আমাদের বর্তমান বাংলাদেশে বহু প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতার জন্ম । কিন্তু তারা ১৯৪৭ এ “ভারতবর্ষ বিভাগের” ফলে ভারতে গিয়ে রাজনিতিতে উচ্চ আসনে অধিষ্টিত হয়েছেন। এখনো যারা আমাদের দেশে আছেন, তারা শত সহস্র ভাগে বিভক্ত না হলে, কিংবা ঐক্যবদ্ধ হলে, আমাদের দেশে শাসন ক্ষমতায় যেতে পারে, বলে আমি বিশ্বাস করি ।
বামদের অনৈক্য আর বিভেদাত্বক কথা বার্তা, আচার- আচরণ বর্জন করে সর্ব স্তরের বামদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া অথবা বামদের রাজনিতি থেকে অবসর নেয়া ছাড়া তৃতিয় কোনো পথ আছে বলে আমার মনে হয় না।
কমিউনিস্টদের অনৈক্য শত সহস্র ভাগে বিভক্তি কমিউনিস্টদের ব্যর্থতার কবিতার জন্ম দিয়েছে । কমিউনিস্টদের এক দলে, এক মঞ্চে ঐক্যই এই ব্যর্থতার একমাত্র মুক্তি, একমাত্র যুক্তি ।
. বামদের অনৈক্য আর বিভেদাত্মক কথা বার্তা, আচার- আচরণ বর্জন করে সর্ব স্তরের বামদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া – এক দল বা এক মঞ্চে - অথবা বামদের রাজনিতি থেকে অবসর নেয়া ছাড়া দ্বিতিয় কোনো পথ আছে বলে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় না। কারণ ১৯৩০ খৃস্টাব্দে বা তারও আগে আমাদের এই ভূখন্ডে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অর্জন বা সফলতা আমাদের দেশের কমিউনিস্টদের (বামদের) আছে কি ? বক্তৃতায় বলা যায়, লেখার সময় লেখা যায় – আমারা ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ত দিয়েছি । ১৯৫৪ র যুক্ত ফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচন আমাদের বামদের নেতৃত্বে হয়েছে । ১৯৬২ র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধি আন্দোলনে ডালের পাতিল নিয়ে আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা) প্রথম রাজপথে নেমে সামরিক আ্ইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করি। উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামি লিগের ০৬ দফার পাশাপাশি গণ মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবি আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা)প্রনয়ন করি। এ সব কথা বলে আত্মতৃপ্তি অনুভব করা যেতে পারে । নতুন প্রজন্মকে উজ্জিবিত করা যেতে পারে । দলের নগণ্য সংখ্যক নেতা কর্মিকে ধরে রাখা যেতে পারে । কিন্তু একটু গভীর ভাবে চিন্তু করে দেখুন – বুকে হাত দিয়ে হৃদয়াঙ্গম করার চেষ্টা করুণ - আজ পর্যন্ত কমিউনিস্টরা সরাসরি নিজের নামে বা নিজের মার্কায় ক’জন নেতা সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য , পৌর চেয়ারম্যান (অধুনা মেয়র) বা কমিশনার (অধুনা কাউন্সিলর) হয়েছেন ? সমাজে আমরা (বাম বা মিউনিস্টরা) কতোটুকু অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছি ? জামাত শিবিরকে আমরা যতোই ঘৃণা করি। তারা যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে – তাতে দেশের সর্বস্থরের মানুষ চাকুরি করে (জামাত শিবিরের সনদ নিয়ে) । তাতে দেশের সর্বস্থরের মানুষ - কেনা কাটি করে (আমার মতো কিছু গোড়া কমিউনিস্ট বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার ব্যতিত)। আমাদের দেশের বাম বা কমিউনিস্টরা এমন উদ্যোগ নিলে চিন ও রাশিয়ার সহায়তা নিতে পারতো বা এখনো পারে । তাদের সে চিন্তাও নেই, উদ্যোগও নেই , অতিতেও ছিলো না । এক কথায় আমি বলতে চােই - চাদা তুলে খাবার (সংসার চালানোর) দিন আর নেই । এখন ডিজিটাল যুগ । বাস্তব কাজ দেখতে চায় দেশ ও জাতি ( দেশবাসি) । এখন ব্ই পড়ে ছেলে মেয়ে যুবক বৃদ্ধরা facebook এ Internet এ অতএব আবারো বলতে চাই -
বাম প্রগতিশিল বা কমিউনিস্টরা ঐক্যবদ্ধ হোন এক মঞ্চে এক দলে । আর স্বাবলম্বি হোন ব্যাক্তি পর্যায়ে ও দলগত অবস্থান থেকে । বৃটিশ আমলের বা পকিস্থান আমলের রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নেই আজ আর। চাদা তুলে খাবার বা চলার (সংসার চালানোর) দিন আর নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