somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ!!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রখর তাপের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে মাথাটি ঝিমঝিম করছিল তার। আকাশে জোড়া নক্ষত্র আজ যেন দ্বিগুন তেজে তাপ বিকিরন করছে। তৃতীয় সূর্যটার তেজ অবশ্য অতটা বেশি নয়। মৃত প্রায় কিনা!

সময় হিসাব করে প্রাণীটি... ... ...
অন্ধকার নামতে এখনও প্রায় আটাশ ঘন্টা বাকি। এটুকু সময়ে সমুদ্রটা কি পেরুনো যাবে ? ঝড়টা যদি তার আগেই শুরু হয়ে যায় ?
নিজেকে মনে মনে সাহস দিলেও কালচে-সবুজ সমুদ্রটির দিকে তাকিয়ে মনটা দমে যায় তার। তবুও পা চারটিতে সর্বোচ্চ গতি তুলে চলতে শুরু করে সমুদ্রের ওপর দিয়ে।

বারবার নিজেকে বোঝায় ... ... ...
সে সৃষ্টির সেরা জীব... ... ...সে মানুষ !!
তার অসাধ্য কিছুই নেই। কিচ্ছু না!!

উপসংহার
একটি সুবিশাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে হলোগ্রাফিক ছবিটা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেন তিনি। মনের মাঝে চারপেয়ে প্রাণীটার ভাবনাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে... ... ...
কি আশ্চর্য !!
এইসব প্রাণীরা নিজেদের "মানুষ" কেন মনে করছে ? "মানুষ" শব্দটা তারা আবিষ্কারই বা করছে কি করে?

আবার একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তার ফুসফুস থেকে। হোক না অল্প দিনের গবেষনা,তবু ব্যর্থতার কষ্টটা কিছুতেই ভোলা যাচ্ছে না। পুরো কাজটা এভাবে ব্যর্থ হয়ে যাবে, তারা কখনও কল্পনাই করতে পারেননি।

মহাবিশ্বের এত গুলো স্থানে, এতগুলো ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায়, এতগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণের বিকাশ ঘটানো হয়েছে এবং অসীম মমতায় যাদের রক্ষনাবেক্ষন করা হয়েছে... ... ...
সেসবের ফলাফল কেবলই শূন্য ?
সবগুলো প্রজাতির প্রাণীই নিজেদের "মানুষ" মনে করছে।এবং যে সকল মানুষেরা তাদের সৃষ্টি করেছে, তাদের নাম দিয়েছে "বিধাতা"।
কোনো মানে হয় ?

সবগুলো প্রাণী জগতের অবস্থা শেষবারের মত পর্যবেক্ষন করতে থাকেন তিনি।প্রতিটি সভ্যতার বিন্যাস প্রায় একই রকম। সবশেষে হলোগ্রাফিক ছবিটায় ফুটে উঠে বুদ্ধিমত্তার স্কেলে সর্বনিম্ন স্তরের প্রাণী কুলের অবস্থা। ত্রিমাত্রিক জগতে পৃথিবী নামের একটি প্রতিকুলে গ্রহে জন্ম দেয়া হয়েছিল এই অনুজীবগুলোকে। এরা এখন এই ল্যাবরেটরীর সব চাইতে কৌতুককর বিষয়... ... ...

অনুজীবগুলোর অর্থহীন হিংস্রতা পর্যবেক্ষন করে কৌতুকে তার প্রায় স্বচ্ছ ত্বক ক্রমশ সবুজাভ হয়ে উঠে। এই অনুজীবেরা "মানুষ" এবং "মানব সভ্যতা" শব্দদুটি শিখেছে ঠিকই, কিন্তু অর্থ বের করেছে সম্পূর্ন উল্টো। নিম্ন স্তরের বুদ্ধিমত্তার প্রাণী বলেই হয়তো আত্ম বিধ্বংসের অদ্ভুত সব উপায় বের করেছে- যাদেরকে তারা অস্ত্র বলে থাকে। সবাই পৃথক পৃথক স্বত্তায় নিজেদের বিভক্ত করে রেখেছে এবং সামান্য কোনো কারনেই পরষ্পরকে ধবংস করছে। এবং... ... ...
সেই সাথে পৃথিবী নামের গ্রহটিকেও!!

হতাশা ঘিরে ধরে মানুষটিকে। শরীরের মধ্যভাগে অবস্থিত রক্তাভ চোখটি তাকিয়ে থাকে ছোট বোতামটির দিকে। বোতামটি ঘিরে সোনালি আলোর বলয় জানান দিচ্ছে বিপদ সংকেত। এই উদ্ভট,হিংস্র প্রাণীগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে এখুনি।বাঁচিয়ে রাখতে গেলে পৃথিবী নামক চমৎকার গ্রহটিকে তারা শেষ করে দেবে... ... ...
বোতাম থেকে তৃতীয় হাতটিকে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে নেন তিনি।
কি লাভ অযথা শক্তি অপচয় করে? এই আত্মবিধ্বংসী প্রাণীরা তো নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে ফেলছে!!
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×