়াবহ যুদ্ধে ইনকা দের পরাজয় হয় ।কিন্তু স্প্যানিস রা পেতিতি দখল করে কোন সোনার সন্ধান পায়নি।এ পর্যন্ত এ স্বর্নশহরের কোন খোজ পাওয়া যায়নি।কিন্তু ২০০৯ সালে স্যাটেলাইটের সাহায্যে দেখা যায় যে ব্রাজিলের এই গহীন জন্গলে কোন বিশাল এলাকা অনাবিষ্কৃত আছে।গুগল আর্থের এই তথ্যে ভুগোলবিদরা নড়েচড়ে বসছেন ।শিঘ্রই শুরু হবে অভিযান।
গুপ্তধন-হারানো শহর ও পেতিতির স্বর্ন।
মুল্য-১০০০০০০০০০০ ডলার।
হারিয়েছে- ১৫৭২ সালে
বর্তমান অবস্হান- দ্রাঘিমাংশ-৬৭ডিগ্রি ১৫'১১.৯৫'' পশ্চিম
অক্ষাংশ -৮ ডিগ্রি ৫০'৬৮.৬৩" দক্ষিন।
সমুদ্রের ফুল (ফ্লার ডি লা মার)- -১৫০২ সালে লিসবনে তৈরি হয় এই ৪০০ টনের এই যুদ্ধ জাহাজটি।এই জাহাজটি মালাক্কা প্রনালীতে ডিউ যুদ্ধের সময় যুদ্ধরত ছিল ।ক্যাপ্টেন আলফানসো ডি এলবিকার্কের নেতৃত্বে এটা তে তৎকালীন রাজ্যভান্ডার সংগ্রহ করা হয়।বলা হয় এটা ছিল পর্তুগিজ নেভাল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রত্নভান্ডার। আরও চারটা জাহাজ দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে এই বিশাল রত্নভান্ডার সমৃদ্ধ জাহাজটি পাল তোলে পর্তুগালের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ২০ নভেম্বর ১৫১১ তে সুমাত্রার কাছে ঝড়ের কবলে এই জাহাজ ও স্বর্নভান্ডারের সলিল সমাধি ঘটে। সঠিক অবস্হান সে সময়ের ম্যাপের অপ্রতুলতার কারনে জানা যায়নি।
গুপ্তধন- ফ্লার ডি লা মার এর স্বর্ন ভান্ডার
মূল্য-২.৬ বিলিয়ন ডলার+৫৪,৪৩১ কেজি সোনা (৪৯০০০ডলার/কেজি)
অবস্হান-সুমাত্রা
সোনায় মোড়ানো ডিম- - পিটার কার্ল ফেবার্জ ও তার ভাই এগাথন ১৮০০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সর্নকার ছিলেন। তাদের অভূতপূর্ব নির্মানশৈলীর জন্য তারা তৎকালীন স্যার আলেকজান্ডার ৩ এর নজরে আসেন ।তিনি তাদের কে দিয়ে তার প্রিয়তমা স্ত্রী মারিয়ার জন্য সোনা এনামেল ,রুবি নীলা জাতীয় রত্ন দিয়ে তৈরী ৫২ টি ডিম বানিয়ে নেন,এগুলো অনেক বছর পর্যন্ত রাজপরিবারেই ছিল।পরবর্তীতে ১৯২০ সালে রাশান বিদ্রোহের পরে এই ডিম ও অন্যান্য রত্ন ভান্ডার ক্রেমলিনে সুরক্ষিত ছিলো।সেখন থেকে কিছু ডিম নিলামে দিয়ে রাজ ভান্ডার চালানো হত।পরবর্তীতএ সেই ডিম গুলোর মধ্যে ৮ টি ডিম খুজে পাওয়া যায়নি।মনে করা হয় রাজপরিবারের রড়্নভান্ডারের কোন প্রহরী ই হয়ত সে ডিম গুলো সরিয়েছে। এই ডিমের শেষ নিলাম হয় ২০০৩ সালে ।একটি ডিমের মূল্য ছিলো-৮.৯ মিলিয়ন ডলার।
গুপ্তধন-সোনার ডিম
হারিয়েছে-১৯১৭-১৯২৯ সালে
মূল্য-৯০-১৫০০০০০০০ডলার/ডিম
অবস্হান-অজানা।
স্ফটিকের ঘর -পার্সিয়ার চার্লোটেনবার্গ এর সুরম্য প্রাসাদে ষ্ফটিক ও সোনায় মোড়ানো এই ঘরটি তৈরী করেন তৎকালীন শ্রেষ্ঠ স্হপতি এনড্রে স্লটার।১৭০১-১৭০৯ এর মধ্যে প্রাসাদে এই ঘরটি নির্মিত হয়।১৫৪০ কেজি স্ফটিক ও সোনা দিয়ে মোড়ানো এই ঘরটি ১৭ মিটার লম্বা ছিল।
১৯৪১ এ জার্মান সৈন্য এই প্রাসাদ দখলের পর এই সুরম্য ঘরটি ২৭ টি ভাগে ভাগ করে বাল্টিক প্রনালীর কাছে কোসিল্টবার্গ প্রাসাদে প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।১৯৪৩ পর্যন্ত এই ঘর টি সে প্রাসাদেই চিল।বলা হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ঘরটি ধ্বংস হয়ে যায়।কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় নাৎসী বাহিনীর দখলকৃত অনেক সম্পত্তির সাথে এ ঘড়টিও জাহাজে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। এই ঘরের মত একটি রেপ্লিকা ২০০৩ সালের ৩১ মে তে রাশিয়াতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুটিন উদ্বোধন করেন।
