somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুহুলআমিন চৌধুরি
স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি সুফল - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না। তারপরেও যে টুকু এগিয়েছে সব টুকু ব্যাক্তি উদ্যোগে - সরকারের ভূ

সকল বামদের বা সকল কমিউনিস্টদের ঐক্যবদ্ধ (এক মঞ্চে বা এক দলে) আন্দোলন ও সফল গণতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতারোহন চা্ই :

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বর্তমান বাংলাদেশে বহু প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতার জন্ম । কিন্তু তারা ১৯৪৭ এ “ভারতবর্ষ বিভাগের” ফলে ভারতে গিয়ে রাজনিতিতে উচ্চ আসনে অধিষ্টিত হয়েছেন। এখনো যারা আমাদের দেশে আছেন, তারা শত সহস্র ভাগে বিভক্ত না হলে, কিংবা ঐক্যবদ্ধ হলে, আমাদের দেশে শাসন ক্ষমতায় যেতে পারে, বলে আমি বিশ্বাস করি ।
বামদের অনৈক্য আর বিভেদাত্বক কথা বার্তা, আচার- আচরণ বর্জন করে সর্ব স্তরের বামদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া অথবা বামদের রাজনিতি থেকে অবসর নেয়া ছাড়া তৃতিয় কোনো পথ আছে বলে আমার মনে হয় না।
কমিউনিস্টদের অনৈক্য শত সহস্র ভাগে বিভক্তি কমিউনিস্টদের ব্যর্থতার কবিতার জন্ম দিয়েছে । কমিউনিস্টদের এক দলে, এক মঞ্চে ঐক্যই এই ব্যর্থতার একমাত্র মুক্তি, একমাত্র যুক্তি ।
. বামদের অনৈক্য আর বিভেদাত্মক কথা বার্তা, আচার- আচরণ বর্জন করে সর্ব স্তরের বামদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া – এক দল বা এক মঞ্চে - অথবা বামদের রাজনিতি থেকে অবসর নেয়া ছাড়া দ্বিতিয় কোনো পথ আছে বলে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় না। কারণ ১৯৩০ খৃস্টাব্দে বা তারও আগে আমাদের এই ভূখন্ডে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অর্জন বা সফলতা আমাদের দেশের কমিউনিস্টদের (বামদের) আছে কি ? বক্তৃতায় বলা যায়, লেখার সময় লেখা যায় – আমারা ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ত দিয়েছি । ১৯৫৪ র যুক্ত ফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচন আমাদের বামদের নেতৃত্বে হয়েছে । ১৯৬২ র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধি আন্দোলনে ডালের পাতিল নিয়ে আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা) প্রথম রাজপথে নেমে সামরিক আ্ইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করি। উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামি লিগের ০৬ দফার পাশাপাশি গণ মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবি আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা)প্রনয়ন করি। এ সব কথা বলে আত্মতৃপ্তি অনুভব করা যেতে পারে । নতুন প্রজন্মকে উজ্জিবিত করা যেতে পারে । দলের নগণ্য সংখ্যক নেতা কর্মিকে ধরে রাখা যেতে পারে । কিন্তু একটু গভীর ভাবে চিন্তু করে দেখুন – বুকে হাত দিয়ে হৃদয়াঙ্গম করার চেষ্টা করুণ - আজ পর্যন্ত কমিউনিস্টরা সরাসরি নিজের নামে বা নিজের মার্কায় ক’জন নেতা সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য , পৌর চেয়ারম্যান (অধুনা মেয়র) বা কমিশনার (অধুনা কাউন্সিলর) হয়েছেন ? সমাজে আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা) কতোটুকু অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছি ? জামাত শিবিরকে আমরা যতোই ঘৃণা করি। তারা যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে – তাতে দেশের সর্বস্থরের মানুষ চাকুরি করে (জামাত শিবিরের সনদ নিয়ে) । তাতে দেশের সর্বস্থরের মানুষ - কেনা কাটি করে (আমার মতো কিছু গোড়া কমিউনিস্ট বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার ব্যতিত)। আমাদের দেশের বাম বা কমিউনিস্টরা এমন উদ্যোগ নিলে চিন ও রাশিয়ার সহায়তা নিতে পারতো বা এখনো পারে । তাদের সে চিন্তাও নেই, উদ্যোগও নেই , অতিতেও ছিলো না । এক কথায় আমি বলতে চােই - চাদা তুলে খাবার (সংসার চালানোর) দিন আর নেই । এখন ডিজিটাল যুগ । বাস্তব কাজ দেখতে চায় দেশ ও জাতি ( দেশবাসি) । এখন ব্ই পড়ে ছেলে মেয়ে যুবক বৃদ্ধরা facebook এ Internet এ অতএব আবারো বলতে চাই -
বাম প্রগতিশিল বা কমিউনিস্টরা ঐক্যবদ্ধ হোন এক মঞ্চে এক দলে । আর স্বাবলম্বি হোন ব্যাক্তি পর্যায়ে ও দলগত অবস্থান থেকে । বৃটিশ আমলের বা পকিস্থান আমলের রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নেই আজ আর। চাদা তুলে খাবার বা চলার (সংসার চালানোর) দিন আর নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×