মুজাহিদকে চিনেন,যুদ্ধাপরাধী,যে কিনা জেলে আছে???চিনে নিন তাকে...(রি-পোষ্ট)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আলী আহসান মুজাহিদ,জামায়াত-ই-ইসলামী বাংলাদেশের এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।তিনি চার দলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে ২০০১-২০০৭ সালের সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছিলেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোর বিরোধী ছিলেন এই ঘৃণ্য ব্যক্তি এবং সে সেই সময় বিশ্বাসঘাতকতা করে পা চাটা কুত্তার মত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছে এদেশের নিরীহ মানুষকে অত্যাচার করতে।।তার বিরুদ্ধে শুধু পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীকে হত্তাযজ্ঞে সাহায্য,লুন্ঠণ,বাঙ্গালী মহিলাদের লাঞ্ছিত,ধর্ষণ নয়,এছাড়াও রয়েছে ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যার অভিযোগ।সেদিনটিকে বলা হয় বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস।
এবার আসা যাক তার সক্রিয় ভূমিকার কথা।১৯৭১ সালে মুজাহিদ ছিলেন পুর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি এবং রাজাকার বাহিনীর স্থপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান।রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষজন খুজে বের করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেয়া অথবা তাদেরকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা হবার সাথে সাথে সে রাজাকার বাহিনী গঠন করে যারা শুধুমাত্র তার কাছে জবাবদিহিতা করার অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল।মুজাহিদ সেই সময় তার নতুন গঠিত বাহিনীর কমান্ডার করেন ফিরোয মিয়াকে এবং তাদের জন্যে অস্ত্র প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন।মুজাহিদ তখন তার সংগঠনের অস্ত্র ও তহবিল সংগ্রহের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন।
ততকালীন পত্র-পত্রিকায় তার ভাষ্যমতে তার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ কার্যক্রম সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া যায়।১৯৭১ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর,ফরিদপুরে মুজাহিদ তার ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের একটি জনসভায় বলেন,তারা সম্পুর্ণ ভারত দখল করার আগে ভারতের একটি প্রদেশ আসাম দখল করতে চায়।এজন্যে সে তার স্বশস্ত্র বাহিনীর(আলবদর)ক্যাডারদের প্রস্তুত হবার জন্যে বলেন।
তখনকার দৈনিক সংগ্রামের তথ্যমতে, ১৯৭১সালের ১৫ই অক্টোবর মুজাহিদের একটি ভাষণ ছিলো এরকমঃ
“তরণ রাজাকার এবং আলবদর বাহিনী এবং এর অন্যান্য সাহায্যকারী সংগঠনগুলো দেশকে দেশদ্রোহী ও ভারতের চরদের থেকে রক্ষার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে।সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের একটি অংশ যেমন জুলফিকার আলি ভুট্টো,কাউসার নিয়াজী,মুফতি মাহমুদ এবং আসগর খান এ বিষয়ে দেশপ্রেমের কঠিন নিদর্শণ প্রদর্শণ করছেন এবং দেশদ্রোহীদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গীকার করেছেন।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজাহিদ সাধারনত ফিরোয মিয়ার ১৮১,ফকিরাপুলের বাসায় থাকতেন।প্রত্যক্ষদর্শী জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সালাম,সাংবাদিক জিএম গাউস,মুক্তিযোদ্ধা এবং কলাম লেখক মাহবুব কামালের মতে,ফিরোয মিয়া রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।ফিরোযের বাড়িটি স্থানীয় রাজাকারদের হেড কোয়ার্টার ছিল।এই বাড়িটি মুক্তিবাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রও ছিল।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,এখানে অনেক চোখবাধা লোক আনা হত এবং তারা বাইরে থেকে নির্যাতনের শব্দ শুনেছেন।মুজাহিদ ছিলেন এই অসভ্য বাহিনীর পালের গোদা।সেপ্টেম্বর এর শেষের দিকে যখন পাকিস্তানী বাহিনী হারতে শুরু করে,তখন মুজাহিদ সাধারণ স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে মারার পরিবর্তে,নতুন স্ট্রাটেজি ধারণ করেন।সেটি ছিল উন্নত চিন্তার অধিকারী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়কে হত্যা করা।১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর এ সে এবং তার বাহিনী,পাক হানাদার বাহিনীদের দ্বারা বুদ্ধিজীবিদের হত্যার মূল পরিকল্পনা ও তথ্যসংগ্রাহক ছিলেন।গাউসের মতে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গুনে গুনে বুদ্ধিজীবি হত্যার মূল নেতা ছিলেন মুজাহিদ।
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর বেশ কয়েক বছর মুজাহিদ পালিয়ে ছিলেন।মুজাহিদ আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতাই আসেন।তিনি চার দলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে ২০০১-২০০৭ সালের সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছিলেন যা কিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুদের আবারও ক্ষমতায় আসার,দেশকে আবারও ধ্বংস করার প্রয়াস বলে মনে হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি
মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=
০১।
=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।
পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।
জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সমস্যা মিয়ার সমস্যা
সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।
তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন