somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতহািসরে পুনরাবৃত্তি ্‌ ড. মোহাম্মদ রওশন কামাল

২০ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উপররে কথাটি কতকটা ‘ইতহািসরে পুনরাবৃত্তি নজেি থকইেে হয়’ আর এর সঙ্গে আমাদরে মতো দশেে যুক্ত হয় ইতহািস থকেে কউে শক্ষাি নয়ে না। আমাদরে এই লখোর শষেে এটা অন্যরূপে দখোনোর চষ্টো নয়ো হব।ে
এই তো গত নভম্বরে আরর্ মাচ মাসে দু’দুবার যুক্তরাষ্ট্ররে টক্সোস অঙ্গরাজ্যরে হউস্টিনে নহোতই পারবািরকি কারণে যতেে হয় এবং তার পরপরই আবার মালয়শয়োির রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাই। তবে এই কাহনীির মূল কথা আমরকোি যাওয়া আসা এবং এ থকেে ইতহািসরে এক অমোঘ শক্ষািরসঙ্গে পরচতিি হওয়া। তবে সে কথায় যাওয়ার আগে আমরকোির কছুি কথা না বললইে নয়।
বাংলাদশকেের্ আথ-সামাজকি ব্যাপারে উপদশ,ে পর্রামশ দয়োয় দশ-েবদশিরেে বশষিজ্ঞেরে অভাব নই।ে কোন এক বইতে রসয়েি রসয়েি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ফারুক বলছনে,ে বাংলাদশের্ অথনীততেির্ দুবল কন্তুি দশটেি র্আন্তজাতকি পরমণ্ডিলে নাম-দিামীর্ অথনীতবদিি রফতানি করে থাক।ে
টক্সোসরে হউস্টিনে বড় ছলরেে বাড়।ি ফ্ল্যাট বা বাসা নয়। প্রায় দড়ে বঘাি জমরি ওপর দোতলা বাড়।ি পছনেে মনরে মতো বাগান, এমনকি ছলেে বউ ব্যাডমন্টনিও খলেে থাক।ে যে এলাকায় তাদরে বাড়ি সখোনে কবলে বাড়ি আর বাড়ি এবং প্রায় সব বাড়ইি কম বশিে সমপরমািণ জায়গার ওপর তর।ৈি
বাণজ্যকিি কোন কারবার নই।ে সে দশেে জায়গা আছ,ে শহররে কন্দ্রে ছাড়া বহুতল অট্টালকাি তমনে একটা চোখে পড়ে না। আর আমরা? জায়গা নইে কন্তুি মানুষ আর মানুষ। তাই রাস্তা নইে বললইে চল,ে আর যাও আছে গাড়রি চাপে ঢাকা পড়ে গছ।েে বহুতল বাড়তেি কবুতররে খাঁেপে অবস্থান। কন্তুি আমাদরে কমনেভাবে ঢাকা শহরে বাস করতে হব,ে কমনে রাস্তা হব,ে দশীে-বদশিীে পণ্ডতি নানা তথ্য দয়েি অহরহ উপদশে দয়েি যাচ্ছন।ে কোন এক বইয়ে (কামাল ১৯৮৪) বলা আছ,ে আমাদরে দশেে বদশিে থকেে যসবে পণ্ডতি (?) এবং উপদষ্টো আসনে তারা নজরিে দশেে যসবে পরকল্পিনা সফলতার সঙ্গে ‘বাস্তবায়ন’ করছনেে এ দশেে এসইে সগুেলো বাস্তবায়নরে জন্য উঠপড়েে লগেে যান। কন্তুি সফলতার পর্রবতিে বফলিতাই আস।ে তারা ভুলে যান দু’এলাকার বাস্তবতা, আবহাওয়া,র্ আথ-সামাজকি অবস্থা র্সম্পূণ আলাদা। তাই আমাদরে এই অবস্থা। এক সময় বদশৈকেি মুদ্রার জটলি সমস্যা দখো দয়।ে দক্ষণর্-িপূব এশয়াির প্রায় সব দশে আইএমএফ এবং র্ওয়াল্ড ব্যাংকরে পর্রামশ গ্রহণ করে নতুন বপদিে পড়।ে একমাত্র মালয়শয়োি তা গ্রহণ না করে নজরিে চষ্টোয় র্সম্পূণ সফল হয়।
