somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যা বলছেন, তা একটু বুঝেশুনে বললে ভাল হয়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোথায় যেন শুনেছিলাম একজন বলছিল আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় শত্রু হল হাসিনা নিজেই। সময়ে অসময়ে বেফাঁস কথা বলে দলের সবাইকে বিপদে ফেলছে। গত কয়েকদিনের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে দিনে দিনে আওয়মীলীগ-ই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে জনমত তৈরি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।



সম্প্রতি টিআইবি একটা রিপোর্টে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দূর্নীতির কথা তুলে ধরেছে। এই রিপোর্টের প্রতিবাদে উপরের ছবিতে যে চান্দি ছিলা পাবলিককে দেখা যাচ্ছে, তিনি টিআইবির সাথে যুদ্ধাপরাধীদের তুলনা করেছেন। এই বলদটা কিছুদিন পরপরই এধরনের ফালতু কথা বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। জামাত-বিএনপির আন্দোলনের চেয়ে এই গাধার ফালতু কথাগুলোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিকে ঝামেলায় ফেলবে। এই বলদটার বলদামির খবর পবেন এই লিংকে

বিচার বিভাগের দূর্নীতি দেখার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হতে হয়না। পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত মামলা বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলেই জানা যায় এটা কতটা দূর্নীতিগ্রস্ত। দিবালোকের মত সত্য এই বিষয়টিকে এই গর্ধবেরা ঢাকতে চেয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। কামরুল এর মন্তব্য শুনুন—

“বিচার বিভাগে নিম্ন বেতনভুক কিছু কর্মচারী থাকতে পারে যারা হয়তো ফাইল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ৫-১০-২০ টাকা উৎকোচ নিতে পারে। কিন্তু তারা ঢালাওভাবে বিচার বিভাগকে যেভাবে দোষারোপ করেছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যেভাবে চেষ্টা চালিয়েছে, আমি মনে করি আমাদের বিচার বিভাগকে এই মুহূর্তে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র।”

ফাজলামীর একটা সীমা থাকা দরকার। ৫-১০-২০ টাকা উৎকোচ নেবার কথা বলে আবার সেটার পক্ষে সাফাই গাইছে এই নির্লজ্জ মানুষটা। আবার সেটাকে আড়াল করছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দিয়ে।



এখানেই শেষ নয়। আওয়ামীলিগ তথা ১৪ দল এখন যেন পাগল ছাগলের আখড়া হয়ে উঠছে। আর একজন ছাগল হল শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। এই বলদ গত শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছে

“এবার বিজয় দিবসের প্রাক্কালে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঠিক তেমনইভাবে আগামী স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এদের সবচেয়ে বড় নেতা গোলাম আযমকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হবে।”

এটা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না। এভাবে যদি প্রতি বিজয় দিবসে একটা করে যুদ্ধাপরাধী ধরা হয়, তাহলে আর বিচার করারই দরকার নাই। আগামী দশ বছরের ভেতরেই বেশির ভাগ যুদ্ধাপরাধী বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যাবে। কত্তবড় আবাল হলে এই ধরনের কথা জনসমক্ষে বলতে পারে। এই বলদও টিআইবির রিপোর্টের বিরোধীতা করেছে। বিস্তারিত খবর পবেন এই লিংকে

এই দুই জন সহ সরকারের সব স্থূল মস্তিষ্কের নেতাদের কে বলছি তোমরা কথা বেশি না বলে কাজ বেশি কর। তোমাদের দলেরই লোক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি বলেছেন, সেটা একবার শোন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তোমাদের বাবার সম্পত্তি না। এটার সাথে সারা দেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। আর দয়া করে তোমাদের আকাম কুকামের দায় এই বিচার প্রক্রিয়া দিয়ে ঢাকবার চেষ্টা করবা না। তোমাদের আমালনামা অনুসারে তোমরা কিছুদিন পরপর গদিতে আসবা যাবা। সেটা কোন সমস্যা না। কিন্তু তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা কর যে তোমাদের যাওয়া আসার সাথে বিচার প্রক্রিয়াও থেমে যাবে, তাহলে বড় ধরনের ভূল করবা। আবারো বলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তোমাদের বাবার সম্পত্তি না।

মনে হয় আওয়ামীলীগ ভাবছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে আরও ফায়দা লোটা যায় কিনা সেটা। কিন্তু তাদের ভেবে দেখা দরকার যে তরুণ সমাজ তাদের ভোট দিয়ে এই নির্বাচিত করেছে, তাদের চটানোটা ঠিক হবে না। অনেক আশা করে আমরা ভোট দিয়েছি এই জানোয়ারগুলোকে দেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে। এমনিতে বিএনপি আর আওয়ামীলীগের লুটপাটের রাজনীতিতে কোন ফারাক নাই। ফারাক শুধু একটাই, সেটা হল একদল তাদের নির্বাচনী ওয়াদায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছে, অন্যরা সেটা চায়নি। সুতরাং আএই একটি বিষয়ে তারা তাদের সফলতা দেখাতে না পারলে পাশার দান উল্টাতে সময় লাগবে না।



বিঃদ্রঃ সকল প্রকার ছাগুকে এই পোস্টে ল্যাদাতে নিষেধ করা হল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×