সাজানো-গোছানো প্রাসাদের কারুকার্য ঝাড়বাতি,
তার ঠিক নিচেই বসানো ছিল
ডাইনিং টেবিল একখানি।
সবকিছুই ছিল অনাড়ম্বর,
তবুও একখানি পেয়ালা
তুলেছিল হৃদয়ে দুর্দম ঝড়।
"পেয়ালাটি ছাইদানি হিসেবেই ছিল",
জনৈক কর্মচারী উদ্ধৃতি দিল।
পেয়ালায় চিত্রায়িত দৃশ্য-প্রেক্ষাপট,
অভিনব নাটকের সারমর্মী দৃশ্যপট।
যদিও ছিল না কোন ছাই পেয়ালাতে,
কর্মচারী বলেছিল, "দৃশ্যের মর্মার্থ নিদারুণ।"
তাই ছাই হিসেবে ফেলেছে সকলেই মিলে।
কয়েকজন মিলে একটা সংঘবদ্ধ দল
বেশ ঝাঁকালো পোষাকে ছিল তারা।
বংশীবাদকের চিত্রিত সে বাঁশি
চিরকাল বাজবে, যতকাল রবে এই ছাইদানি।
ছাইদানি বইবে সাক্ষীর কর্ম,
যা আসলে ইতিহাসেরই ধর্ম।
যারা নৃত্যে ব্যস্ত ছিল,
তারাও যে রবে চিরন্তন।
প্রণয়বেলাও রয়েছে সে দৃশ্যে,
যেন বা চাতক-চাতকীর মতো
শেষ হবে না কখনো অপেক্ষার পালা।
পাশেই বসা এক পরিণয় ব্যর্থ যুবক,
তারও আছে বিষাদ-জ্বালা, অনন্ত-অসীম শোক।
৩ ফাল্গুন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
গাজীপুর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২১