১৯৮৩ সালে বেসরকারী ব্যাংক আইন সংশোধন করে বিশেষায়িত বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করা গ্রামীণ ব্যাংকে ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল বাংলাদেশ সরকারের ও ৪০ শতাংশ গ্রামীনের নিজস্ব। শতকরা এই হিসাবের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ। এই কাজটি ইউনুস সাহেব বিভিন্ন সরকারের কাছে মার্কিনীদের দিয়ে তদবির করিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন।
প্রায়শই ড.মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ঋণ গ্রহীতারা অর্থাৎ ৭৫ শতাংশের মালিক ঋণ গ্রহীতারা। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় উনি কে?????
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪১ বছর। গ্রামীণ ব্যাংক কার্যক্রম চালাছে ২৯ বছর ধরে। ইউনুস সাহেব বলে থাকেন তিনি দারিদ্য মোচন করছেন। এটা সত্যি হলে এতদিনে এই দেশে কোন দারিদ্র্যতা থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে তার কোন হদিশ দেখা যায়না। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এই মিথ্যাচার কেনো????
উনি বলেছেন, ঋণ পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। জাতিসংঘ সনদে অন্ন, বস্ত্র, আবাসন, চিকিৎসা ও শিক্ষা এই পাচটিকে মানুষের জন্মগত অধিকার বলা হয়েছে। সকল রাষ্ট্রসমুহে এটাকে ভিত্তি ধরেই সরকারগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় উনার খাতিরের পশ্চিমারা ঋণ'কে কেনো মানুষের জন্মগত অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করছেনা????
আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ তিনি নাকি দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবেন। প্রথমেই প্রশ্ন জাগে দারিদ্র্য কী আদৌ কোন বস্তু?? দ্বিতীয়ত দারিদ্র্য যদি জাদুঘরেই চলে যায় তাহলে "ঋণ মানুষের জন্মগত অধিকার" এটার কী হপে????????????????
অতঃপর বাংলার মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে থাকিলে উনার পরবর্তী কাজ কী হবে??
এমএলএম কোম্পানীতে সুত্র অনুযায়ী একটি দেশের সর্বশেষ ব্যক্তিটি সদস্য হওয়ার পরে তিনি নতুন সদস্য কোথায় পাবেন এটার যেমন কোন সমাধান নাই অথবা এটুকুই সেখানে ব্যবসায়ীক ফন্দী বা ভাঁওতাবাজি। গ্রামীণ ব্যাংক নামক এনজিওটিতেও রয়েছে ওই রকম অসংখ্য ভাঁওতাবাজির সমাহার!!!!!!!!
তাহলে কী বলা যায়, একটি ইনভ্যালিড জিনিসের ভ্যালিডিটির জন্য অনেক সময় দুই একটা ভ্যালিড জিনিস ঝুলিতে নিতে হয় । আর সেজন্যই তারা নেলসন মেন্ডেলা ও মাদার তেরেসা'র মতো ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করে শিমন পেরেজ, হেনরি কিসিঞ্জার, ড.মুহাম্মদ ইউনুসদের পুরষ্কারকে বৈধতা দেন???