আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অন্যায় এক পাঁয়তারা করছে অবৈধ ইউনূস সরকার। এই লক্ষ্যে তারা মাঠে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। সরকারি লাঠিয়াল হিসেবে এরিমধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ- সারজিস আলমেরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবার এই লাঠিয়াল বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে গুপ্ত সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির।
ছাত্রশিবিরের রাজনীতি মূলত দুইভাবে বিভক্ত। একদল প্রতারক। এই প্রতারক দলের কৌশল হচ্ছে নামাজ-রোজা-ইমান-আমলের নামে লোকদের আকৃষ্ট করা। অন্যদল হচ্ছে স্লিপার সেল, এবং এরা টার্গেট সহিংসতা করে থাকে। জুলাই-ষড়যন্ত্রে এরা মবের ধ্যে মিশে গিয়ে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ৭.৬২ রাইফেলের যে গুলির কথা বলেছিলেন দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই, সেটা এই জামায়াত-শিবিরের স্লিপার সেলের মাধ্যমেই হয়েছিল। সরকারের জন্যে বিব্রতকর এই সত্য প্রকাশের পর তিনি মন্ত্রণালয় হারিয়েছেন, গেছেন কম গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয়ে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে কি বাংলাদেশ থেকে এই দলটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? উত্তর সহজ--হবে না। যে দেশের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেই দেশে এই দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া এত সহজ কিন্তু নয়।
ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, টিক্কা খান, নিয়াজিরা যা পারেনি, তাদের উত্তরসূরি মুহাম্মদ ইউনূস-জাহাঙ্গীর আলম-আসিফ নজরুল-হাসনাত-সারজিসেরা পারবে--এটা কীভাবে বিশ্বাস করা যায়?
খেয়াল করলে দেখবেন, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি সব সময় এনসিপি বিশেষ করে হাসনাত-সারজিসদের মুখ থেকে বেশি শোনা যায়। কারণ কী জানেন, এরা ছাত্রলীগের ছায়াতলে এতদিন সুযোগসুবিধা নিয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইতিহাস এদেরকে বেঈমান হিসেবে লিখে রাখবে। তারা ষড়যন্ত্র করে দেশের একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে। বাংলাদেশে একদিন তাদের বিচার করবেই।
বাংলাদেশ বিশ্বাসঘাতকদের অভয়ারণ্য হয়ে যাওয়ার নয় মাস হয়ে গেছে। লিখে রাখুন, আর বছর খানেকের মধ্যে এই হাসনাত-সারজিসদের মানুষ রাস্তায় ধরে ধরে পেটাবে। এরিমধ্যে অনেক জায়গায় হাসনাত বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়েছে। এনসিপির নেতারা যেখানে যাচ্ছে সেখানেই ধাওয়া খাচ্ছে জনতার। এখন পর্যন্ত তারা টিকে আছে কেবল সরকারি সহায়তায়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে মূলত দলটির কিছুই হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম--এটা বলে গেছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশ মানুষ নতুন করে আওয়ামী লীগ হয় না; আওয়ামী লীগ হয়েই জন্মায়। মানুষের জন্মের সঙ্গে যে দলের সম্পর্ক সেই দলকে কীভাবে নিশ্চিহ্ন করে ষড়যন্ত্রকারীরা?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