পিতা তুমি নেই, আজও ঠিকানাহীন তাই
তোমার মাঝেই ঠিকানা খোঁজে বেড়াই ।
তোমার সন্তানেরা প্রতিবাদ ভুলেছে এখন
সংগ্রাম বলতে এখনো বোঝে বাহান্ন একাত্তুর
পিতৃহীন হয়ে করে না আন্দোলন ।
পিতা তুমি নেই বলে,
আজ আর কোন বাবা তাঁর ছেলেকে আদর করে বলে না,
বাছা আমার দেশের মুখ উজ্জ্বল কর।
মা তাঁর সন্তানকে শেষ সম্বলটুকু দিয়ে বলে না, সোনা আমার নিজেকে গড়ে দেশকে মুক্ত কর ।
বোন তাঁর ছোট্ট ভাইটিকে যুদ্ধের গল্প শূনিয়ে ঘুম পাড়ায় না
শিক্ষক দেশপ্রেমের কথা বলে শিহরিত হয় না ।
তুমি নেই, তাই আজ আর কেউ বলে না ‘আমার জনগন’আর কোন কৃষক শ্রমিক ‘অসহযোগ’ করে না কেউ আর রাজনীতিবিদকে নিয়ে গর্ব করে না। তোমার বাংলায় কতদিন সেই সোনালী সূর্য উঠে না
যেদিন খবরের কাগজে দুঃসংবাদ থাকবে না ।
আর কেউ এই বাংলায় দাঁড়িয়ে তর্জনী উঁচিয়ে বলে না
‘তোমরা প্রস্তুত থাকো’
আমার সোনার বাঙলায়, কোন অন্যায় বরদাশত করা হবে না ।
পিতা, তোমার বাঙলায় যে অসহায় অবলা নারী
আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে তোমার জেল মুক্তি’র প্রার্থনা করত
যে নারী না খেয়ে রোযা মানত করত, সে আজও অনাহারী ।
তুমি নেই বলে,তোমার বাংলায় বাবা তাঁর মেয়েকে
বেলী ফুলের মালায় বিয়ের পিঁড়িতে বসায় না ।
পিতা তুমি জাগতে বলো, এই হীন মানব’কে তুমি জাগাও
এই ঘোরলাগা সমাজকে তুমি আলোর পথ দেখাও ।
বাংলা মায়ের সন্তানেরা আজও অনাহারে, আজও ছেঁড়া কাপড় তাঁর বসনে
আজো ধর্ষিত হয় আমার বোনেরা
আজো তোমার দামাল ছেলেরা অশিক্ষায়
আজো সেই ৭১ এর নরঘাতকেরা তোমার বাংলাকে শ্বশান বানাতে চায় । পিতা, তোমার বাংলা আর কত ক্ষত-বিক্ষত হলে, আর কত অন্ধকার হলে তুমি আসবে আলো জ্বালাতে !
লক্ষ তরুণ আজো স্বপ্ন দেখে, তুমি আসবেই
কবি গুরু’র ‘বাঙালী’, তোমার সোনার বাংলায় ‘মানুষ’ হবে ।
একদিন হয়ত ধানসিঁড়ি পেরিয়ে,
সবুজ শ্যামল রূপসী বাঙলার মেঠো পথ ধরে, দৃপ্ত পদে তুমি আসবে
বাংলার দামাল- রাখাল, তোমার সূর্য সন্তান,
চোখ মেলে প্রতিদিন প্রভাত সূর্য দেখে
তোমাকে ভেবে শিহরিত হয়, তোমার পথ চেয়ে রয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




