অশিক্ষিত খোকনের মা অন্য জনকে দিয়ে চিঠি লেখাল। তারপর চিঠিটা তাঁর স্বামীর কাছে পাঠাল বিদেশে।
চিঠিটা ছিল এই রকম,
"ওগো খোকনের বাপ সারাটা জীবন বিদেশেই কাটাইবে এই ছিল তোমার কপালে। আমার পা আরো ফুলে উঠেছে। উঠানটা পানিতে ডুবে গেছে। দুটি খোকাই স্কুলে যেতে চায় না। ছাগলটা ঘাস না খেয়ে ঝিমাঁইতেছে। তোমার বাবা অসুখে ভুগিতেছে। বাগানটা আমে আমে ভরে গেছে। ঘরের চালটা স্থানে স্থানে ফুটা হয়ে গেছে। গাভীর পেট দেখলে মনে হয় বাচ্চা দিবে। করিমের বাপ বাঁশ কাঁটতে গিয়ে হাত কেঁটে ফেলেছে। মুরগিটা প্রতিদিন ১টা ডিম দিতেছে। জমিলার মা বাচ্চা প্রসব করার সময় মারা গেছে। কুদ্দুছের বাপ বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার সাহেব এসে দেখে গেছেন। আপনি তাড়াতাড়ি দেশে আসবেন। না আসলে খারাপ হবে কিন্তু।"
ইতি
তোমার বউ।
কিন্তু অল্প শিক্ষিত খোকনের বাপ চিঠিটা পড়ল এই রকম,
"ওগো খোকনের বাপ সারাটা জীবন বিদেশেই কাটাইবে। এই ছিল তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলে উঠেছে উঠানটা। পানিতে ডুবে গেছে দুটি খোকা। স্কুলে যেতে চায় না ছাগলটা। ঘাস না খেয়ে ঝিমাঁইতেছে তোমার বাবা। অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে আমে ভরে গেছে ঘরের চালটা। স্থানে স্থানে ফুটা হয়ে গেছে গাভীর পেটটা। দেখলে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিমের বাপ। বাঁশ কাঁটতে গিয়ে হাত কেঁটে ফেলেছে মুরগিটা। প্রতিদিন ১টা ডিম দিতেছে জমিলার মা। বাচ্চা প্রসব করার সময় মারা গেছে কুদ্দুছের বাপ। বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে ডাক্তার সাহেব। এসে দেখে গেছেন আপনি। তাড়াতাড়ি দেশে আসবেন না। আসলে খারাপ হবে কিন্তু।"
ইতি
তোমার বউ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




