দেশ থেকে বহুদূরে চরম উৎকন্ঠায় গত দুইদিন কাটিয়েছি। আর এখন গত দুইদিনের চেয়েও বেশী উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছি। দেশ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সমগ্র জাতি আজ এক ভয়াবহ পরিস্থতির সম্মুখীন।
আমার শিক্ষক আমার প্রতি অবিচার করলে, আমি তার প্রতিবাদ করতে পারি বা অন্য শিক্ষক বা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারি বা সব ছাত্ররা মিলে কার ক।রাশ বর্জন করতে পারি, তাই বলেতো আমা তার গায়ে হাত তুলতে পারি না।
বি.ডি.আর জওয়ানরা তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দূর্নীতি আর অত্যাচার এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদেরকে হত্যাই করে ফেলল!! রাষ্ট্রীয় একটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংত করে ফেলল!! সশস্ত্র বাহিনীর চেইন অভ কমান্ড সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিল।
উর্ধতন কর্মকর্তাদের দূর্নীতি আর অত্যাচার এর প্রতিবাদ করতে গিয়েতো তাদেরকে হত্যা করতে পারে না। হত্যা করেলতো তা আর প্রতিবাদ থাকে না- এর চেয়েতো অনেকগুন বেশী দূর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রী, এম.পি, আমলারা। ৩০০ জন এম.পির -৩০০ জনই দূর্নীতিগ্রস্থ,আর আমলাদের অথিকাংশই।
গত কয়েকদিন মিডিয়াতে এবং ব্লগেও সেনাবাহিনীর সর্ম্পকে অনেক বিষোদগার করা হচ্ছে,তাদের দূর্নীতি আর শোষণ সর্ম্পকে বলা হচ্ছে, কিন্তু এর চেয়েও অনেক বেশী দূর্নীতি পাবলিক প্রশাসন এবং অন্যান্য সেক্টরে চলছে- কিন্তু কই, কেউতো এ সর্ম্পকে কিছু বলছে না। দূর্নীতি সব জায়গায়ই হয়। যেখানে মন্ত্রী-এম.পি রা নিজেরা দূর্নীতিবাজ,সেখানে বাকীদের টা বন্ধ হবে কেমনে?আর সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজতো ঐসব টকশোজীবি আর ঐ মিডিয়া মুঘলরা। তারাই এখন দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাই ও বোনেরা আপনারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চান ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন। আপনারা যেমন শতাধিক সহযোদ্ধা হারিয়ে চরম শোকে মূহ্যমান, তেমনি আমরাও, আপনাদের চেয়ে একটুও কম নয়।।এই শতাধিক অফিসারা ছিল আপনাদের সহযোদ্ধা, কিন্তু আমাদের কারো বাপ,ভাই,মামা,চাচা,খালু ফুফা,শালা, বোনজামাই বা প্রতিবেশী।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ- আপনারা ঠিক যেমনি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চান ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে এমনকোন চরম সিদ্ধান্ত নিবেন না যা ষড়যস্ত্রকারীকে সফল হতে সহায়তা করবে।
আপনারা শহীদ সহকর্মীদের কফিন ধরে শপথ নিন যে- যে ষড়যন্ত্রে এতজন অফিসার শহীদ হলো, আপনারা সে ষড়যন্ত্রের মূল শুদ্ধ উপড়ে ফেলবেন এবং তা অবশ্যই নিয়ম মেনে।