
কাঁটাবন থেকে মালিবাগ আসব। তরঙ্গ প্লাস বা রমজানের জন্য অপেক্ষা করছি। নীলক্ষেত গিয়েছিলাম। আসতে আসতে দেরি হয়ে গেছে। টিউশনি ধরতে হবে। তাই তাড়াহুড়ো ছিল।
বাস আসতেই ইশারায় দাঁড়াতে বললাম। দাঁড়ালও। দু’পাশ দেখে উঠতে যাব, হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলাম। জুতোর নিচে সম্ভবত পাথর পড়েছিল। এর মধ্যে একটা বাইক আমার শরীর ঘেঁষে দাঁড়াল। ব্রেক কষতে না পারলে হয়তো ওপর দিয়েই চলে যেত।
বাসে উঠতেই লোকজন জিগ্যেস করল, ব্যথা পেয়েছি কি না?
না, বললাম আমি।
সিটে বসে টের পেলাম হাত নাড়াতে পারছি না। বেশ চোট লেগেছে।
২
শমসের সাহেবের মতো আমারও চোখে বেশ সমস্যা। সবসময় ব্যথা করে। মাথাব্যথাও। ঠিকমতো কিছু দেখতে পারি না। ডাক্তার দেখাব, দেখাব করেও দেখানো হচ্ছে না। গত বছর শেষবারের মতো দেখিয়েছিলাম। অনেকদিন তো হলো। এবার চশমাটাও বদলানো দরকার।
চোখের ডাক্তার দেখালে একটু সমস্যাও আছে। এরা এমন ওষুধ দেয় যে, ১৫-১৬ ঘণ্টা ঘুমোলেও ঘুম অসম্পূর্ণ থাকে। এতক্ষণ ঘুমালে তো দীনদুনিয়া চলে না।
ডিউটি ৩টায়। ভাবছি সকালে উঠে আগারগাঁও চলে যাব। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই পারলাম না।
৩
মগবাজার মোড়ে হাঁটছি। একজন দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, ৫০টা টাকা দেবেন? মানিব্যাগ বাসায় রেখে এসেছি। আমি লোকটার দিকে তাকালাম। বয়স ৩০-৩৫ হবে। দেখতে সুদর্শন। জিগ্যেস করলাম, কোথায় যাবেন? ওনি জায়গার নাম বললেন।
৫০ টাকা বের করে দিতেই ওনি ধন্যবাদ দিয়ে সামনের দিকে হনহন করে হেঁটে চলে গেলেন। পেছনে একবারও তাকালেন না। মনে মনে হয়তো ভাবছিলেন, দুনিয়ায় এমন বোকা মানুষও হয়!
৪
সরকারি একটা পরীক্ষা ছিল। সিট পড়েছিল সালনায়। স্কুলটার নাম নাসিরুদ্দিন মডেল হাইস্কুল। ১০ টাকার বিনিময়ে মোবাইল আর ব্যাগটা একটা দোকানে রেখে পরীক্ষা দিতে ঢুকলাম।
সিট খুঁজে পেতে সমস্যা হলো। পেলাম একবারে পরীক্ষা শুরুর আগে আগে। বসেছি, হঠাৎ দেখি ভার্সিটির এক ক্লাসমেট। কথা বলতে যাব, তারপর মনে হলো, থাক। সে হয়তো কথা বলবে।
পরীক্ষা শেষে দেখি সে নেই। সাড়ে ছয় বছর একসঙ্গে পড়ালেখা করেছি আমরা, অথচ এখন কথা বলতেই জড়তা। দু’জনেই ভালো কিছু করতে পারিনি; এ হীনম্মন্যতা থেকেই হয়তো কথা বলা হলো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



