শুচি সয়দৈ
‘বইমলো অন্য যে কোন মলো থকেে ভন্নি হওয়া প্রয়োজন। বইতো গরহস্থোলরি অন্যান্য বস্তু সামগ্রী টুথপস্টে বা ওষুধরে মতো নয়, বইয়রে সঙ্গে মানুষরে চত্তবৃত্তিি জড়ত।ি বইমলো হওয়া প্রয়োজন সুপরসর,ি খোলামলো, যখোনে সচ্ছন্দে চলে ফরেি নারী, শশুি এবং বয়স্ক পাঠকরা তাদরে কৌতূহল পূরণরে বই কনতিে পার।’ে দশরেে বশষ্টিি শক্ষাবদি,ি প্রফসরে ইমরটাসেি ড. সরাজুিল ইসলাম চৌধুরী একথা বলন।ে
অমর একুশরে বইমর্লো সম্পকে নজস্বি অনুভূতি উপলব্ধি ব্যক্ত করতে গয়েি তনিি বলন,ে ‘ঢাকা মহানগরী ক্রমাগত অমানবকি একটি নগরীতে পরণতি হচ্ছ।ে কোটি মানুষরে বাস এ নগরীত,ে অথচ নাগরকদরেি সুস্থ বনোদনি ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। ফলে যে কোন আয়োজনই তা বইমলোই বল,ি আর বজ্ঞানি মলোই বলÑি হয়ে ওঠে বাণজ্যি মলোর্র সমাথক। এগুলোর যে স্বতন্ত্র চরত্রি রয়ছ,েে তা বজায় থাকে নাÑ সব আয়োজনই ধারণ ক্ষমতার চয়েে বশিে লোক সমাগমে হয়ে পড়র্ েবপযস্ত।ি ধুলায়, কাদায় একাকার। বইমলোও তার ব্যতক্রমি নয়। গত এক দশক থকেে এটা অনুভূত হচ্ছে য,ে বাংলা একাডমীরে প্রাঙ্গণ এরকম মাসব্যাপী একটি আয়োজনরে জন্য খুবইর্ সংকীণ কন্তুি সটিে যনে কউইে আমলে নচ্ছনিে না, উপলব্ধি করছনে না। তাছাড়া বইমলোর আয়োজন এখন বাংলা একাডমীরে সাংবাৎসরকি উৎসবরে কাজ হয়ে দাঁড়য়ছ।েিে ফলে বাংলা একাডমীে যে লক্ষ্যে প্রতষ্ঠতিি হয়ছলÑিে পাকস্তানি আমলে কন্দ্রীয়ে বাংলা উন্নর্য়ন বোডকে বাংলা একাডমীরে সঙ্গে যুক্ত কর,ে বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও গবষণোর কাজÑে সইে কাজওে বঘœি ঘটছ।ে দখো যাচ্ছে বাংলা একাডমীে মলো এবং বভন্নিি অনুষ্ঠানরে কাজে তার মূল লক্ষ্য থকেে বচ্যুতি হচ্ছ।’ে
তনিি বলন,ে ‘বইমলোর যে উদ্দশ্যÑে পাঠকরে সঙ্গে বইয়রে পরচয়ি বা যোগাযোগ ঘটয়েি দয়ো সইে উদ্দশ্যে পূরণ হচ্ছে নাÑ এরকমর্ সংকীণ অপরসরি স্থানরে কারণ।ে বই বপণনরিে জন্য ভালো, সুস্থ, সুন্দর পরবশিে প্রয়োজন। যাতে পাঠক চাহদাি মাফকি তার বইটি খুঁজে কনতিে পার।’ে
