- আব্বু তুমি আমাকে নিয়ে ছড়া লেখনা কেন? সবসময় ছোট মেয়ে উমায়রাকে নিয়ে লিখ, তুমি কী আমাকে কম পছন্দ কর?
- কে বলেছে তোকে নিয়ে লিখিনা! উমায়রা যখন ছিলনা, তখন তুই ছিলি একা, সব ছড়া তখন তোকে নিয়েই লেখা।
- ও তায়! আচ্ছা যখন আমিও ছিলামনা তখন কী মাকে নিয়ে লিখতে?
- হুম লিখতামতো
- দেখাওনা বাবা, আমি পড়ব। প্লিজ প্লিজ প্লিজ...
- কী করে দেখায়! লিখিতো সব ফেইসবুকে, তখন ফেইসবুক ছিলনা ডায়রীতে লিখতাম
- ডায়রী! সেটা এখন কোথায়? আমাকে বল আমি নাহয় ডায়রী থেকেই পড়ব।
- সেটাকী আর আছে? চুলোয় গেছে সব। গ্যাসের চুলোর আগুন এক চুলো থেকে আরেক চুলোয় নিতে গিয়ে একটা একটা ডায়রীর পাতা বিসর্জন দিল তাদের জীবন, চুলোর আগুনে হা হা হা
- কী সব বল কিছুই বুঝিনা। তোমার মন থেকেই বল। তোমার নিশ্চয় মনে থাকবে নিজের ছড়া।
- মনে যদিও নেই, আমার মনে থাকেনা কিছুই, তবুও চেষ্টা করা যেতে পারে।
_
চন্দ্রমুখি
____________
হাসলে তুমি টোল পড়ে
মাথা ঘুরে আমার
বেখায়ালে বুতাম ছিড়ি
ফুল হাতা শার্ট, জামার।
কেমন করে চন্দ্রমুখি
হাসো এমন হাসি!
ইচ্ছে করে সারাটা দিন
কেবল ভালবাসি।
তবুও রোজ অপিষে যাই
সকাল সন্ধা কাজে
সেই হাসিটা দেখব বলে
বাজার করি না'যে।
সকল আশায় গুড়েবালি
ফিরি যখন ঘরে
চালে নুনে ঘাটতি হলে
হাসবে কেমন করে!
অগ্নিকন্যার বুলেট বাণি
বাজারে যাও আবার
নইলে বন্ধ চুলোর আগুণ
কেউ পাবেনা খাবার।
থলে হাতে রাত বারোটায়
যখন ফিরে আসি
তবেই মিলে সেই অমূল্য
চন্দ্রমুখি হাসি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৫