গুপ্তধন- স্ফটিকের ঘর
মূল্য-১৭০০০০০০০ডলার।
প্রাপ্তিস্হান-জার্মানী/রাশিয়া
হারিয়েছে-১৯৪৭
ওক দ্বীপের লুকানো গুপ্তধন-নোভাস্কটিয়ার দক্ষিন-পূর্বে ১৪০ একরের এই দ্বীপটি তে ক্প্টেন কিড ও তৎকালীন জলদস্যুর লুকানো সম্পদ আছে বলে জানা যায়।প্রায় ৯ মিটার মাটি খুড়ে সেখানে এক পাথর পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল ৪০ ফুট নীচে লুকানো আছে লুকানো ধন ।কিন্তু বলা হয় এটা একটা ফাদ যাতে প্রতিবছরই ৭-১০ জন গুপ্ত ধন সন্ধানী ডুবে মারা যায়। গুপ্তধনের আশায় ৭২ মিটার পর্যন্ত গভীর গর্ত খোড়া হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে
বেইলির কোড- সবচাইতে আকর্ষনীয় কাহিনী বোধকরি এই বেইলি সাহেবের।তিনি ছিলেন ভার্জিনিয়ার এক রহস্যাবৃত এডভেন্চার প্রিয় মানুষ।১৮১৭ সালে বেইলি ৩০ জন যুবক সহ গুপ্তধন খুজতে বের হ্য় সান্তাফি র উদ্দেশ্যে।তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে খুজাখুজি শুরু করে।খুজতে খুজতে তারা সান্তাফি থেকে ২৫০-৩০০ মাইল উত্তরে চলে।ফিরে আসে তারা এক অদ্ভুদ কাহিনী নিয়ে। উত্তরে রাত্রিযাপনের সময় তারা যখন জন্গলে আগুন জালাবার জন্য উপাদান খুজছিল তখন তারা একটি চকমকি পাথর পেয়েছিল।পরবর্তীতে তারা নিশ্চিত হয়েছিল যে এটা ছিল সোনা। এখবর নিয়ে তারা যখন বেইলির কাছে ফেরৎ আসে তখন ৩০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে বেইলি সেই সোনার সন্ধানে যায়।প্রায় ১৮ মাস তারা সোনা সন্ধান করে এবং ভার্জিনিয়ায় নিয়ে এসে লুকিয়ে ফেলে।কিন্তু এত বিশাল সম্পত্তি কোথায় লুকাবে বা কোথায় এ গুপ্তধন সম্পর্কে কোন তথ্য রেখে যাবে তা কোনভাবেই বের করা যাচ্ছিল না ।তৎকালীন মরিস নামের এক সৎ হোটেল ব্যবসায়ী ছিল।বেইলি সেই হোটেলে আস্তানা গাড়লো।ক্রমেই দুজন একে অপরের ভালো বন্ধুতে পরিনত হলো।১৮২০ সালে বেইলি আবার অভিযানে বের হলো এবংপরবর্তীতে ১৮২১ সালে আবার হোটেলে ফিরে এলো।১৮২২ সালে বেইলি মরিসকে একটি লোহার তালাবদ্ধ বাক্স দেয় এবং বলে যে সে ০২ বছর পর এসে সে বাক্সটি নিয়ে যাবে। বছর খানেক পর বেইলি মরিসের কাছে চিঠি লিখে জানায় যে সে একজন লোককে পাঠাবে সেই তালার চাবি দিয়ে যদি তা না হয় তবে যেন মরিস অন্তত ১০ বছর অপেক্ষা করে।কারন সেই লোহার বাক্সে যে সাংকেতিক চিঠি ছিলো তা উদ্ধার করার মন্ত্র কেবল বেইলির ই জানা ছিল।কিন্তু ২৩ বছর কাটলো মরিসের কাছে কেউ আসেনি না বেইলি না তার বার্তাবাহক।সে লোহার বাক্সটি ভেন্গে তার ভিতরে ২টি চিঠি ও তিনটি সাংকেতিক কোড লেখা কাগজ পায়।চিঠিতে বেইলির সে অভিযান ও লুকানো ধনসম্পত্তির বিবরন ছিল।আর কোড করা লেখায় ছিলো সেগুলোর প্রাপ্তিস্হান ও সে সম্পত্তির ওয়ারিশের বিবরন।এরমধ্যে একটি চিঠি ডিকোড করা সম্ভব হয়েছিলো তাতে জানা যায় বেডফোর্ড থেকে ৪ মাইল দূরে বুফোর্ডে ০৬ ফুট মাটির নীচে এক সিন্দুকে ৩৩০৭ পাউন্ড সোনা ও ৫১০০ পাউন্ড রুপা ও সে সময়ের ১৩০০০ ডলার রাখা আছে।এই চিঠি ডিকোড করা হ্য় ১৮৮৫ সালে তার পর থেকে এ পর্যন্ত পরবর্তি কোন চিঠি ডিকোড করা সম্ভব হয়নি ।এমনকি এই কোড গুলো লিফলেট আকারে লিখে বিলি করা হয়েছিলো যদি কেউ ডিকোড করতে পারে এ আশায় কিন্তু এত বছর পরও বেইলির সে কোড ভান্গা সম্ভব হয়নি।আরও জানতে লিখতে পারেন-
দ্য বেইলি সাইফার এসোসিয়েসন
পোস্ট বক্স-৯৭৫
বিভারফলস,পিএ-১৫০১০। আর এই রইল বেইলির সেই কোড যাতে লুকিয়ে আছে লুকানো ধনসম্পদের ঠিকানা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৩৫