যাক যে কথা বলছলািমÑ টক্সোসরে হউস্টিনরে আমরাও কন্তুি ১৯৪৭ সালে দশে বভািগরে পর এই ঢাকাতইে ধানমণ্ডি নতুন আবাসকি এলাকায় কছুি নাম-দিামী লোকদরে ১ থকেে ২ বঘাির প্লট দয়ে বাড়ি করার জন্য। তারা ছোট্ট বাড়ি করে মনরে মতো বাগান করতন।ে ছলি সবুজ ঘাসরে চত্বর। আর এখন কবলে উচ্চ দালান ঠকি হউস্টিনে যমনেটি দখছে।েি তফাৎ আমাদরে ইতহািসরে ওই অংশ বাদ হয়ে গছ।েে ধানমণ্ডরি আবাসকি এলাকা এখন বাণজ্যকিি আর বদ্যািলয় থকেে শরু করে বশ্ববিদ্যািলয়রে র্নদষ্টিি জায়গা। এখানে আমরা ইতহািস থকেে কোন শক্ষাি নতেি পারনিি এবং তাও আমাদরে ইচ্ছাকৃত নয়। আমরা এতবড় ব্যাপারে পরবাির পরকল্পিনায় র্সম্পূণর্ ব্যথ, এ কথা বলা যায়। না হলে জায়গার স্বল্পতা এবং বশষিে জায়গায় নব্যবত্তবিানদরে নজর পড়ায় শহর কবলে কবুতররে খাঁেপরে মতো ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং তাও কবলে আকাশ ছাঁেয়া উচ্চতা। আসল কথা দু’দশে দু’পরবশিে ইতহািসে ঘটনা এক হলওে এখনর্ পাথক্য অনকে অনক।ে
যাক, এবার ইতহািসরে নতুন এক দকেি ফরেি আসাÑ পুনরাবৃত্তরি কথায় আসা যাক। যে কথা না বললইে নয়Ñ নভম্বরে আরর্ মাচরে মধ্যে দু’বার পারবািরকি কারণে আমরকোি যতেে হয়। দু’বারই বমািন ছলি কাতার এয়ারলাইন্স। একে সস্তা অন্যদকেি সহজ যাত্রাÑ ঢাকা-দোহা-হউস্টিন। শষে রাতে ঢাকা থকেে রওনা দয়েি ভোরে দোহা এবং কয়কে ঘণ্টা বশ্রািমরে পর বমািনে আবার যাত্রা এবং শষে গন্তব্য হউস্টিন বকািল।ে তবে অসুবধাি, তনি রাতে ঘুম হয় না। কথা মতো ছলেে ভাড়া গাড়ি (সওে বাংলাদশীে) নয়েি উপস্থতি ছল।ি এখানে বলে নয়ো ভালো য,ে অন্য শহররে মতো এখানে হলদে ভাড়া গাড়ি পাওয়া যায় না আর না আছে বাস বা রলগোড়।ি নজি নজি গাড়তইিে সবাইকে চলতে হয়।
এই আমরকোি যাওয়া কাতর বমািনে গয়েি মনে পড়ালÑ কাতর কত বড় দশ,ে কত তার জনসংখ্যা? ছোট্ট একটি দশ।ে জনসংখ্যা ৩ লাখ। তার বদশিীে শ্রমকি এবং দক্ষ লোক ৬-৭ লাখ। তার বমািন পৃথবীির বভন্নিি দশেে ভীষণ ভালোভাবে চালয়েি যাচ্ছ।ে এদরে মাথাপছুি আয় সমগ্র আরব ভূখণ্ডরে মধ্যে বশ।েি তবে গ্যাস ও তলে আবষ্কািররে আগে এখানকার লোকরে প্রধানর্ কম ছলি সমুদ্রে মাছ ধরা।