ড. সরাজুিল ইসলাম চৌধুরী বলন,ে বাংলাদশেে বই বপণনরিে পথকৃৎি প্রকাশক শ্রীচত্তরঞ্জনি সাহা বই বক্ররিি উদ্দশ্যেে নানা পদক্ষপে নয়ছন,িেে জলোয় জলোয় এজন্টে নয়োগ,ি তার নজস্বি প্রকাশনা মুক্তশারার শাখা অফসি স্থাপন, পুস্তর্ক প্রদশনী, গাছরে সঙ্গে ছোট ছোট টনরিে বজ্ঞাপনিÑ যা তখনকার প্রকাশকদরে ভাবনারও অতীত। কন্তুি তনওিি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদশেে উপলব্ধি করনে বইকে আরও অন্য আঙ্গকেি বপণনি করতে হব।ে তারই প্রাথমকি প্রয়াস ছলি একুশে ফব্র“য়োরকেি সামনে রখেে বাংলা একাডমীে প্রাঙ্গণে ঢাকা বশ্ববদ্যািলয়ি এলাকায় পুস্তর্ক প্রদশনী ও বক্র।িি যা কালক্রমে ফব্র“য়োরি মাসব্যাপী বই উৎসবে পরণতি হয়ছেে আজ। মাসব্যাপী এ আয়োজন আমাদরে উপলব্ধি করাচ্ছে য,ে এ মহানগরীতে বইয়রে একটা অঞ্চল থাকা প্রয়োজন, কলকাতার কলজে স্ট্রটরিে মতো একটা জায়গা চাই ঢাকায়। এ চাওয়াটার্ ক্রমবধমান জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দয়েি অর্পরহাযি হয়ে উঠছ।ে বাংলাবাজার বইয়রে বাজার হসবিেে পুরনো মহানগরীর চাহদাি পূরণ করছেে কর্ন্তু বিধর্ষ্ণু বিতমান মহানগরীর চাহদাি পূরণে নতুন এলাকা চাইÑ আমি মনে করি সটিে ঢাকা বশ্ববদ্যািলয়ি এলাকাটকেি ঘরেি গড়ে উঠতে পার।ে বশ্ববদ্যািলর্য়ি কতৃপক্ষ, সরকার একটু পরকল্পতভিাবিে উদ্যোগ নলইিে সটিে সম্ভব।
তনিি বলন,ে শাহাবাগরে আজর্জ মিাকটেে গড়ে ওঠা বইয়রে বাজারটি পুঁজরি দৌরাÍ্যে টকতিে না পরেে স্থানান্তরতি হয়ছেে কাঁটাবনরের্ কনর্কড মাকট।েে সখোন থকওেে হয়তো উচ্ছদে হয়ে যাবে সটিে একই কারণ।ে তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
সরকাররে সাংস্কৃতকি বলয় তররৈি একটি পরকল্পনাির কথা শুন।ি বইমলোকে সইে সাংস্কৃতকি বলয়রর্ েঅন্তভুক্ত করে সোর্হরাওয়াদী উদ্যানে স্থানান্তরতি করে বৃহৎ পরসরিে নয়ো যতেে পার।ে শল্পকলাি একাডমী,র্ েআন্তজাতকি মাতৃভাষা ইন্সটটউট,িি সোর্হরাওয়াদী উদ্যান, শশুি একাডমী,ে পাবলকি লাইব্রর,েি জাতীয় জাদুঘর এবং ঢাকা বশ্ববদ্যািলয়িকে কন্দ্রে করে গড়ে তোলা এ সাংস্কৃতকি বলয়ে বইকে স্থান করে দয়ো সহজও।
তাঁর মত,ে রাজধানী ঢাকা শহরে যদি সাংস্কৃতকি বলয়রে ভতরে বইকে স্থান করে দয়ো যায় তাহলে দখোদখিে ঢাকার বাইররে শহরাঞ্চলওে বইয়রে এমন একটা এলাকা গড়ে উঠব।ে তনিি বলন,ে আমি এমন উদ্যোগরে প্রতি জোর্র সমথন জানাই। এটি যদি বাস্তবায়তি করা যায় তবে সটিে একটি ঐতহাসকিি পদক্ষপে হব।ে আমরা নতুন একর্ট পিযায়ে উন্নীত হব। বইমলো তখন হয়ে উঠবে সত্যকারি প্রাণরে মলো। যখোনে সচ্ছন্দে পাঠক তার বইটি কনতিে পারবন।ে