ইনটারন্যাশনাল জুরিষ্ট ইউনিয়ন ( International Jurist Union ) বাংলাদেশ এর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট অবহিত করে আবুল কালাম আজাদের ফাসিঁর রায় কার্যকর বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে।
সম্প্রতি ১৪ সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে প্রেরণ করে এই সংস্থা। ট্রাইবুনাল এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে তারা সরকারের প্রতি এই আহবান জানায়। বলে রাথা ভাল, ৩২টি দেশের জুরিষ্ট (Jurist) নিয়ে গঠিত এই সংস্থাটি মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং সাড়া বিশ্বে আ্ইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে।
সংস্থাটি সরকারকে সতর্ক করে দেয়, যদি এই ট্রাইবুনাল ন্যায় বিচারে ব্যর্থ হয়, তাহলে "জাতিসংঘ" হস্তক্ষেপ করে একটি "তদন্ত কমিশন" গঠন করতে পারে। সেই কমিশন এর রিপোর্ট এর ভিত্তিতে United States Security Council সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি রোম ষ্ট্যাটুট (Rome Statute) এর 13(b) ধারা অনুযায়ী আইসিসির (ICC) কাছে পাঠিয়ে দিতে পারে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১২টি ধাপ অনুসরণ করার দাবী জানানো হয়:
১) মামলাগুলো থেকে রাজনৈতিক উপাদানগুলো সড়িয়ে আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত করতে হবে।
২) আইসিটি-১৯৭৩ আইনে অপরাধসমূহ পরিস্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।
৩) পক্ষপাতশূন্য (Impartiality) এর লক্ষ্যে নতুন করে বিচারক নিয়োগ দিতে হবে।
৪) জুরিষ্ট (Jurist) দ্বারা গঠিত একটি নিরপেক্ষ কমিটি সেই সকল বিচারকদের নিয়োগ দিবেন।
৫) পূর্বের বিচারকদের সকল কার্যতক্রম বাতিল করে নতুন করে বিচার শুরু করতে হবে।
৬) নতুন বিচারক ও প্রসিকিউটর দ্বারা আগের সকল বিচারক ও প্রসিকিউটরদের পরিবর্তন করতে হবে।
৭) কর্মকর্তা যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিচারকে প্রভাবিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে।
৮) ট্রাইবুনালের আসামীরা একই অধিকার পাবে যেটা অন্যান্য আসামীরা দেশের আইন অনুযায়ী পায়।
৯) বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
১০) যারা যুদ্ধপরাধ বিচার প্রক্রিয়ায় চাপ প্রয়োগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে।
১১) এই বিচারকে পরিচালিত করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান রক্ষা করে।
১২) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য ট্রাইবুনালকে উন্মুক্ত রাথতে হবে।
সরকার প্রায় বলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, তারা ভাল জানে তাদের কি করতে হবে। বিদেশী শক্তির কোনো অধিকার নেই হস্থক্ষেপ করার। এর কঠিন সমালোচনা করে সংস্থাটি বলে: “সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লংঙ্গন, যেখানই ঘটুক না কেন, সেই বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় কথা বলার অধিকার রাথে”।
সূত্রঃView this link