এখানে বলে নই,ে প্রাচীনকালওে এই মধ্যপ্রাচ্যরে লোকরো পৃথবীির বভন্নিি দশ,েে বশষিে করে দক্ষণি ও দক্ষণর্-িপূব এশয়াির দশেে বাণজ্যি তরি নয়েি ব্যবসায় নয়োিজতি ছল।ি তাদরে ব্যবসার বন্দর ছলি সুরাট, বোম্ব,ে মাদ্রাজ, চট্টগ্রাম, এমনকি ইন্দোনশয়োির জাভা, বালি প্রভৃত।ি এখন আর জাহাজে বাণজ্যেি তারা ব্যস্ত নয়। উন্নত প্রযুক্তরি বমািনপথে তারা নজদিরেে দক্ষতা দখোচ্ছ।ে শুধু কাতার এয়ারলাইন্সই নয় আমরািত, সৌদি প্রভৃতি দশরেে বমািনও পৃথবীির বভন্নিি দশেে চলছ।ে
বাংলাদশেে এত লোক, এত গুরুর্ত্বপূণ অবস্থান কন্তুি বমািন কবলে মৃত্যুর অপক্ষোয়। ইতহািস ঠকইি তাদরে বলোয় ফরেি এসছ,েে আমরা কি তা থকেে ব্যতক্রমি? তা তো হয় না। ইতহািস তার নজি গততেি ফরেি ফরেি আস;ে তা কউে চাক বা না চাক।
অন্য আর একটি বষয়ি উল্লখে না করলে এ লখোয় অর্সম্পূণ থকেে যাব।ে মধ্যযুগে যখন ব্যাংক ব্যাবসা ইতালতেি সূচনা হল তখন মুসলমি এমনকি খ্রস্টািনরাও এ ব্যাংকরে সঙ্গে জড়তি হয়ন;ি কনে না সুদ গ্রহণযোগ্য ছলি না। ফলে র্সম্পূণ ফাঁকা মাঠে ইহুদরাি একচটয়োি ব্যবসা করতে থাকল। মজার ব্যাপার মধ্যপ্রাচ্যরে মুসলমি দশগেুলো অল্প সময়ে এ থকেে বরয়েেি আসার পথ বরে করে ফললে। এখন তারা এমনকি আমাদরে দশওেে ইসলামকি ব্যাংকং,ি শরয়ািভত্তকিি ব্যাংক এসবই দক্ষতার সঙ্গে চালাচ্ছ।ে আমাদরে মতো দশে নয়, প্রায় মুসলমি দশইেে শক্ষাির তমনে প্রসার ঘটনিে এবংর্ ধমরে ব্যাপারে অতির্ স্পশকাতর তাই ওই শরয়ািভত্তকিি ইসলামী ব্যাংক এখন মহাসফলতার প্রতীক।
আমাদরে দশরেে কথায় এখন আস।ি ইউরোপরে শল্পি বপ্লবিরে আগ,ে এমনকি ইংরজে শাসন আমলওে অনকে দনি এই বাংলার্-বতমান
বাংলাদশে এবং ভারতরে পশ্চমবিঙ্গ সমগ্র পৃথবীিতে একমাত্র শল্পািয়তি অঞ্চল ছল।ি তোফায়লে আহমদে (১৯৬৪) আমাদরে প্রাচীন শল্প,ি আবদুল্লা ফারুক, বাংলাদশরেের্ অথনতকৈি ইতহািস (বাংলা একাডমীে), আব্দুল করম,ি ঢাকাই মসলনÑি সবাই এ কথা বলছনেে সইের্ স্বণযুগে বাংলা থকেে পৃথবীির নানা দশ,েে বশষিে করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষণি ও দক্ষণর্-িপূব এশয়াি বভন্নিি দশে ও অঞ্চলে নানা রকমরে দ্রব্য যমনে মসলা, লবণ, চন,িি নীল, সুতবস্ত্রি, রশমেবস্ত্র এমনকি জাহাজও রফতানি হতো। শল্পীিরা ছলি দক্ষ এবং তাদরে তরিৈ জনসিরিে মান ছলি অনকে উচ্চ। তোফায়লে আহমদরেে মত,ে চাল