
রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন । ইতিমধ্যেই আমরা হাটা শুরু করে দিয়েছি,,,,,,,, মাঝখানে অনেকদিন বন্ধের পর আবারো শুরু করলাম । ঢাকা থেকে চিচাগাং যেতে অনেকগুলো ছোট স্টেশন আছে যেগুলোর নাম এবং সংখ্যা অনেকেই জানেন না, আমি ও জানি না । আমি এক ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে ।
আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি । প্রতি সপ্তাহে হাটা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই চিটাগাং পর্যন্ত কবে গিয়ে পৌছব এখনো জানি না, বলতে পারেন অজানা গন্তব্য
স্টেশনের অবস্থানঃ এটা কুমিল্লার জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার একটা রেল স্টেশন ।

মন্দবাগ পার হয়ে আমাদের এগিয়ে চলা.......

মন্দবাগের পর রেল লাইনের দু'পাশে শুধুই ধানি জমি । জমির পানিতে সূর্য্যি মামার গোসল ।

বসন্ত কালে এমন রঙ্গীন ফুলেরা ফুটবেই, আর ফুলের রূপে পাগল হয়েই পাখিরা এখানে করে অবাধ বিচরণ ।


একটু জিরিয়ে নেওয়া......

কৃষক তার জমিতে সার ছিটাচ্ছে ।

ওরা শাক তুলছে, গ্রামীন এই শাকগুলো কিন্তু ১০০% ফরমালিন মুক্ত

বাড়ির পথে.......

জমি সবুজ রাখার জন্য অবিরত জলধারা ।

গাঁয়ের মেটো পথ ।

কাঁটাযুক্ত সবুজ পাতার ভেতর উঁকিঝুকি মারছে সবুজ ফল ।

রেল লাইনের পাশেই ফুটে থাকা অসংখ্য বনজুঁই ।

যান্ত্রীক অজগরটি আসছে তেড়ে ।

সবুজ ধানের ক্ষেতের মাঝে ছোট্ট কুঁড়ে ।

এক সময় পৌছে গেলাম পরবর্তী স্টাশন শশীদল ।


শশীদলের সূর্য্যের রূপটা কিন্তু অপরূপ ।

আমার সঙ্গী কিন্তু বাড়ি ফেরার জন্যে এখানে চড়েনি, পোজ দেওয়ার জন্যই শুধু

বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ট্রেনে........।
আগের পর্বঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ২৮ ( মন্দবাগ )
পরবর্তি পর্ব হবেঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ৩০ ( শশীদল )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

