বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার ( সাথে এক শ্রেনীর পত্রিকা) পর দশট্রাক অস্ত্রমামলা নিয়ে যেভাবে উঠে-পড়ে লেগেছে তাতে মনে হচ্ছে যে- ভারতের স্বাধীরতাকামী সাত রাজ্যের বিদ্রোহ নির্মূল করাই যেন এদের প্রধান দায়িত্ব। ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও প্রশিক্ষণে পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্রোহ, বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে বিমান থেকে অস্ত্র ফেলা, স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলনকারীদের প্রত্যক্ষ মদদ- কই এসবের বিরুদ্ধেতো ভারত সরকার কোন তদন্তও করছে না বা তাদের পেপারগুলোও কিছু লিখছে না।
গত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রথমদিকে ৩২ জন কাঠ ব্যবসায়ীকে শান্তিবাহিনীর ক্যাম্প উদ্ধার করা হয়। এদের উদ্ধারে নেতৃত্ব দেন লে: কর্ণেল জয়নাল (নামটা আমার পুরা মনে নেই, মূল ঘটনার জন্য নামটা কোন ব্যাপার নয়)। তবে এই ৩২ জন কাঠূরিয়া উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়ার তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়, কারণ- তার অপরাধ ছিলো তিনি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তের ১৪ মাইল ভিতরে গহীন অরণ্যে শান্তি-বাহিনীর ক্যাম্পে অপারেশন করে এই ৩২ জন কাঠ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে আনেন। তিনি প্রথমে দুইবার দুইবার অপারেশনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি
প্রার্থনা করে দেখেন, তার কাছে অনুমতি আসার আগেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী খবর পেয়ে গেছে। তাই ৩য় বারের সময় তিনি নিজ সিদ্ধান্তে ভারতের ভেতর শান্তি-বাহিনীর ক্যাম্পে অপারেশন করেন।
কিন্তু কই দেশপ্রেমিক এইসব সন্তানদের নিয়ে প্রথমআলুরাতো কখনও কিছু লিখে না।
ভারতের উলফাদের অস্ত্র নিয়ে প্রথম আলুদের এতো লাফালাফি- কিন্তু কই পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয়দের অস্ত্র সরবরাহ, ট্রেনিং ক্যাম্প, টিপাই বাঁধ, উত্তরাঞ্চলে মরুভূমি, ইতিহাসের জঘন্যতম বি.ডি.আর বিদ্রোহ, পিনাকের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ- এ সব নিয়ে তো তথাকথিত সেই সব আবাল বুদ্ধিজীবি কোন লেখা বা আলুর সে রকম কোন রির্পোট দেখিনা।
তাই আমি দেশদ্রোহী ও দেশপ্রেমিক এর সংজ্ঞা জানতে চাই।