
অতিথী পাখিদের ভালোভাবে কখনোই পর্যবেক্ষণ করা হয়ে উঠেনি আমার । পাখি দেখবো দেখবো করতে করতে শীত চলে যায়, আর পাখিরা ফিরে যায় সাইবেরিয়া, আমারও আর ভিসা জোগার করে সাইবেরিয়া যাওয়া হয়ে উঠে না । গত বছর জাহাঙ্গীর নগরে গিয়েছিলাম পাখি দেখার জন্য কিন্তু ওখানে ছাত্রদের গোলাগুলির কারণে পাখিরা চলে গিয়েছিল । এই বছর জাহাঙ্গীর নগরে পাখিরা এসেছে কিনা জানিনা, আর তাই ছ্যাকা খাওয়ার ভয়ে ওখানে যাইনি সরাসরি চলে গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে, সেই ভ্রমনের কিছু বর্ণনা ছবি সহ পর্যায়ক্রমে দেওয়ার ইচ্ছে রাখি ।

নাইটকোচে চড়ে খুব ভোরেই সুনামগঞ্জে পৌছে গিয়েছিলাম, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রিক্সায় করে সাতবাড়ি ঘাট নামক ট্রলার ঘাটে পৌছলাম ।

নদীর নাম সুরমা, টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যেতে হলে প্রথমেই ট্রলারে পারি দিতে হবে সুরমা কে ।

তীব্র এই শীতের সকালে নদী থেকে এমনভাবে ধুয়া উঠছিল মনে হচ্ছিল যেন নদীতে আগুন লেগে গেছে

আমরা নদীর ওপারে পৌছার আগেই সূর্য্যি মামা জেগে উঠায় শীতের সকালটা যেমন সুন্দর দেখাচ্ছি তেমনি আমরাও একটু আরাম অনুভব করছিলাম ।

ওপারের শেকড় বের হওয়া বট গাছটা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে ।

ওপারের ঘাটে ট্রলার ভেড়ার সাথে সাথে আপনাকে ওরা ছেকে ধরবে, ওরা মোটর সাইকেল চালিয়ে আপনাকে গন্তব্যে পৌছে দিবে ।

তবে মোটর সাইকেলে উঠার আগে আপনাকে অবশ্যই দরদাম করে উঠতে হবে, টাঙ্গুয়ার হাওড়ে গেলে আপনাকে প্রথমে এখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরের শ্রীপুর বাজারে যেতে হবে । দুইজনের ভাড়া নিবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ।


এখানে ১০০ টাকা লিটার মোটর সাইকেলের জ্বালানি হিসাবে পেট্রোল বিক্রি হয় ।

এমন আকাঁবাকা মেটো পথ বেয়ে মোটর সাইকেল ছুটবে টাঙ্গুয়ার পথে ।


ভাতের টেক নামক এই জায়গায় মোটর সাইকেল নিয়ে নৌকায় পার হতে হয় ।

মোটর সাইকেল নৌকায় ডাউনলোড করা হচ্ছে ।

এবার হবে আপ লোড

আবারো এমন সরল সোজা পথে দীর্ঘক্ষণ চলতে হবে............

কখনো ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে.........

কখনো এমন খালের বাঁশঝাড় ও খালের পাশ দিয়ে.........
চলবে............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


