দীর্ঘকাল হতে মুসলিম জাতিকে এই বলে প্রবোধ দেয়া হয়েছে যে, মুখ দ্বারা তাওহীদ ও নবুয়াতের সাক্ষ্য দিলে এবং নামাজ, রোযা ইত্যাদি কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করলেই সকল কর্তব্য আদায় হয়ে গেল, অতঃপর জীবনের অন্যান্য সকল কাজে দ্বীন বিরোধী ও ঈমান বিরোধী কর্মনীতি অবলম্বন করলেও তোমাদের ঈমানের একবিন্দু ক্ষতি হবে না, আর তোমাদের মুক্তিলাভের ব্যাপারেও কোন আশংকা দেখা দিবে না। এই সুবিধা দানের সীমা ক্রমশ এতদূর সম্প্রসারিত হয়ে পড়েছে যে, শেষ পর্যন্ত মুসলমান হওয়ার জন্য নামাজ পড়াও আর কোন অনিবার্য শর্ত রইল না। মুসলমানদের মধ্যে এই ধারণাও বদ্ধমূল করে দেয়া হল যে ঈমান ও ইসলামের স্বীকারোক্তি হলেই যথেষ্ট, কার্যত সমস্ত জীবন ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শে চললেও কোন ক্ষতি নাই। এটারই ফলে আজ দেখছি সকল প্রকার ফাসিকী, কাফিরী, পাপ, নাফরমানী, জুলুম ও স্পষ্ট খোদা দ্রোহিতাকে অবলীলাক্রমে ইসলামের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুসলমানগণ বর্তমানে যে পথে তাদের সময় শ্রম, ধন-মাল, শক্তি সামর্থ্য, যোগ্যতা কর্মদক্ষতা এবং জীবন ও প্রান একান্তভাবে নিজুক্ত করছে, যেসব উদ্দেশ্য ও লক্ষের পিছনে বাক্তিগত ও সমষ্টিগত ভাবে চেষ্টা সাধনা করছে তার অধিকাংশই যে তাদের ঈমানের সম্পূর্ণ বিপরীত, এটুকু কথাও আজ মুসলমানরা অনুধাবন করতে সমর্থ হন না।
=> ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি