আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের যুদ্ধক্ষেত্র ক্যাম্প বেস্টনের হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন এক ব্রিটিশ নারী সেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মা ব্রিটিশ গোলন্দাজ বাহিনীতে ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মা ও শিশু সুস্থ আছে।
গত মার্চ মাসে ওই নারী সেনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই।
ক্যাম্প বেস্টনের হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ সপ্তাহ আগে জন্ম নেয় শিশুটি। সদ্যোজাত শিশু ও মায়ের যত্নের জন্য অক্সফোর্ডের জন রেডলিফ হাসপাতাল থেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছে।
যুদ্ধরত ব্রিটিশ পুরুষ ও নারী সেনা
বিবিসির প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিনিধি ক্রারোরিন ওয়াত জানান, ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০০ জন সন্তানসম্ভবা নারীকে আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে দেশে পাঠানো হয়েছে। এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ নারী যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুর জন্ম দিলেন।
ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা চার্লস হিউম্যান বলেন, এটা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরিদর্শনকাজের গাফিলতির নমুনা। নারী সেনাদের নিয়োগের আগে গর্ভধারণের একটি সাধারণ পরীক্ষা করলেই বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ আন্না ডেভিড বলেন, ওই নারী সেনার সন্তানধারণের খবর তাঁর বা ব্রিটেনের সেনাবাহিনীর না জানার খবর কিছুটা অস্বাভাবিক।
ন্যাশনাল চাইল্ড বার্থ ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী বেলিনদা ফিপস বলেন, গর্ভধারণের পরবর্তী অবস্থা এক নারী থেকে আরেক নারীর আলাদা হতে পারে। যদি কেউ সন্তান ধারণ করেছে কি না সে ব্যাপারে সচেতন না থাকে, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা চাপের কারণে শারীরিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন না থাকে, তাহলে নিজের গর্ভাবস্থা টের নাও পেতে পারে। (প্রথম আলো-২১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৬ আশ্বিন ১৪১৯, ৪ জিলকদ ১৪৩৩ )