somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড.মুহাম্মদ ইউনুস ও কিছু জিজ্ঞাসা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৮৩ সালে বেসরকারী ব্যাংক আইন সংশোধন করে বিশেষায়িত বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করা গ্রামীণ ব্যাংকে ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল বাংলাদেশ সরকারের ও ৪০ শতাংশ গ্রামীনের নিজস্ব। শতকরা এই হিসাবের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ। এই কাজটি ইউনুস সাহেব বিভিন্ন সরকারের কাছে মার্কিনীদের দিয়ে তদবির করিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন।
প্রায়শই ড.মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ঋণ গ্রহীতারা অর্থাৎ ৭৫ শতাংশের মালিক ঋণ গ্রহীতারা। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় উনি কে?????
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪১ বছর। গ্রামীণ ব্যাংক কার্যক্রম চালাছে ২৯ বছর ধরে। ইউনুস সাহেব বলে থাকেন তিনি দারিদ্য মোচন করছেন। এটা সত্যি হলে এতদিনে এই দেশে কোন দারিদ্র্যতা থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে তার কোন হদিশ দেখা যায়না। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এই মিথ্যাচার কেনো????
উনি বলেছেন, ঋণ পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। জাতিসংঘ সনদে অন্ন, বস্ত্র, আবাসন, চিকিৎসা ও শিক্ষা এই পাচটিকে মানুষের জন্মগত অধিকার বলা হয়েছে। সকল রাষ্ট্রসমুহে এটাকে ভিত্তি ধরেই সরকারগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় উনার খাতিরের পশ্চিমারা ঋণ'কে কেনো মানুষের জন্মগত অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করছেনা????
আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ তিনি নাকি দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবেন। প্রথমেই প্রশ্ন জাগে দারিদ্র্য কী আদৌ কোন বস্তু?? দ্বিতীয়ত দারিদ্র্য যদি জাদুঘরেই চলে যায় তাহলে "ঋণ মানুষের জন্মগত অধিকার" এটার কী হপে????????????????
অতঃপর বাংলার মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে থাকিলে উনার পরবর্তী কাজ কী হবে??
এমএলএম কোম্পানীতে সুত্র অনুযায়ী একটি দেশের সর্বশেষ ব্যক্তিটি সদস্য হওয়ার পরে তিনি নতুন সদস্য কোথায় পাবেন এটার যেমন কোন সমাধান নাই অথবা এটুকুই সেখানে ব্যবসায়ীক ফন্দী বা ভাঁওতাবাজি। গ্রামীণ ব্যাংক নামক এনজিওটিতেও রয়েছে ওই রকম অসংখ্য ভাঁওতাবাজির সমাহার!!!!!!!!

তাহলে কী বলা যায়, একটি ইনভ্যালিড জিনিসের ভ্যালিডিটির জন্য অনেক সময় দুই একটা ভ্যালিড জিনিস ঝুলিতে নিতে হয় । আর সেজন্যই তারা নেলসন মেন্ডেলা ও মাদার তেরেসা'র মতো ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করে শিমন পেরেজ, হেনরি কিসিঞ্জার, ড.মুহাম্মদ ইউনুসদের পুরষ্কারকে বৈধতা দেন???
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেন ম্যাজিক জানা জরুরি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪


জাতি হিসাবে আমরা বড়োই অভাগা। ইতিহাসের মঞ্চে রাজা বদল হয়, কিন্তু চিত্রনাট্য বদল হয় না। এক রাজা যায়, আরেক রাজা আসে; কিন্তু পর্দার পেছনের কলকাঠি নাড়া সেই একই হাত।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডোডোরা আমার পোষ্টে এসে আমাকে ভৎসনা করেন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৬



ব্লগ এখন নিস্তব্ধ, মাঝে মাঝে ১/২টা পোষ্ট আসে, মৃতের মতো পড়ে থাকে, সামনের পাতা থেকে পেছনে পাতায় যায় না। তবে, আমার পোষ্টগুলো সেইদিক থেকে কিছুটা সুখী,... ...বাকিটুকু পড়ুন

৪–৫ আগস্ট : রাষ্ট্রক্ষমতার মুখোশ খুলে দেওয়া রাত ও দিন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০১

৪–৫ আগস্ট : রাষ্ট্রক্ষমতার মুখোশ খুলে দেওয়া রাত ও দিন

৪ আগস্ট রাত — আশ্বাসের আড়ালে ছদ্ম-অভ্যুত্থানের নীরব নকশা
৪ আগস্ট সন্ধ্যায় কোটা-আন্দোলনের বিশৃঙ্খলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যখন রাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা,... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে এমপি হওয়ার মতো ১ জন মানুষও নেই

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪



দলগুলোতে মানুষই নেই, আছে হনুমান।

আমেরিকায় যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় না'আসতো, বাংলাদেশে হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে ইউনুসকে দেশের প্রেসিডেন্ট করে, দেশ চালাতো প্রাক্তন মিলিটারী অফিসারেরা ও বর্তমান জামাতী অফিসারা মিলে। দুতাবাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

=চলো দেখি সূর্য উদয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০


শীত কুয়াশা ফুটো করে,
সূর্য যখন উঠে নীলে
দেয় ছড়িয়ে সোনা আলো,
দেখলে মনে শান্তি মিলে।

একটি সকাল ফের পেয়ে যাই
নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচি সুখে,
পাই প্রেরণা সূর্যের কাছে
আলোর শক্তি তুলি বুকে।

দেখবে নাকি আমার সাথে
রোজ বিহানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×