উৎপাদনে এই বাংলার সুনাম ছলি এবং ‘ফছ’ি ১৫৮৬ সালে উল্লখে করে বলছনেে এখান থকেে সারা উপমহাদশ,ে সংহিল র্(বতমানে শ্রীলঙ্কা) পরুে, মালাক্কা, সুমাত্রা এবং আরও বহু স্থানে চাল রফতানি করা হতো। ইক্ষু চাষ এবং এ থকেে উৎপন্ন গুড় ও চনিি পৃথবীির বহু দশ,েে বশষিে করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষণর্-িপূব এশয়ািয় রফতানি করা হতো। এ ছাড়া সরষাি, তজপোতা, পপ্পলি, পান, তুলা, সুপার,ি নারকলি,ে আদা, হলুদ প্রভৃতি মশলা নানা দশেে আর অঞ্চলে রফতানি করা হতো।
যদওি এখন স্থান হসবিেে বঠকেি কি না তবুও বষয়িটি উল্লখে না করলে এই লখো অর্সম্পূণ থকেে যাব।ে মধ্যযুগে যখন ব্যাংক ব্যবসা ইটালি থকেে সম্প্রসারতি হতে থাকল তখন মুসলমান এবং খ্রস্টািন সম্প্রদায় এই ব্যবসা থকেে বরতি থাক।ে কারণ সুদ নয়ো বা দয়োয় অনুমতি ছলি না।
টভোরনয়ািরকরে মতে (১৬৬৬ ঢাকায়) এত রকমারি জনসিপিত্র পাওয়া যায় এমন একটা দ্বতীিয় দশে বাংলা ছাড়া পৃথবীিতে আছে কি না আমার জানা নইে (তোফায়লে আহমদ,ে পৃ. ৪)। তনিি (তোফায়ল)ে আরও লখছিনেে ‘সমসাময়কি দুনয়াির শল্পরিে সঙ্গে তুলনা করলে এ স্থরি সদ্ধািন্তওে পৗঁেছাতে হয় য,ে বাংলাদশে ছলি তখন প্রধান না হলওে অন্যতম শ্রষ্ঠে শল্পািয়তি দশে (পৃ. ৫)।
এত কছুির মধ্যে এ কথা র্নদ্বধিািয় বলা যায় য,ে বাংলা বস্ত্রশল্পি পৃথবীি বখ্যািত ছলি এবং এখানকার সুতি ও রশমেি বস্ত্ররে চাহদাি ছলি বশ্বজিোড়া। আর ইউরোপরে শল্পি বপ্লবিরে সঙ্গে এখানকার বস্ত্রশল্পরিে অন্তমকিাল রচতি হয়। এমনকি ‘১৭০০ সালের্ পালামন্টেে আইন পাস করে এখানকার বস্ত্র আমদানি বন্ধ করে (পৃ. ৫)’। মসলনরিে কদর বলার অপক্ষো রাখে না। দশজে তুলা থকইেে এ বখ্যািত সুতবস্ত্রি সম্ভ্রান্ত ও রাজপরবািররে মহলাি অঙ্গনে একান্ত দরকারি হসবিেে গৃহীত হতো।
অন্য মত,ে দখো যায়, গফ. উবষধৎি ঐড়ংধরহ অ ঝঞটউণ ঙঋ ঘওঘঞঊঊঘঞঐ ঈঊঘঞটজণ ঐওঝঞঙজওঈঅখ ডঙজকঝ ঙঘ গটঝখওগ জটখঊ ওঘ ইঊঘএঅখ ঈঐঅজখঊঝ ঝঞঊডঅজঞ ঞঙ ঐঊঘজণ ইঊঠঊজওউএঊ পৃ. ৩১) এ উল্লখ,ে করনে ‘ অষবীধফফবৎ উড়ি রহ যরং দঊহয়ঁরৎৎু রহঃড় ঃযব ঝঃধঃব ড়ভ ইবহমধষ' ঢ়ধরহঃবফ ধ ৎড়ংু ঢ়রপঃঁৎব ড়ভ ঃযব ঢ়ৎড়ংঢ়বৎরঃু ড়ভ গঁমযধষ ইবহমধষ. ঐব ৎরঃিবং, দঈড়সসবৎপব, সধহঁভধপঃঁৎবং, ধহফ ধমৎরপঁষঃঁৎব, বৎবি বহপড়ঁৎধমবফ : ভড়ৎ রঃ ধংি হড়ঃ ঃযবহ ঃযব সধীরস ঃড় ঃধশব ঃযব যড়হবু, নু ফবংঃৎড়ুরহম ঃযব ংধৎসি. ... ... সধহু হড়ি রহ ইৎরঃধরহ বৎবি বুব-রঃহিবংংবং ড়ভ ঃযব ঃযৎঁঃয ড়ভ ঃযরং ধংংবৎঃরড়হ. ডব ধঢ়ঢ়বধষ ঃড় ঃযব ঃবংঃরসড়হু ড়ভ ঃযড়ংব যড়ি সধৎপযবফ ঃযৎড়ঁময ইবহমধষ ধভঃবৎ ঃযব ফবধঃয ড়ভ ঝরৎধল-ঁফ-ফধষধি ঃযধঃ ধঃ ঃযধঃ ঃরসব, রঃ ধংি ড়হব ড়ভ ঃযব ৎরপযবংঃ, সড়ংঃ ঢ়ড়ঢ়ঁষড়ঁং, ধহফ নবংঃ পঁষঃরাধঃবং করহমফড়সং রহ ঃযব ড়ৎষিফ. ঞযব মৎবধঃ সবহ ধহফ সবৎপযধহঃং বৎবি ধষষিড়রহমি রহ বধষিঃয ধহফ ষীঁঁৎু ; ঃযব রহভবৎরড়ৎ ঃবহধহঃং ধহফ ঃযব সধহঁভধপঃঁৎবৎং বৎবি নষবংংবফ যরঃি ঢ়ষবহঃু, পড়হঃবহঃ, ধহফ বধংব'
অন্যদকেি প্রফসরে আবদুল্লা ফারুক তার বাংলাদশরেের্ অথনতকৈি ইতহািস বইতে বলছনে,ে প্রত্যকটো দশরেইে একটা সময় আসে যখন তার প্রযুক্তরি সবচয়েে শ্রষ্ঠে সময়। তবে এ কথাও বলা হয় য,ে আমাদরে পৃথবীি বখ্যািত মসলনরিে ধ্বংসরে কারণ কোম্পানরির্ কমচারীদরে অত্যাচার বশষিে করে কারগরিদরে হাতে বৃদ্ধাঙ্গুলি কটেে ফলোর জন্য তারা তার মসলনরিে কাপড় বুনাতে পারে না (আবদুল করমি ঢাকাই মসলন)ি এ কথায়
সত্যতা খুঁজে পানন।ি মোদ্দাকথা আমরা সময়রে সঙ্গে তাল মলয়িেি প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষত্রেে বশষিে করে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সময়রে সঙ্গে সঙ্গতি রখেে চলতের্ ব্যথ হই।
এত কছুি বলার পছনেে আমাদরে বক্তব্য সহজ এবং সরল। মধ্যপ্রাচ্য যদি তার অতীত ইতহািসকে উন্নয়নে হাতয়াির হয়ে ধরে রাখতে পারে সে ক্ষত্রেে আমরা কনে সে সময়কার একমাত্র শল্পি উন্নত অঞ্চল আবার কনে সখোনে পৗঁেছাতে পারব না।র্
বতমানে বলা হয়, বাংলাদশে খাদ্যশস্যে বশষিে করে চালরে ব্যাপারে স্বয়ংর্সম্পূণ প্রায়। অন্য আর এক পুস্তকে (ড. আবদুর রহম,ি ১৯৮২, পৃ. ৩৫৬-৩৫৮) বলা হয়ছ,েে মুগল আমলে ‘বাংলায় এত বশিে পরমািণ চাল উৎপন্ন হয় য,ে উহা কবলে প্রতবশিীে দশগেুলোতইে নয়। দূর্রবতী রাজ্যগুলোতওে রফতানি করা হয়ে থাক।ে গঙ্গার পথে এ চাল পাটনার্ পযন্ত আনা হয় এবং সমুদ্র পথে মসলপত্তিন ও করোমমণ্ডলরে অন্যান্য বহু বন্দরে রফতানি হয়ে থাক।ে
এটা বদশিীে রাজ্যসমূহ। বশষিে করে সংহিল র্(বতমানে শ্রীলঙ্কা) ও মালদ্বীপে পাঠানো হয়’। চনিি ও বপুিল পরমািণে রফতানি হয়ে থাকত। অন্য আর যসবে পণ্য রফতানি হয়ে থাকত তার মধ্যে ছলি পাটবস্ত্র, শুকনা মাছ, পান-সুপার,ি নারকল,ে রসুন র্(বতমানে ভারতে চোরা পথে রফতানি হয়ে থাক),ে পঁয়োজ,র্ কপুর ইত্যাদ।ি প্রচুর পরমািণরে রফতানরি বপরিীতে আমদানি খুব কম ছল।ি
