somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এমন কোনো বিষয় আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০% একমত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ও চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়। একপক্ষ একাত্তরকে ধারণ করে, অন্য পক্ষ অস্বীকার করে। যেকোনো বিষয় নিয়ে হাঙ্গামা লেগেই আছে। নিজের মায়ের পেটের ভাইবোনদের মধ্যেও দ্বিধাবিভক্তি। তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি, খুনোখুনি পর্যন্ত হয়ে যায়। যদিও ব্যাপারটা একেবারে নতুন না। তবে ইদানীং মহামারি আকার ধারণ করেছে মনে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেন এখন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।

একজনের ওপর থেকে আরেকজনের বিশ্বাস বলতে গেলে উঠে গেছে। মা ছেলেকে বিশ্বাস করেন না, বাপ মেয়েকে বিশ্বাস করেন না। সন্তান মা-বাবাকে বিশ্বাস করে না। মাঝেমাঝে দেখা যায় বিপদে পড়লে এক অপরকে অস্বীকার পর্যন্ত করে। প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলতে গেলে ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর।

একজন বলল টাকার অভাবে ভাত খেতে পারছে না। মায়া করে তাকে টাকা দিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখলেন সে এই টাকায় কক্সবাজার ঘুরতে গেছে বা নেশা করছে। কেমন লাগবে? চিকিৎসার কথা বলে টাকা উঠিয়ে ধান্ধা করার ঘটনা তো হর-হামেশাই ঘটছে।

টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার। কিন্তু সুযোগ পেলে লোকজন এমনভাবে টাকার পেছনে ছুটে যে, জীবনে উপভোগ করতেও ভুলে যায়। দেখা যায় সংসারের লোকজনকে সময় পর্যন্ত দেওয়া হয় না। টাকা-পয়সা করলেন, কিন্তু যাদের জন্য করলেন, তারা আপনার ত্যাগ স্বীকার করল না। তখন কেমন অনুভূতি হয়?

ঢুকলেন রাজনীতিতে। নাম-যশ বাড়ল। ধরাকে সরা জ্ঞান করলেন, সবাইকে ভোগালেনও। দিন ফুরাল। এখন? প্রতিপক্ষ সুদে-আসলে পুষিয়ে নেবে। তখন প্রাণ ভিক্ষে চেয়ে লাভ হবে? 

ভালো লোকদের একটা ভোগান্তিতে থাকতে হয় সারাজীবন। দরকারে কাউকে কাছে পায় না, অথচ দুষ্টলোকের সঙ্গীর অভাব হয় না। তারা ঠিকই দল পাকিয়ে ফেলে। তাদের ফাঁদে পড়ে ধরাশায়ী হয় ভালো লোকেরা। হয়তো অনুশোচনাও করে এত ভালো থেকে কী লাভ বলে। তবে এই ধৈর্যের ফল কিন্তু অনেকসময় ভালো হয়।

ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় বলে একটা কথা আছে। ১০০% তে ১০০% ভালো তো কাউকে পাওয়া যায় না। সমঝোতা করে চলতে হয়। গায়ের জোর সবসময় খাটে না। ‘দিন গেলে আর দিন আসে না, ভাটা যদি লয় যৌবন। থাকতে ক্ষুধা প্রেম-সুধা পান করো রে পাগলা মন।’
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×