আজকের এই দিনে ভারত বাংলাদেশের উপর সামরিক হামলা চালায় দখল করার উদ্দেশ্যে!
আজ ঐতিহ...াসিক বড়াইবাড়ী দিবস | আজও রাষ্ট্রীয় সম্মান পাননি ৩ শহীদ
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ীতে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রাতের আঁধারে বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকা দখল করে নিতে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু তাদের সেই আক্রমণের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছিল তত্কালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও এলাকাবাসী। বিডিআর-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধ ভারতীয় বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। তত্কালীন বিডিআর মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমানের তথ্য অনুযায়ী বড়াইবাড়ী যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর ৪০০'রও বেশি সদস্য নিহত হয়। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে তিনি একাধিকবার এ তথ্য জানিয়েছেন। অপরদিকে বিডিআরের শাহাদাত বরণ করেন ৩ জন। নিজের জীবন দিয়ে ৩ বিডিআর সদস্য দেশের মাটি রক্ষা করেন; কিন্তু তাদের আজও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ বড়াইবাড়ী এলাকার মানুষ। যুদ্ধে বিডিআরের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদ মিয়া, সিপাহী মাহফুজুর রহমান ও সিপাহী আবদুল কাদের শহীদ হন। গুরুতর আহত হন আরও ৬ জন।
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৩টায় ভারতীয় বাহিনী বড়াইবাড়ী দখলের উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। রাতের আঁধারে বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্প দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় তারা। রাতে ধানক্ষেতে পানি দিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন নামের এক যুবককে রাস্তায় পায় ভারতীয় বাহিনী। তার কাছে তারা জানতে চায় বিডিআর ক্যাম্প কোন দিকে। সে ঘটনা বুঝতে পেরে বিডিআর ক্যাম্পের উল্টো দিকে তাদের দেখিয়ে দেয়। ভারতীয় বাহিনী সেদিকে রওনা করলে মিনহাজ উদ্দিন জীবন বাজি রেখে বিডিআর ক্যাম্পে চলে আসে এবং ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করার সংবাদ দেয়। এ সংবাদ পেয়ে প্রস্তুতি নেন বিডিআর ক্যাম্পের সদস্যরা। এরই মধ্যে রাস্তায় টহল বিডিআর পেয়ে গুলি চালায় ভারতীয় বাহিনী। এদিকে প্রস্তুতি নিয়ে ক্যাম্প থেকে পাল্টা গুলি চালায় বিডিআর। শুরু হয় যুদ্ধ। ভারতীয় বিশাল বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অটল থাকে ক্যাম্পের ২৫ বিডিআর। সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে স্থানীয় জনগণও। আক্রমণের সংবাদ পেয়ে জামালপুর থেকে সকাল ১০টায় লে. কর্নেল শায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স সেখানে পৌঁছায়। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র রূপ নেয়। ১৮ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলে এ যুদ্ধ। ভারতীয় বাহিনী মরিয়া হয়েও বিডিআর ক্যাম্প দখলে নিতে পারেনি। এক পর্যায়ে প্রাণে বেঁচে থাকা ২ বিএসএফ সদস্য আত্মসমর্পণ করে। তবে এর আগে প্রথম আক্রমণেই বিডিআর ক্যাম্প দখলে নিতে না পেরে ভারতীয় বাহিনী গ্রামের ৮৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
আমরা চাই বড়াইবাড়ীতে শহীদ হওয়া আমাদের ৩ ভাইকে বীর শ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়া হোক। পোস্টটি শেয়ার করুন...
পুনশ্চ: বড়াই মারির ওই যুদ্ধে ভারতের চৌকস কমান্ড “বেলেক কেট” এর অনেক সদস্য নিহত হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ঘটনার পরের রাতে-ই ভারতয়ি বিমান বাহেনী তাদের সৈনাদের লাশ সরিয়ে নিতে দেখেছে। নিহতের সংখ্যার বিষয়টি ভারত আন্তর্জাতিক গণ-মাধ্যমের নিকট চেপে যায়। ধারনা করা হয়-এর প্রতিশোধের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে বাংলাদেশের চৌকস দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর প্রতিষ্ঠাতার লিখিত বই “র এর কাউ বয়েরা” পড়লে সংস্থাটির এই ধরনের সমরূপী অপরেশনের কথা জানা যায়।
Source: Click This Link
পুনশ্চ: বড়াই মারির ওই যুদ্ধে ভারতের চৌকস কমান্ড “বেলেক কেট” এর অনেক সদস্য নিহত হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ঘটনার পরের রাতে-ই ভারতয়ি বিমান বাহেনী তাদের সৈনাদের লাশ সরিয়ে নিতে দেখেছে। নিহতের সংখ্যার বিষয়টি ভারত আন্তর্জাতিক গণ-মাধ্যমের নিকট চেপে যায়। ধারনা করা হয়-এর প্রতিশোধের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে বাংলাদেশের চৌকস দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর প্রতিষ্ঠাতার লিখিত বই “র এর কাউ বয়েরা” পড়লে সংস্থাটির এই ধরনের সমরূপী অপরেশনের কথা জানা যায়।
Source: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:২৯