এখন আসল কথায় আসা যাক। যে কথা দয়েি শুরু তাহল ইতহািস ফরেি ফরেি আস,ে আমরা যভোবইে দখিে না কনে ইতহািসকে প্রতরোিধ করা যায় না। আমরা চাই বা না চাই। তাই তো বললাম এ বাংলা এক সময় খাদ্য (বশষিে করে আমাদরে আদি খাবার ভাত এর চাল) উৎপাদনে উদবৃত্ত ছলািম। বদশিেে রফতানি করতাম। এমনকি ১৯৪৭ সালে দশে বভািগরে সময়ও এই বাংলা খাদ্যে উদবৃত্ত ছল।ি কালরে র্আবতে হয়ে যাই খাদ্য আমদানকািরক দশ।েে ইতহািস এখন আমাদরে আবার খাদ্যদ্রব্য রফতানকািরক ‘দশেে পরণতি হওয়ার’ ইঙ্গতি দচ্ছ।িে মোটকথা এই এক জায়গা যখোনে ইতহািসরে পুনরাবৃত্তি পরলক্ষিতি হয়।
অন্য আর এক জায়গা যখোনে বঙ্গদশে পৃথবীি বখ্যািত ছলি তা হচ্ছে বস্ত্র শল্প।িে এখানওে ইতহািসরে পুনঃ আগমনরে লক্ষণ পরলক্ষিতি হয়। মাত্র ১২-১৫ বছরে বাংলাদশেে ৫ হাজার পোশাক শল্পরিে কারখানা গড়ে উঠছ।েে এ শল্পেি প্রায় ৩ মলয়িনি মহলািরর্ কমসংস্থান হয়ছ।েে পৃথবীির ইতহািসে এমনটি আর দখো যায় না। আর এক দকেি আমরা দখবে তাহল নৌকা বা জাহাজ শল্প।ি অতীতে চট্টগ্রাম নৌযান তরিৈ ও বদশিেে রফতানতেি বখ্যািত ছল।ি একথা বশকেছুি পণ্ডতদিরে এবং পরব্রািজকরে লখো থকেে জানা যায় য,ে অতীতে এ বাংলায় উন্নতমানরে জাহাজ তরিৈ হতো এবং বশকেছুি জাহাজ বদশিেে রফতানি করা হতো। এমন এক উদাহরণ পাওয়া যায়র্ জামানরি জাদুঘরে বাংলার তরিৈ জাহাজ রক্ষতি আছ।ে মুন্সীগঞ্জ এখন এক নতুন জাহাজ তররৈি ক্ষত্রে হসবিেে নজরিে স্থান করে নয়ছি।েে অবশ্য আগে থকইেে ছলি চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, মঘনোঘাট আর এ শল্পরিে সঙ্গে বদশিীে মূলধন অংশ নচ্ছেির্ জামান,ি নদোরল্যান্ড, জাপান, দ. করয়াি ইত্যাদি দশ।ে
এখন আমাদরে কথার শষে টানতে পার।ি যে কথা দয়েি শুরু করছলোিমÑ ইতহািস ফরেি ফরেি আস,ে সে তার নজরিে পথে চলতইে থাক।ে তা থকেে কউে শক্ষাি নকি বা না নক,ি ইতহািস গড়তইে থাকব।ে এ বাংলার ইতহািসরে অতীত ছলি গৌরবর।ে অতুলনীয় তার ছন্দ পতন হয় সাময়ক।ি কন্তুি এখন আমরা দখছেি এত অবহলোর মধ্যওে সে তার অতীত গৌরব ফরেি পতেে যাচ্ছ।ে কউে সাহায্য করুক বা না করুক সে নশ্চতিভিাবে বলা যায় তার র্নদষ্টিি কন্দ্ররেে দক,িে লক্ষ্যতে পৗঁেছতে পারব।ে এটাই ইতহািস, তা কউে জোর করে ঠকয়েেি রাখতে পারবে না। সইে গৌরবরে সময়রে অপক্ষোয় রইলাম।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×