ভার্সিটিতে পড়ে মিদুল। মামা টাকা পাঠায়; সেই টাকা মামার পাওনাদারদের দেয় সে। একবার ব্যাংক থেকে টাকা তুলল। ৭০ হাজার।
টাকা টা ব্যাগে নিল। ভার্সিটির ক্লাস শেষে টাকা রাখা ব্যাগ সহ বইপত্র ভার্সিটির বাসে রেখে বাইরে ঘুরতে গেল।
বাস ছেড়ে দিলে দৌড়ে এসে বাসে উঠে গেল।
দুদিন পরের ঘটনা। মেয়েদের পার্স থেকে চুরি করা অবস্থায় এক ছেলেকে ধরা হলো ভার্সিটির বাস থেকে। এটা সেই বাস, যে বাসে ৭০ হাজার টাকা সহ ব্যাগ রেখেছিল মিদুল।
২
হালিমা খাতুন দেবরকে টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিছুদিন পর দেবর সেটা তার স্ত্রীর কাছ রেখে গেল যেন তা ভাবীকে দেওয়া হয়। ভাবী ওই টাকা টা অন্য জা এর কাছে রেখে বাইরে গেলেন। বাইরে থেকে এসে টাকা টা নিয়ে আলমারিতে রাখলেন। পরদিন দেখা গেল ২ হাজার টাকা কম।
৩
একটা বিল আসার কথা। নগদ। ম্যানজার সৈকত নিজেই বিল টা নেন। তবে আজকে নিলেন না। টাকা আদায়ের রসিদ টা কেয়ারটেকারকে দিয়ে নাস্তা করতে গেলেন। এসে দেখেন কেয়ারটেকার টাকার খাম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
টাকা টা হাতে নিয়ে ব্যাংকে গেলেন সৈকত। জমা দিলেন।
বিকেলে মালিক ফোন দিয়ে বললেন, টাকা ২ হাজার কম।
বিল আসলে কত ছিল, সৈকত জানত না। যে টাকা টা হাতে এসেছিল; সে মনে করেছিল ওখানে যত টাকা, তত টাকাই বিল। গণেশ উল্টে যাবে কে জানত?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০১