রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব মূলত প্রকাশ্যে সম্প্রতি জোটবদ্ধ হওয়া সিপিবি ও বাসদের ছাত্র সংগঠেনর হাতে। আর আড়াল থেকে ওদের মদদ দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। কারন স্পষ্ট। এই আন্দোলনের ফসল আল্টিমেট আওয়ামীলীগের ঘরেই উঠবে। এটা নিশ্চিত যে, শাহবাগ আন্দোলন-এর ফলে যুদ্ধাপরাধ বিচারের কিছুই যাবে আসবে না। বিচার বিচারের গতিতেই চলবে। তবে মাঝথান থেকে আওয়ামী লিগ কিছু বাড়তি সুবিধা বাগিয়ে নিল।
এক. ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর পুলিশ দিয়ে সরকার জামাত শিবিরকে সাইজ করতে না পেরে এখন আপাত প্রকাশ্য অনলাইন এক্টিভেটর আড়ালের আওয়ামী ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষকে জামাত শিবিরকে বিরুদ্ধে মাঠে নামানো। যে সাধারণ মানুষ এতিদন সরকারী পেটোয়া বাহিনী পুলিশকে প্রতিরোধ করার জন্য জামাত শিবিরকে বাহবা দিয়েছে, সহানুভূতি জানিয়েছে। এবার সরকার কৌশলে এই গনেশ উল্টে দিয়েছে। ফলে জামাত শিবির অনেকটাই হতবাক হয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়ায় জামাত শিবির কোন কর্মসূচীই দিতে পারছে না। আর এই আন্দোলনের ফলে জামাত শরীকদের কাছ থেকে আনেকটাই দূরে ছিটকে পড়েছে। এটা সরকারের বিশাল আর্জন। কারন ভোটের অংকে ফ্যাক্টর জামাতকে সরকার অনেকদিন ধরেই বিএনপি থেকে আলাদা করে বিএনপিকে নি:সঙ্গ করতে চেয়েছিলো। এক্ষোত্রে ব্যর্থ আওয়ামী লীগের কাজটিই করে দিয়েছে আন্দোলন কারীরা।
দুই.
৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে ব্যর্থ সরকার এই আওয়ামী সরকারের যত আপকীর্তি, দুর্নীতি, লুঠপাঠ তা ভোটের আগের বছরে জনমানুষের মন থেকে মুছে ফেলে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। তারা আন্দোলনের জন্য বেছে নিয়োছিল আগামী মার্চ মাসকে। কিন্তু তার আগে সরকার নিজেই নিজের বিরুদ্ধে ডামি আন্দোলনকারী নামিয়ে দিয়েছে। ফলে বিএনপি এখন সহসাই আন্দোলেনর কোন যুতসই সময় পাবে বলে মনে হয় না। এখন সরকারের একধরেনর ওয়াকওভার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন.
জনমানুষের কাছ নতুন রক্ষীবাহিনী হয়ে ওঠা ছাত্রলীগের পুঁতিগন্ধময় ইমেজেক কিছুটা হলেও মানুষের আস্থায় এনে দিয়েছে এই আন্দোলনকারীরা। এককথায় বলা যায় সরকার ঘরে বাইরে যে পর্যুদস্ত অবস্থায় ছিলো এবং যেখান বেরুনোর জন্য সরকার হাসফাঁস করছিলো, এবং যেখান থেক বেরুনোর কোন আশাই সরকারের ছিলো না শাহবাগ আন্দোলনকারীরা সরকারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাপের উপকার করে দিয়েছে।
পুসশ্চ: রাজাকার রক্ষার জন্য এই স্ট্যটাস নয়। এই স্ট্যাটাস এই জন্য যে রাজাকারের সাথে রক্ষীবাহিনীর কবরও দেওয়া প্রয়োজন। এই সত্য উপলব্ধি না করলে শাহবাগ আন্দোলনকারীরা একদিন রাত পোহাননোর পর সকাল বেলায় দেখবে সরকারের ফায়দা উসুল হওয়ার পর নতুন রক্ষীবাহিনী তাদের ঘাড়ের উপর বন্দুকের ট্রিগার ধরে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




