ঘরের বাইরে এসে দাঁড়াতেই চোখে
পড়ে আয়নাটা, প্রত্যেহ নিজেকে দেখি;
কোন নতুনত্ব নেই, আশা নেই বুকে-
বেঁচে থাকাটাই বুঝি অর্থহীন, মেকি!
একদা প্রত্যুষে এসে সামনে দাঁড়াতে
হঠাৎই চমকে ওঠি, কেউ একজন
দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার মতো দেখতে;
ভীষণ চিন্তিত, ভারাক্রান্ত তার মন।
আমি যা করছি সেও তাই করে যায়ঃ
মুখে জলের ঝাপটা দেয়, ব্রাশ করে
দাঁত, মুখের কালো দাগের দিকে চায়;
অসীম শূন্যতা চক্ষু দিয়ে ঝরে পড়ে।
ধূসর চোখে তাকাই, গেঁয়ো পথ ধরে
দেখি এক অবুঝ বালক হাসি মুখে
দিগ্বিদিক ছুটে যাচ্ছে সাইকেলে চড়ে;
রাজ্যের অতৃপ্তি ভর করে তার চোখে।
সবুজ বনান্ত ছেড়ে দূরে বহু দূরে
পেরিয়ে অকূল নদ যাচ্ছে সে কোথায়,
নিজেই জানে না কোন সে বাঁশির সুরে
হর্ষ-ভাবাবেগ তার মন ছুঁয়ে যায়।
অবয়ব দেখে তার কিছু বোঝা যায়,
বাকিটুকু করি ভেবেচিন্তে অনুমান;
খোঁচা খোঁচা দাড়ি মুখে পাহাড় ঘুমায়,
প্রত্যাশা গেঁড়েছে খুঁটি এক আসমান।
সে আমার চেনাজানা, তবুও অচেনা;
অপলক চেয়ে থাকি তার মুখপানে-
সে-ও চেয়ে থাকে, সে-ও পলক ফেলে না;
আমার মতোই সে-ও মগ্ন আছে ধ্যানে।
৯ ফাল্গুন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
ভালুকা, ময়মনসিংহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১